এই শীতের রাতে, খিচুড়ি খান সবাই মিলে। যেমনি আমরা গত রাতে খেয়েছিলাম। কয়েকদিন ধরে আমি ভাবছিলাম খিচুড়ি রান্না করব। বাসায় মোটামুটি সবই আছে! গত রাতের আগের রাতে ব্যাটারীকে বললাম, চল খিচুড়ি রান্না করি। তিনি জানালেন, খিচুড়ি কি দিয়ে খাবে! আমি বললাম, কেন শোল মাছের ঝাল ভুনা দিয়ে খাব। তিনি চোখ তুলে জানালেন, খিচুড়ি মাছ দিয়ে খাওয়া যায় না। রেসিপি প্রিয় পাঠক/ পাঠিকা ভাই বোন, আপনারাই বলুন। খিচুড়ির সাথে মাছ খেলে কি অসুবিধা! সব তো একই পেটে যাবে! হা হা হা…
না, সেদিন আর রান্না হয় নাই! এদিকে আমি আবার গত রাতে বাসায় ফিরলাম অনেক দেরী করে। তবুও রান্না বলে কথা। সামান্য রেষ্ট নিয়ে লেগে গেলাম, রান্নার কাজে। শীতের রাতে, খিচুড়ি খেতে ভাল লাগবে বলে। রান্না করে খেয়ে ঘড়ি দেখলাম, রাত তখন দেড়টা! হা হা হা…। জীবন যেখানে যেমন! খুবই সাধারন একটা রান্না। আপনিও এমন খিচুড়ি রান্না করে খেতে পারেন। সাথে ডিমের আমলেট হলে আর কি চাই!
চলুন দেখে ফেলি……।
উপকরনঃ
– চিকন পোলাউ চালঃ হাফ কেজি
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারী সাইজের দুটো
– আদা বাটাঃ এক টেবিল চামচ
– কয়েকটা এলাচি
– কয়েক পিস দারুচিনি
– হাফ চামচ হলুদ গুড়া
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– পরিমান মত লবন
– পরিমান মত তেল/ পানি
প্রনালীঃ
চাল এবং ডাল, মিশালেই খিচুড়ি!
মিশিয়ে ভাল করে নিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
তেল গরম করে তাতে লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভেঁজে নিন। এরপর আদা, এলাচি ও দারচিনি দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
এক কাপ পানি দিন এবং হলুদ দিয়ে দিন।
কাচা মরিচ কেটে দিন এবং ভাল করে নাড়িয়ে কষান। মশলার ঘ্রান বের হতে দিন।
এবার চাল ডাল দিয়ে দিন।
হাল্কা আঁচে ভাল করে ভাজুন। লক্ষ রাখবেন পাতিলের তলায় যেন না লেগে যায়।
এবার পরিমান মত পানি (চালের অবস্থা বুঝে) দিন। চালের উপরে এক ইঞ্চির মত হলে ভাল। বেশি পানি দিলে খিচুড়ি বেশি নরম হয়ে যাবে। এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ২০ অপেক্ষা করুন। মাঝে মাঝে ঢাকনা উল্টে দেখতে ভুলবেন না! পানি কম বেশি হলে এই দেখা কাজে লাগতে পারে। ফাঁকে লবন দেখে নিন। পানি কটা হতে হবে! লবন লাগলে দিন।
এমন একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে যাবে।
শেষের দিকে এমন করে দম দিতে পারেন।
ব্যস রেডী, তৈয়ার!
একদম সাধারন খিচুড়ি, দেখে বলুন কত সহজে এই রান্না হল। মাঝে মাঝে ভাতের বদলে এমন খিচুড়ি রান্না করতে পারেন। সবাই নিঃসন্দেহে পছন্দ করবেই। বিশেষ করে বৃষ্টি কিংবা শীতে!
(আরো ঝরঝরে এবং মুগ ডালের খিচুড়ি দেখিয়ে দেয়ার ইচ্ছা থাকল। আশা করি সবাই ভাল থাকবেন।)
WOW!
LikeLike
ধন্যবাদ আবিদ ভাই। শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।
LikeLike
যতদিন হলে ছিলাম , প্রতিদিন সকালে খিচুড়িই খেতাম বেশী ।
LikeLike
ধন্যবাদ সবুজ ভাই। সকালে এই ধরনের খিচুড়ি খাওয়া পুরান ঢাকার লোকদের একটা সাধারন অভ্যাস। তবে, পরিমান কম। হা হা হা…
আপনি কি পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছেন? আমি তো মনে করতাম আপনি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আছেন। যাই হোক, এখন কি করছেন? চাকুরী না অন্য কিছু।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
না রে ভাই এখনো পড়াশোনা করছি , মাঝে বছর খানেক হলে ছিলাম । এখন আর থাকি না ।
LikeLike
ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
আগে পড়াশুনা, পড়াশুনার আগে কিছু নাই। আগে জীবন গড়িয়ে নিন।
LikeLike
খিচুড়ি আমার প্রাণের বন্ধু। সময় কম থাকলে বা বেশি ক্লান্তি লাগলে সেদিনের মেনুতে খিচুড়ি রাখি। বৃহস্পতিবার রাতেও খিচুড়ি করি। কারণ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আগুন কম থাকে। কম আঁচে খিচুড়ি গরম করা যায়।
বিয়ের পর খিচুড়িতে অভ্যস্ত হয়েছি। আমার শাশুড়ি সেদ্ধ চাল আর বুটের ডালের খিচুড়ি করতেন। স্বামীর কাছে এটা শিখেছি। আমার আম্মার পছন্দ ঘুটা খিচুড়ি, বাগার দেওয়া।
LikeLike
ওয়াও। এই কমেন্টে নুতন তথ্য পাওয়া গেল। আমাদের দুলাভাই রান্না করতে পারেন। ওয়াও, বেশ খুশির খবর।
সেদ্ধ চাল আর বুটের ডালের খিচুড়ি – জিবে জল এল যে!
শুভেচ্ছা বোন।
LikeLike
পোলাও তেমন পছন্দ না তাই পোলাওএর চালের বদলে সিদ্ধ চালের হাতে মাখানো খিচুড়ি আমার ভিষন প্রিয়। মাছ, ডিম ছাড়াই আমি শুধু পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ দিয়ে ঐ খিচুড়ি খেতে পারি। :p
আর আমার বোন মনসুরা কে বলুন যে কোন বড় মাছ মসলা ভুনা দিয়ে খিচুড়ি দারুন লাগে। 😀
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। খিছুড়ির সাথে মাছ ভাজা কিংবা অন্য কিছু হলে কি এমন আসে যায়। দুনিয়ায় কত কি খাবার খায় মানুষ।
মেনে নেয়াটাই হচ্ছে সব কিছু।
LikeLike
Daarun!!!
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
আজ অনেকদিন পরে আবার এলাম বড়ভাইয়ের রান্নাঘরে। খাবারের সুবাস নিতে।
খিচুড়ি আমার বেশ পছন্দের একটা খাবার। এতোদিন জানা ছিলোনা এতো সহজেই এটা রান্না করা যায়। আজ জানলাম। তবে ছুটিরদিনে সকালে খিচুড়ি খেতে আমার দারুণ লাগে 🙂
আমার ভাবী অবশ্য প্রেসার কুকারে খিচুড়ি রান্না করেন। প্রতি ছুটির দিনে সেই আওয়াজ শুনলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি। আর না শুনলে যেমন ঘুমাচ্ছিলাম তেমনই চলতে থাকে 😀
আপনি ভালো তো ভাইয়া?
LikeLike
ওয়েল কাম জামি।
ছুটির দিন। আহ…। কতদিন থেকে যে ছুটি নেই! অফিস ছুটির দিনে বাজার আর স্ত্রী পুত্রের পিছনে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।
ছোট বেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছা হয় কিন্তু পালাবার পথ নেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
every time when l come from home my amma try to give everything,like all spice powder,shim bichi,acher,all tipe of dall( mug,mash kalai,buter dal,khashsri)……we find all tipe of dall here but they from INDIA,they don’t test like deshi dall……this time abba bye them all from dhaka market,shop owner pack them with brown paper ,l had long break in dubai (18 hour’s) ….my amma cook meat ,deshi chicken,fish 2 day’s early n dip frozen them n pack with my big bag ……(every time l do that)…….for my husband.when l open my bag at home l found some of brown paper become dam, some of my dall mix,now l dry roast them n make kichury with my mix dall…..MASHAALLAH l didn’t west my amma’s gift……n my husband think l m cooking some new recipe ……..:) …..anjuman
LikeLike
হা হা হা…। আগে হেসে নেই।
মনে হয় পানি লেগেছিল এবং সেই পানিতে ব্যাগ ভিজে কাগজ ছিড়ে গিয়েছিল!
যাই হোক, আপনার বুদ্দির তারিফ করতে হয়। মিক্স ডালে খিচুড়ি বেশ ভাল স্বাদের হয়। চলুক।
নুতন রেসিপি কি কি ছিল বা হচ্ছে। আশা করি জানাবেন।
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
খিচুড়ি আমার খুব পছন্দের।
সকালে পরোটা ছাড়া অন্যকিছু অখাদ্য মনে হলেও একমাত্র খিচুড়িতে ব্যতিক্রম। আম্মা প্রতি শুক্রবার সকালে খিচুড়ি রান্না করতেন।
আমরা তিন ভাই-বোন খিচুড়ি থেকে এলাচি বেছে রাখতাম। আম্মা পানের সাথে খেতেন।
আহা! এমন সকাল অনেকদিন আসে না। এবার আম্মার কাছে গেলে কোন শুক্রবার সকালে এই আব্দার করব।
এই আব্দারে ষোল আনায় আপনার হাত। হা হা হা।
আপাও বেশ ভালো খিচুঁড়ি রাধেন। মাসে দুই একবার খাওয়া হয়।
কলেজে থাকতে- একবার বাসায় আপা ছিলেন না। আমার সাথে ছিলো ভাগ্নে-ভাগ্নি। আমি খিচুড়ি রান্না করেছিলাম!! কেমন হইছে না বলি। হোটেল মাংস আর কোক এনে আমরা মজা করেই খায়ছিলাম। হা হা হা।
LikeLike
হা হা হা… এই না হচ্ছে মা মা! ডাবল মা! মামা!
ভাগ্নেদের এইভাবে মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়াবেন। আপাও একটু রেষ্ট পাবে।
খালাম্মাকে বেশী জ্বালাতন করা চলবে না! বরঞ্চ নিজে রান্না করে তাক লাগিয়ে দিন।
রান্নাবান্না নিয়ে আমাদের সবার অনেক মজার ঘটনা আছে। কারন না খেলে কি মানুষ বাঁচে! হা হা হা।। তাই নিজে রান্না করুন।
ছেলেদের রান্না জানাই উচিত।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
খিচুঁড়ি Ami Akdom Khatay Parina Gastik E Problem Koray. Gola Goly Onek ….Pani Pan Kortay Hoy..
LikeLike
ধন্যবাদ রহমান ভাই। হ্যা, গ্যাষ্ট্রিক সমস্যা থাকলে খিছুড়ি না খাওয়াই ভাল। এতে ডাল থাকে বলে সমস্যা হয়।
এড়িয়ে চলুন। আগে শরীর ভাল রাখতে হবে। শুভেচ্ছা।
LikeLike
After I came home tonight, I realized I don’t have any packaged noodle which I thought I had and planned to have for dinner. I didn’t have much grocery at home either – only eggs. I decided to browse your blog to find a recipe to cook egg curry. I was going through the list of all of your posts and saw “khichuri” recipe. Without a second thought I decided to enjoy khichuri with dim bhaji. Made it quickly. It didn’t take too long to prepare but my hand is now hurting from stirring the very thick khichuri and from cleaning the stove of all the splatters. But it was worth-it. Really good tasting. I was full with very little khichuri, lots of left over for rest of the week. Thanks for the simple and excellent recipe. Next time I might use 1/4 cup more daal. Is this khichuri ‘bhuna khichuri’ or is this ‘letka khechiri’? What is the difference between the two? Thank you.
LikeLike
ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই/বোন। (আপনার নাম বা কোন নিক ব্যবহার করলে জানতে সুবিধা হত)
হা, খিচুড়ি বেশ মজাদার খাবার। ডিম ভাজি দিয়ে তুলনা হয় না। যাই হোক, আপনি রান্না করেছেন জেনে ভাল লাগল। রান্না এমন একটা মজার ব্যাপার যে, একবার নেশা ধরলে আর ছাড়া যায় না, আমিও এক সময় রান্না করতে জানতাম না, এখন প্রতিদিন রান্না না করলে কি যেন মিস করছি বলে মনে হয়।
আমাদের উপরের খিছুড়ি আসলে ভুনা খিচুড়ি (তবে চাল আরো ঝরঝরে হতে পারত)। ল্যাটকা খিচুড়ি রান্নায় আরো বেশী পানি দিতে হয়, চাল ডাল আরো গলে মাখামাখি হয়ে যায়।
ল্যাটকা খিছুড়ি সাধারনত সকালের নাস্তায় ভাল জমে।
ধন্যবাদ, আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
Thank you very much for the information about the 2 types of khichuri. Your recipes and photos give me courage to try to cook ‘desi’ food once in a while, when I’ll get the craving to eat Bangladeshi ‘torkary’. You have so many intetesting recipies on your blog – I’ll try to make some of the simple ones. I’ll let you know what I made. Aslo, once in while I might ask for recipies. Thanks again. I am Shadman, a probashi ‘bon’.
LikeLike
হ্যাঁ বোন, আমাদের চেষ্টা হচ্ছে রান্নার বেসিক দিক বা আমাদের দেশের বেসিক রান্না গুলো নেটে তুলে দেয়া। আমরা ছোট বেলায় যা খেয়েছি তাই আমাদের প্রিয় খাবার সারা জীবনের জন্য। আমি প্রবাসী ছিলাম বলে, আমি সেই কষ্টের কথা ভাল করে জানি।
শুভেচ্ছা। আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন। আপনার কয়েকটা পছন্দের রেসিপি নিয়ে আমরা ভাবছি, আসবে অচিরেই।
LikeLike
প্রায়ই এটা রান্না করতে হয়, সময় স্বল্পতার জন্য এর চেয়ে ঝামেলা মুক্ত রান্না আর নেই।
LikeLike
ধন্যবাদ তানিম ভাই। ডিম ভাজি এবং খিচুড়ি, তুলনা নেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমার নানু এটা রান্না করতেন কিন্তু হলুদ টা avoid করতেন। অনেক মজা লাগতো। ভাইয়া লেটকা খিচুড়ি চিনেন? ওইটার রেসিপি দিবেন প্লিজ?
LikeLike
ধন্যবাদ আপনাকে।
লেটকা খিচুড়ি কদাচিত সকালের নাস্তায় আগে করা হত। যাই হোক, একবার একদিন করে ফেলবো।
মনে করিয়ে দেয়ার জন্য শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
good
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ খোকন ভাই।
কেমন আছেন? আশা করি আনন্দে সময় কাটছে।
দোয়া করি।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আ মার খুব পছন্দ করি
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ নবী ভাই। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
খিচুড়ি এতো নরম হয়েছে কেন?
LikeLike
রান্না না শিখলে হয়তো এতা মজার খাওয়া হত না….
LikeLiked by 1 person
আমি পোলাও চাউল না দিয়ে মিনিকেট চাউল দিতে পারি।
LikeLiked by 1 person
ছবি গুলো দেখা যাচ্ছে না।
LikeLike