গ্যালারি

আড্ডাঃ মেজবানী খানা, চট্রগ্রামের ঐতিহ্য (!)


অনেকে আমাকে বলেন, আমি নাকি নেভেটিভ চিন্তা করি। আসলে কি তা! আমি মনে করি, আমি মিথ্যা বলতে চাই না, ফলে আপনার কাছে আমি নেগেটিভ হতেই পারি! সত্য সহ্য করা অনেকের পক্ষে মুস্কিল বলে তারা আমাকে নেগেটিভ চিন্তা করেন। প্রমান সহ উদাহ্রন দিচ্ছি, মনে করেন আমাকে আপনি কিছু খাওয়ালেন, আমি খেয়ে চুপ হয়ে গেলাম। আপনি বার বার জানতে চাইলেন কেমন হয়েছে, আমি এই সময়ে মিথ্যা বলতে পারি না। একদম খাঁটি সত্য হচ্ছে, খাবার ভাল লাগে নাই এবং এমন সাধারণ রান্না আরো অনেক মজাদার করা যায়। যাই হোক, আশা করি আমাকে বুঝতে পারছেন। আপনার রান্না যদি ভাল হয় তবে আমি অবশ্যি প্রশংসা করবো এবং ভাল করেই করবো, দেশবাসীদের জানিয়ে দিবোই!

বাংলাদেশের খাবারের কি আসলে কোন ঐতিহ্য আছে, আমি এক কথাই বলবো, না! আমাদের দেশে আসলে এখনো খাবারের কোন ঐতিহ্য বলার মত হয়ে উঠে নাই। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৭ বছর, এখনো আমরা আমাদের খাবার ভেজাল মুক্তই করতে পারি নাই। আমাদের অনেকে এখনো জানিই না যে, আমাদের খাদ্যে এখনো অনেক ভেজাল হচ্ছে! বাজারে মানুষের খাদ্য হিসাবে পাওয়া অনেক জিনিষ এখনো মান সম্মত নয়! খাবারের মশলা পাতি সহ সব কিছুতেই নকল বা ভেজালের যে পায়তারা তাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে পারে না! নিশ্চিত হয়ে কোন জিনিষটা আমরা খেতে পারছি!

যাই হোক, এত কথা বলার অর্থ হচ্ছে, আমরা খাবারের ভেজাল চাই না। পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা খাবার খেতে চাই, নিশ্চিন্তে! হোটেল রোস্তারার খাবার গুলো খেতে বসে আমাদের যেন চিন্তা না করতে হয়! খাবার নিয়ে ব্যবসা চলবে কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের বাঁচা মরার প্রশ্নের সাথে যুক্ত ফলে খাবারের মান ও দাম সঠিক হতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী থাকবে, খাবারের হোটেল রোস্তারা গুলো যেন তারা সুষ্টু মনিটরিং করে, পাশাপাশি উৎপাদিত খাবারের পন্যের উপর যেন এক বিশেষ নিয়ন্ত্রন আনে। মানুষ বাঁচলেই তো দেশ! মানুষ না থাকলে দেশ দিয়ে কি করবেন?


ছবি ১, আপনারা যারা আমার ব্লগ বা আমার লেখা পড়ে আসছেন তারা আমাকে আশা করি বুঝতে পারছেন। আমি একা থাকলে বা আমার মন খারাপ থাকলে আমি নানান খাবার খেতে বা নানান হোটেলে যেতে পছন্দ করি। তেমনি একটা সময় এসেছিল, গত কয়েকদিন আগে।


ছবি ২, শান্তি নগরের ‘মেজবানী খানা’ নামের একটা হোটেলে খেতে গিয়েছিলাম। অবশ্য অনেক দিন ধরে এই হোটেলে চারটে ভাত খাব বলে চিন্তা করে আসছিলাম। চট্রগ্রামের ঐতিহ্য বলে তারা কিছু খাবার বিক্রি করছে! বিশেষ কায়দায় গরুর গোশত রান্না এবং কালা ভুনা নামের আরেক পদের রান্নাই তারা ছবিতে প্রচার করছে! মুলত এটা একটা আউটলেট, ছোট দোকান, ভিতরে রান্না হয় না। রান্নার কোন ফ্যাক্টরী আছে অন্য কোথাও। সকাল বিকাল খাবার রান্না করে এখানে নিয়ে আসে এবং ওভেনে গরম করে সেই খাবার বিক্রি করে। যাই হোক, হয়ে যাক।


ছবি ৩, মোটামুটি জন ১৬ বসতে পারে এক সাথে।


ছবি ৪, আমি এদের একটা প্যাকেজ নিয়েছিলাম। প্রত্যেক তরকারী আলাদা করে নিলে ৩০/৪০টাকা বেশি পড়তো।


ছবি ৫, গরুর গোশত (স্বাদ সাধারণ, মশলাপাতিতে কিপ্টামী হয়েছে। চট্রগ্রামের এই রান্না আমি অনেকবার খেয়েছি, বিশেষ করে মেজবানে, না সেই স্বাদ খুঁজে পাই নাই। পরিমান খুব কম। দুই পিস গোশত এবং এক টুকরা হাড়। তেল অনেক বেশি!)


ছবি ৬, বুটের ডাল।


ছবি ৭, আলাদা ঝোল।


ছবি ৮, সালাদ।


ছবি ৯, ভাত।


ছবি ১০, খাবার শুরু।


ছবি ১১, এই ছবিটা দারুন হয়েছে! বাংলাদেশের প্রত্যেক পুরুষ হোটেলে খাবার খায় এবং এমন দৃশ্য দেখে থাকে!


ছবি ১২, খাবারের দাম দেখে নিতে পারেন।


ছবি ১৩, ২য় পেইজ।


ছবি ১৪, পান খায় সাইয়্যা হামারা, লাল লাল!


ছবি ১৫, ভ্যাট নেয় নাই! হাস্যবদনে স্বীকার, চুক্তিতে ভ্যাট দেয়! আমিও খুশি!

সবাইকে শুভেচ্ছা। চান্স থাকলে খেতে পারেন তবে মনে রাখার মত খাবার নয়, পেট বাঁচানোর খাবার, দামের তুলনায় না খেলেও চলে।

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]