গ্যালারি

খাবার দাবারের ছবি ও জীবনের কিছু কথামালা (দুপুরের খাবার, ২৪ই মে ২০২৪ইং, শুক্রবার)


নানান সময়ের লেখা কিছু স্ট্যাটাস!

১। অনলাইন/ফেসবুকে কিছু লিখলেই কিছু মানুষ এমন গাইঘুই শুরু করে দেয় বা গায়ের উপর টেনে নিয়ে এমন হিংস্র হয়ে উঠে যে, শেষে ব্লক মেরে রক্ষা পেতে হয়! অথচ নাটক, নভেল, সিনেমায় কত কি দেখায় (প্রায় নাটক সিনেমায় নারীকে অসন্মান বা পন্য হিসাবে দেখায়) কিংবা খবরের পাতায় কত কি লেখে (সব কিছুই তো সরকারের বিরুদ্ধে যায়)! সুবিধা মনে হয় এটাই অনলাইনে ব্যক্তিকে হাতের নাগালে পাওয়া যায় আর ওদের নাগাল পাওয়া যায় না!

২। যারা অনলাইনে কথা বলে আমি মনে করি তারা মুলত আপনার বা সরকারের প্রিয় ব্যক্তি হওয়া উচিত। আপনার দোষ ধরিয়ে আপনাকে সাহায্য করছে এবং আপনাকে সঠিক পথে চলার অহব্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের জন্যও এটা মঙ্গল বিষয়, কারন সরকার টাকা খরচ না করে শুধু চোখ রেখেই জানতে পারছে কোথায় কি হচ্ছে, কোন সিধান্ত জনগণের বাইরে দিয়ে যাচ্ছে বা কোনটা সঠিক হয় নাই ইত্যাদি ইত্যাদি।

৩। অনলাইনে সাহস করে ব্যক্তিটা আপনার ও সরকারের শত্রু নন, তিনি বিবেক হিসাবে কাজ করতে চান মাত্র। ফলে কিছু একটা দেখলেই বা আপনার মতের বিপক্ষের কোন কথা দেখলেই মাইন্ড খেয়ে হামলে পড়বেন না এবং সরকার বাহাদুরকে অনুরোধ করবো, যারা লিখে তাদের আপনারা ডেকে নিয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন, যদি তার ব্যাখ্যার জবাব আপনাদের কাছে থাকে বা বুঝাতে পারেন, তবে তিনি নিশ্চয় বিরুদ্ধে যাবেন না, আর যদি তার ব্যাখ্যার জবাব আপনাদের না থাকে তবে আপনারাও সংশোধন হয়ে বেশী মানুষের ভালবাসা পেতে পারেন।

৪। মানুষের ভালবাসা ছাড়া মুলত এই দুনিয়াতে আর তেমন কিছুর মুল্য নেই (ঘৃণা মানুষ্য সমাজে কাম্য নয়), মানুষের ভালবাসা অর্জন করার সুযোগ নিন!

৫। দেশের প্রায় প্রতিটা মানুষ এখন এমন হয়েছে যে, সামান্য সুযোগ পেলেই অন্য যে কোন দেশে পাড়ি জমাতে চায়, সেই দেশের নাগরিকত্ব নিতে চায়! যাদের অর্থ, বিদ্যা বুদ্ধি আছে তারা চলেই যাচ্ছে, কোন ভাবেই কাউকে রুখানো যাচ্ছে না! এই সব নিয়ে চিন্তা করলে আমি যা ভেবে পাই, তার প্রধান কারন পাই দেশের দূর্বল ব্যবস্থাপনার শাসন, আজকাল মানুষের চোখকান খোলা, সবাই সব বুঝে, মুখে বলে না, মনে ঠিকই পুষে আছে! (সরকারের উচিত গবেষণা করে বের করা, কেন মানুষ এমন হচ্ছে!)

৬। স্ত্রীর সাথে সমঝোতা করে, ঝাগড়া বিহীন দিন কাটানো মনে হয় শয়তানের পক্ষেও সম্ভব না!

নিজের কিছু কথাঃ প্রবাসী জীবন শেষ আমি দেশে ফিরে ডেফোডিল গ্রুপ, ডলফিন গ্রুপ, একমি গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ল্যাবএইড গ্রুপ (এরা সবাই মুলত গ্রুপ অফ ইন্ডাষ্টিজ) সহ আরো কয়েকটা কোম্পানীতে (নাম হয়ত পরে মনে পড়বে বা এই লেখা শেষ হলে) কাজ করেছি (বড় পোষ্টেই এবং সরাসরি মালিকদের সাথেই কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং ভাল কর্মী হিসাবেই পরিচিত পেয়েছি, এই ফেবুতেই অনেকে আছেন যারা আমার সহকর্মী ছিলেন, তারা আমার কাজ কি ছিলো বা কেমন কাজ করতাম তা বঅলতে পারবেন), পাশাপাশি নিজেও কিছু না কিছু করেই গেছি, এমন কি শেয়ার মার্কেট সহ নিজেও শেয়ারে একটা ইলেক্ট্রনিক কোম্পানী সহ একটা সাপ্লাই কোম্পানী খুলে ছিলাম! আরো কত কি!

এই কথা গুলো লিখলাম এই জন্য যে, এই যে নানান সময়ে নানান কথা লিখি, আপনারা হয়ত ভাবেন যে, অভিজ্ঞতা ছাড়াই লিখে ফেলছি, আসলে তা নয়, আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ লম্বা, সাইজেও বেশ বড়! নেশায় বুধ হয়ে কোথায় পড়ে থাকি নাই, অন্যায় আর সইতে না পারলে নিজেই তাদের ত্যাগ করে চলে এসেছি (আমি কোথায় হতে ছাটাই বা তারা আমাকে বাদ দেয় নাই, নিজেই পদত্যাগ পত্র লিখে জমা দিয়েছি), অবিচার হতে দেখলে প্রতিরোধ না করতে পারলে নিজেই বের হয়ে এসেছি! অভিজ্ঞতার আলোকেই বলি বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিদের আমার চেয়ে কে বেশি চিনে? এদের নিয়ে গল্প লিখলে সেই জমজমাট কাহিনী হয়ে যাবে!

আর বাকী থাকে বিবাহ অভিজ্ঞতা! বিবাহে আমি ২৬ বছরে আছি আপনাদের দোয়ায়!😂

যাই হোক, আসুন গতকাল ছুটির দিনের খাবার দাবারের ছবি দেখি, গতকাল বাজার করেছিলাম সকালে, নামাজের আগে। গরুর গোশ্ত রান্না হয়েছিল, সাথে সামান্য সবজি, আজকাল বেশি তরকারী রান্না যেন বিলাসিতা! আয়ের তুলনায় ব্যয় খুব বেশি, যে কোন সবজি ৬০/৮০ টাকার নিচে নয়, মধ্যবিত্তেরা উপায় হারিয়েছে অনেক আগেই, এখন যত কম খেয়ে বেঁচে থাকা যায় অবস্থা প্রায় পরিবারের। জমানো টাকা অনেকেই ভেঙ্গে খাচ্ছেন, আমিও এই দলে। চলুন, খাবারের ছবি দেখি।

মিক্স চাইনিজ সবজি
গরুর গোশ্ত রান্না, আলু ঝোলে।
পোলাউ।
আমার প্লেট।
বড় করে তোলা।

সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম খিলগাঁও এলাকার দিকে, মানুষের ভীড়ে দাঁড়ানো যায় না, চারিদিকে মানুষ আর মানুষ।

সবাইকে ধন্যবাদ, সবাই ভাল থাকুন, আনন্দে কাটুক আপনাদের সারা জীবন। আপনাদের জীবন ভরে উঠুক আনন্দে ও ভালবাসায়।

রান্না কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন।

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]