আমি মোটামুটি প্রায় সব কিছু খাই। তবে এখনো দেশীয় বাজারে পাওয়া যায় এমন অনেক কিছুই খাওয়া হয় নাই। প্রায় বাজারে সবজি দোকানে এমন এক ধরনের শিম পাওয়া যায়, কোনদিন কিনতে চেষ্টা করি নাই। গতকাল রাতে কিনেই ফেললাম। দোকানীকে এই শিমের নাম জিজ্ঞেস করলাম, কি যেন বলেছিল – এখন আর মনে নাই! আহ
এদিকে এই শিম কিনে বাসায় গিয়ে বিরাট কাহিনী, বুলেটের মায়ের কথা তুমি আর কি কি খাবে? আমি বললাম, এটাও আমার রেসিপি প্রচেষ্টা। আমাকে বাংলাদেশের প্রায় সব খাবারই খেয়ে দেখতে হবে! যাক, তিনি কিছুটা ঠান্ডা হলে আমি বললাম – কি করে ভর্তা বানানো যেতে পারে? তিনিও এই শিম কখনো খান নাই। শুরু হল আমাদের ফোন করার পালা।
(এই শিমের মুল নাম জানলে জানানোর অনুরোধ করে গেলাম)
আমার ব্যাটারী সাহেবান কয়েক জায়গায় ফোন করে কিছু না পেয়ে অবশেষে আখাউড়ায় আমার শশুর সাহেবকে ফোন করলেন, রাত তখন প্রায় ১০ টা। হা, আমার শশুর তার মেয়েকে এই শিম খাবার একটা সহজ রেসিপি বলে দিলেন। আমরা রান্নায় লেগে গেলাম। এটা আসলে ফর্মুলা অনুসারে এক ধরনের ভুনা। তবে এই শিমের ভর্তাই নাকি বেশ লাগে।
আজ সকালে অফিসে এসে, এই শিমের নাম বের করার জন্য আমি মোটামুটি ৮/৯ জায়গায় ফোন করেছি। নাম জানতে পারলাম না। তবে আমার রান্নাতো আপা সিলেট থেকে জানালেন, এটাকে পাহাড়ী শিম বললে সবাই চিনতে পারবে। সিলেটি ভাষায় ‘জংলী উরি’! উরি মানে শিম।
চলুন দেখি কেমন হল আমাদের এই প্রচেষ্টা আই মিন আমার শশুরজীর রেসিপি। তার জন্য আপনাদের দোয়া চাই।
প্রণালীঃ
শিম গুলে কেটে (ভিতর পরিস্কার করে, বিচি ফেলে এবং পাশের আঁশ ফেলে) পানিতে সামান্য লবণ যোগে ভাল করে সিদ্ব করে ফেলা হল।
এবার একটা ছোট গ্লাস দিয়ে ভাল করে মিহিন করার চেষ্টা করা হল।
কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি আর কাঁচা মরিচ এবং সামান্য লবন যোগে ভেজে ফেলা হল।
পেঁয়াজ কুচি হালকা হলুদ হয়ে আসলে গলানো শিম তাতে ডেলে দেয়া হল।
ভাল করে আবারো ভেজে নেয়া হল। ফাইন্যাল লবণ দেখা হয়েছে।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
আমার কাছে খেতে বেশ ভালই লেগেছে। ভর্তার মত ঝাল আর ভুনার মত স্বাদ। পাহাড়ী শিমের গুণগান গাইতেই হয়।
হা হা হা!
এই শিমের ভর্তা ছাড়া খাওয়া যাবেনা বোধহয়। বুনো গন্ধ লাগেনি তো?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। সিদ্ব করার সময় একটা ঘ্রান বের হয়েছিল। তবে ঘ্রানটা ছিল সাধারন শিমের মতই, একটু বুনো।
খাবার সময় তেমন ঘ্রান লাগে নাই!
শুভেচ্ছা। আপনি অনেকদিন পর রেসিপিতে এলেন। আপনি পোষ্ট লিখছেন না তেমন, ব্যাপারটা মানা যায় না। লিখুন প্রতিদিন কিছু না কিছু।
LikeLike
এই বস্তু অনেক আগে একবার কিনেছিলাম। রান্না করে সে এক কেলেঙ্কারী! ব্যস, সেখানেই ইতি। আজ দুপুরে উদরাজী সাহেব ফোন করে নাম জানতে চাইলে অপারগতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। মনে মনে ভাবলাম, আজ কপালে দুঃখ আছে! ঠিকই, আমার ধারণা ঠিকই হলো। সেই শিম এই রাত-বিরেতে ভর্তা বানিয়ে এনে সামনে ধরলেন সাহাদাত উদরাজী। না, ভর্তা মোটামুটি স্বাদে মন্দ নয়, তবে ঝাল খুবই বেশি!
LikeLike
হা হা হা… এক জীবনে এমন কাজ একবার করাই যথেষ্ট! তা কেমন বকাঝকা খেলেন তা তো বলেন নাই। সরমের কি আছে, আমরা আমরাই তো! আসেন কোপালে কোপাল ঠেস দেই।
আমাদের প্রচেষ্টা চলবেই।
LikeLike
প্রিয় সাহাদত ভাই এই সিমের নাম খুব সাধারণ, *বনসিম।* সন্দেহ হলে জানাবেন।
LikeLike
‘জংলী শিম’ হলেই বেশি যুতসই হয়!
LikeLike
‘বরবটি সিম’ আমার মনে ধরছে হুদা ভাই! খাবার জিনিষ জংলী বলবেন! হা হা হা…।
LikeLike
খালিদ ভাই, আপনাকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম আমার রেসিপি ব্লগে। ফুলের তোড়া নিন। ইজি রেসিপি আপা কেমন আছেন? তিনি আপনাকে কি এই সিম খাইয়েছেন?
আপনার নাম ভাল লাগল। আরো কিছু নাম পাওয়া গেছে! দেখা যাক শেষে কি দাঁড়ায়। তবে পাহাড়ী এলাকা থেকে দাইফ ভাই বলেছেন এটাকে পাহাড়ে বসবাস করা সবাই বলেন, বরবটি সিম। বেশ ভাল নাম।
শুভেচ্ছা। মাঝে মাঝে দেখে যাবেন। ইজি আপাকে সালাম দেবেন।
LikeLike
পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষরা একে বলে “বরবটি সিম”। (আমি কিন্তু এখন এক পার্বত্য অঞ্চলে আছি এবং এখানকার একজনকে জিজ্ঞেস করেই নামটি ভাল করে জানলাম।)
তবে আমরা শহুরেরা “পাহাড়ী সিম” বা “বনসিম” বলেই চালিয়ে দেই।
আর এর ভর্তা কিন্তু সত্যি অনেক স্বাদের!
অনেক চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন সাহাদাত ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই। পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন?
হা হা হা… বরবটি (লম্বা) এবং সিমের(সাইজ) মতই তো! বরবটি সিম। বেশ ভাল নাম।
পাহাড়ি ভাই বোনদের থেকে এর ভর্তা বানানোর রেসিপি জেনে নিন। আমাদের কাজে লাগবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
It will be very nice of you, if you tell us how to make bhorta of this shim. Thank you.
LikeLiked by 1 person
এই শিমের কথা গত ৩ দিন আগে একজন থেকে শুনেছিলাম। এখন চিনলাম। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ রুমান ভাই। আসলে এই শিম নিয়ে আমাকে আরো জানতে হবে। খুঁজে দেখছি।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এটাকে সাধারণত রানার বিন বা ফ্ল্যাট বিন বলা হয়।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। রানার বিন শুনতে ভালই লাগছে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
বাহ ! আমি কোনদিন সাহস করে এ শিম কিনিনি। এবার হাটবারেই এ শিম কিনতে হবে ভাবছি। এ শিম দিয়ে ভর্তাটা কিভাবে করা যায় সাহাদাত ভাই। একটু জানাবেন কি?
LikeLike
আমরা ঢাকাতে এই শিমকে বলি মউশিম বা মৌ-শিম। আমাদের বাড়িতে একসময় শীতের সবজি হিসেবে লাগানো হত। নরমাল শিমের মতই ভর্তা খাওয়া যায়, খুব মজা হয় খেতে।
LikeLike
এই শীমকে রাংগামাটিতে লত শীম বলে…
LikeLike
ধন্যবাদ তানিম ভাই। লতশীম নামটা শুনে বেশ ভাল লাগলো।
একবার রাঙ্গামাটি যাব বলে ভাবছি। কিছু পাহাড়ী খাবার দাবার সংগ্রহ করতে হবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ae semar nam (mou-sem) ae sem koche golo chenre ar notun allor satha vaje khatao moja.
LikeLike
ধন্যবাদ।
মৌসীমের নাম শুনে ভাল লাগল। কচি এই সীম আর আলু দিয়ে একবার ভেঁজে খেয়ে দেখবো। বাজারে পেলেই কিনবো।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এটার নাম ফেঞ্চি শিম…।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
এই দুনিয়াতে কত কি খাবারের আছে!
তবে এই শিমটা আর কেনা হয় নাই। বাজারে দেখেছি কিন্তু রান্নার সাহস আর কুলাচ্ছে না!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Ai sem akdom kochi thakte khete hoy, boro hoye sokto hoye gele testless hoye jay….
LikeLike
kau kau atak dhakaia sem bale.ar gram alakay bale moifal osi.
LikeLike
Amader alakato ak dhaki sem bole..
LikeLike
Yongchak..
LikeLike
এই মাত্র কিনলাম এটা Toronto-Canada এর “সরকার ফুডস” থেকে. নাম লেখা ছিল “মৌ সীম”. আপনের রেসিপি অনুযাই রান্না করে কালকে, জনাব কেমন হলো.
LikeLiked by 1 person
ভালই হয়েছিল. আমি শুকনা মরিচ পিয়াজ দিয়ে ভর্তা করেছি. পরেরবার চিংড়ি দেব. গরম ভাতের সাথে ভালো গিয়েছে.
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকে। আনন্দে সময় কাটুক।
LikeLike
এই শিমের নাম মৌশিম। বরিশালে অনেক পাওয়া যায়।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
এই শিমের নাম জেনে ভাল লাগলো।
কোন রেসিপি থাকলে জানালে খুশি হতাম।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Fava beans.
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
মৌ সীম
LikeLiked by 1 person
এই শিমের নাম মৌ শিম। অনেক এলাকায় এটা রাজ শিম নামেও পরিচিত।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ, আবার চোখে পড়লে কিনবো। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
আমিও আজ এই সিম দিয়ে তরকারি রান্না করেছি।…
প্রথমবারের মত খেয়েছি, যদিও এই সিম অনেক আগে দেখেছি।
তরকারীটা খুব ভালই লেগেছে, আমার মা রান্না করতে চাই নি।
এক ধরণের জোড়পূর্বক রান্না করেয়েছি।.
আমাদের পাহাড়ী এলাকায় এটাকে সবাই “গারো সিম” বলে ডাকে।
আমার মা বলেছে এই সিমের নাম “হাতিয়া সিম”
তবে অনেক গুরুজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
কেউ বলেছে এটার নাম মৌ সিম, আবার কেউ বলে রাজ সিম।
আবার কেউ কেউ একে পাহাড়ী সিমও বলে থাকে।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকে। হাতের কাছে পেলে এই শিম রান্না করে খেতে চেষ্টা করবো আবার। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
আমাদের খুলনায় বলি “কলা শিম”
অনেক এলাকায় মৌ শিম বলে থাকে।
এটা ভর্তা এবং ভাজি করে খেতে ভাল লাগে।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ।
LikeLike
এটাকে মৌশিম বলে
LikeLiked by 1 person