গ্যালারি

তিমি মাছের ঝোল এবং…


[লেখাটা এখানে কপি পোষ্ট করা হল (অনুমতি পরে নেয়ার চেষ্টা চলবে)। লেখক আলী মাহমেদ শুভ ভাই  তার ব্লগে আমাকে নিয়ে এমন লিখা লিখেছেন আর আমি বেশরমের মত তা এখানে এনে রাখছি, যাতে আমার প্রিয় রেসিপি পাঠক/পাঠিকা বন্ধুরা আমার প্রসঙ্গে জানতে পারেন!! হা হা হা… আসলে ভালবাসার এই দুনিয়ার ভালবাসলে কিছুই শেষ হয়ে যায় না। আমার আর কি বলার আছে! বার বার মনে হচ্ছে যদি সত্যি তিমি মাছের ঝোল রান্না করতে পারতাম!]

সাহাদাত উদরাজী (https://udrajirannaghor.wordpress.com) নিজের ব্লগসাইটে লেখালেখি করেন। তাঁর লেখার বিষয় খানিকটা অন্য রকম। তিনি নিয়মিত লেখেন, রান্নাবান্না নিয়ে। রান্না কি জানি, বান্না জানি না। ভুল বললাম, রান্নাও জানি না। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমি একজন কঠিন (!) রান্নাবাজ। কেবল পানি গরম করতে পারি। 🙂

আমি কি কারণে যেন গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম, নিজের নাম লিখে; ওখানে একটা লেখার লিংক পেয়ে যাই: রেসিপি আখাউড়ার ছিটা পিঠা (http://tinyurl.com/a6pmtnq)। লেখাটা পড়ে ভাল লাগল কিন্তু …। যে মানুষটা একবার মাত্র আখাউড়া গেছেন তিনি আখাউড়া সম্বন্ধে ওখানে লিখেছেন:

…সীমান্তবর্তী বলে মাদকের ছোঁয়া এত বেশী যে, ঘরে বসেই নানান মাদক দ্রব্য হাতের কাছে পাওয়া যায় আর এই কারনেই এই এলাকার ছেলে মেয়েরা তেমন একটা উন্নতি করতে পারে নাই। সামান্য কিছু লোক ধনী, বাকীরা এখনো গরীবই রয়ে গেছে। পড়াশুনায় এই এলাকার লোকজনের মন আছে বলে আমার মনেই হয় না! বিরাট রেলজংশন থাকার কারনে এই এলাকার মানুষজন আরো বেশী ধুর্ত এবং চালাক কিন্তু কাজের কাজ কিছুই নয়।…”

এটা পড়ে আমার মেজাজ খুব খারাপ হলো। আমি কঠিন এক মন্তব্য করলাম:
“কিছুই আপনার ঈগল-চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি দেখছি! সমস্ত জীবনে কেবল একবারই আখাউড়া গিয়ে (ভাগ্যিস, একবারই গিয়েছেন, বারবার গেলে কী হত এটা ভেবে শিউরে উঠতে হয়) আপনি আখাউড়া সম্বন্ধে যে বর্ণনা দিয়েছেন, বিশদ লিখেছেন তা আপনার বিপুল জ্ঞানের সামনে আমাদেরকে দাঁড় করিয়ে দেয়।…”

ওয়াল্লা! আমি আরও ভেবেছিলাম, মানুষটা তরমুজ-টমেটোর মত ক্ষেপে লাল হয়ে যাবেন। তারপর আমার দিকে শব্দের মিসাইল-টিসাইল ছুঁড়ে মারবেন। কিন্তু তিনি এর উত্তরে দুম করে একটা পোস্ট দিয়ে বসলেন, ধনিয়া পাতায় চিংড়ি ভুনা (http://tinyurl.com/bqx895z)। হা হা হা, মানুষটাকে বলা হয়নি, চিংড়ি আমার ভারী অপছন্দের।

তো, ওই পোস্টে মন্তব্য করতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু আমার সম্বন্ধে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলার কারণে কেমন লজ্জা-লজ্জা করছিল। উপায় না-দেখে মন্তব্য করলাম, “….আসেন আখাউড়ায়, তিমি মাছের ঝোল খাওয়াব…”।

ইদের দিনই দেখি মানুষটা ঠিক ঠিক এসে হাজির! মানুষটার মধ্যে খুব তাড়া। মাত্র দশ মিনিটের মধ্যেই নাকি তাঁকে চলে যেতে হবে। এই দশ মিনিটটা রাবারের মত টানতে টানতে তিন ঘন্টা হয়ে গেল! মানুষটা ফিরে গিয়ে দেখি সিরিজ লেখা শুরু করলেন:

আড্ডা, …পর্ব, এক: http://tinyurl.com/az6kx9e
আড্ডা, …পর্ব, দুই: http://tinyurl.com/al2jrm8

আসলে কিছু মানুষ যা দেখে তাতেই মুগ্ধ হয়। আফসোস, এত মুগ্ধতা নিয়ে আমি যদি জন্মাতে পারতাম! আর এই মানুষটাকে যেটা বলা হয়নি; ওদিন, ইদের দিন আমার মন অসম্ভব খারাপ ছিল। মানুষটার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কখন মন ভাল হয়ে গিয়েছিল তা আমি নিজেও জানি না। …।

6 responses to “তিমি মাছের ঝোল এবং…

  1. শেষমেশ তিমি মাছের ঝোল খাওয়া হয়েছিলো কিনা তা কিন্তু জানা হয়নি 😛 😀

    Like

  2. আলী মাহমেদ শুভ ভাই নিজেই যেন এক তিমি। তার সংগ্রহ আর আগ্রহ তাকে তিমিসম করে তুলেছে। রান্না করে খাওয়া লাগে না, তার সাহচর্যই তো মন ভরিয়ে দেয়। তার লেখার হাতও অতি চমৎকার!

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]