গ্যালারি

রেসিপিঃ সামুদ্রিক ছোট কোরাল ভাজা


বাজারে ভিন্ন মাছ দেখেলেই কেনার একটা চেষ্টা আমি করি সব সময়। এটা আমি খেয়াল করেছি যে, মাঝে মাঝে ঢাকার প্রায় সব বাজারে এমন নানান ধরনের মাছ পাওয়া যায়। হঠাত হঠাত এই ধরনের মাছ পাওয়া যাবার কারন হয়ত, মাছের চালান। সমুদ্রে যখন যে মাছ বেশি ধরা পড়ে সেই মাছ হয়ত আমরা বেশী দেখি।

আমার মাঝে মাঝেই ইচ্ছা হয় আমার বাড়ী যদি সমুদ্রের ধারে হত! তা হলে সমুদ্র থেকে ধরে আনা নানান প্রজাতির মাছ দেখে ও খেয়ে মন ঝুড়াতাম! হা হা হা…। আর সমুদ্রের মাছের শুঁটকী বানাতাম! সে যাই হোক, সমুদ্রের মাছ যাই হোক না কেন, পেলেই প্রথমে তা ভাজি করি। ঠিক এমনি গতকাল রাতে অফিস ফেরার পথে বাজারে প্রবেশ করি, যা আমার নিত্য অভ্যাস। মাছ বিক্রেতা জানাল এই মাছ গুলোর নাম, সামুদ্রিক ছোট কোরাল। আমি হেসে উঠি, দেখতে কোরালের বাচ্চাই মনে হয়, তাই সে হয়ত এমন নাম দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। কোরাল মাছ খেতে এমনিতেই সুস্বাদু হয়।

চলুন খুব কম মশলাপাতিতে এই সামুদ্রিক কোরাল ভাজা দেখি। আশা করি আপনারাও মাছ ভেজে খাবেন! হা হা হা… মাছ ভাজাও খুব সহজ কাজ তবে শুধু ধৈর্য থাকতে হবে। মাছ ভাজিতে ধৈর্য থাকা চাই, চুলার কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।

উপকরনঃ (পরিমান মাছের উপর নির্ভর করে)
– সামুদ্রিক কোরাল মাছ (তিনটে মাছ)
– এক চামচ লাল মরিচ গুড়া (ঝাল বুঝে!)
– এক চামচ হলুদ গুড়া
– সামান্য ফিস সস
– পরিমান মত লবন
– তেল

প্রনালীঃ

ছবি ১


ছবি ২


ছবি ৩ – মশলা মাখিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।


ছবি ৪


ছবি ৫


ছবি ৬


ছবি ৭


ছবি ৮

সবাইকে শুভেচ্ছা।

15 responses to “রেসিপিঃ সামুদ্রিক ছোট কোরাল ভাজা

  1. ফিস সস জিনিসটা কি তা যদি জানিয়ে দেন বা কিভাবে বানাবো বা কোথায় পাব বলে দেন, তাহলে এই মাছ ভাজা করতে সুবিধা হবে।

    Like

    • ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই। বাজারে গ্রোসারী শপে বোতলে একধরনের সস পাওয়া যায়। গায়ে লিখা থেকে ফিস সস, এটাই। এই সস কয়েক ফোটা দিলে মাছের স্বাদ বেড়ে যায় এবং ঘ্রান ভাল লাগে।

      এশিয়ার নানান দেশে বিশেষ করে চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে মাছ রান্নায় ফিস সব ব্যবহার করা হয় বা শুধু এই ফিস সস দিয়েও মাছ রান্না করা হয়। মাছ নরম বা পাচা ঘ্রান বের হলে এই সস তা কমিয়েও দেয়। হা হা হা।।

      আশা করি আগামীতে নিয়মিত থাকবেন। সস না হলে নাই। সস ছাড়াই মাছ ভেজে নিন, ভাল লাগবেই। তবে যে কোন কিছু ভাজিতে সাবধান থাকবেন। চুলা থেকে একটা নিদিষ্ট দূরে দাড়াবেন। ।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. খুব সুন্দর হয়েছে।

    Like

  3. কিছুদিন আগে মাছওয়ালার কাছে ধরা খেয়েছি। ২টা ইলিশ কিনে ফ্রীজে ফেলে রেখেছিলাম। সেদিন একটা কেটে ভাজি করে খেতে গিয়ে তো আমি পুরাই তব্দা! ঃ০
    মাছের টুকরা শক্ত, মাছের চামড়া রবারের মত শক্ত। সামুদ্রিক মাছ এটা বুঝতে পারছি। কিন্তু হুবহু ইলিশের মত কি এই মাছ তা জানিনা। বাকি একটি ফ্রীজে আছে। ওটার ছবি দিবো। দেখি আপনি চিনেন কিনা।

    Like

    • হা হা হা…। হা, আজকাল এমন হচ্ছে বোন। অন্যমাছটা কাটার আগে ভাল করে উল্টা পাল্টা করে কয়েকটা ছবি তুলে আমাদের দেখান, আমরা দেখে নেই!

      এই মাছগুলোকে কোরাল বললেও আমি খেতে কোরালের স্বাদ পাই নাই! দেখতে কোরালের কাছাকাছি হলেও কোরাল নয় বলেই মনে হয়েছে।

      তবে যে কোন মাছ খাওয়া যেতে পারে! তাই না ফেলে খেয়ে নেয়াই উত্তম।

      রান্নাতো বোন, আপনাকে সিলেটে গিয়েই দেখে/আড্ডা আসব বলে ভাবছি। বুলেট সিলেটে এখনো যায় নাই, ওকে নিয়ে যেতে হবে।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  4. mach ranna r sathe sathe mach kata r system tao shikhale valo hoi.sudhu mach kat te janina bole onek mach kinte parina.:(

    Like

    • ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই, আসলে মাছ কাটা এবং ধোয়া সত্যি কঠিন কাজ। এই কাজ আমাদের মা,বোন, মেয়ে ও স্ত্রী করে আসেন আমাদের পরিবার গুলোতে। এই জন্যই নারীদের একটা আলাদা সন্মান করা উচিত। আমি নিজেও এখনো ভাল মাছ কাটতে পারি না, তবে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি।

      ইচ্ছাই আসল কথা এবং ধৈর্য। কোন চেষ্টাই আসলে বৃথা যায় না। তবে আমি মাছ সাধারণত বাজার থেকেই কেটে নিয়ে আসি (অন্তত মাছের আঁশটে ফেলে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে আসি) আর বড় মাছ ছবি তুলতে হলে গোটাই নিয়ে আসি।

      স্ত্রী আগে রেগে গেলেও এখন আর রেগে যান না। আমি সাহায্য করি এবং পাশে বসে গল্প করি। যাতে তিনি ভাল সময় কাটান। হা হা হা…

      রান্নায় পুরুষদের এগিয়ে নিয়ে আসাই আমার রেসিপি লিখার একটা উদ্দেশ্য।

      আশা করি সাথে থাকবেন। শুভেচ্ছা।

      Like

  5. আমার হাতে মাছটা মনে হয় একটু কমই ভাল হয় 😦

    Like

    • হা হা হা। আমি ভাজি এখনো শিখছি। তবে মাছ ভাজিতে বিশাল ধৈর্য থাকতে হয়। এক পিট ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টাতে হয়। ধৈর্যহীন হয়ে বার বার খুন্তি হাতে চেষ্টা করলে ভাজা ভাল হয় না…

      যে কোন কিছু তেলে ভাঁজতে সাবধান থাকবেন।

      ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা বোন।

      Like

  6. খুলনা অঞ্চলে ছোট কোরাল ‘পাতাড়ি’ নামে অভিহিত। একটু বড় হলে হয়ে যায় ‘ভেটকি’। বিরাট হলে কোরাল। এখনও জানি না সঠিক, পাতাড়ি, ভেটকি আর কোরাল একই মাছের বিভিন্ন আকারের কারণে প্রাপ্ত কিনা এ সব নাম।
    যে ছবি দিয়েছেন, তা উপরে উল্লেখ করা মাছের কোনটির সাথে মেলে না।
    জেলেরা যাকে মাছ নামে ডাকে, পানির তেমন সকল প্রাণীই মাছ হিসেবে খাওয়া যায়; তা সেটা মাছ হোক বা না হোক। স্টার ফিশ মাছ নয়, তবে এর পাথুরে শরীরের কারণে তা অখাদ্য। তিমি মাছ নয়, মাছ নামে পরিচিত – কাজেই খেতে কোন বাধা নেই। কাট্ল ফিশ মাছ নয়, ঝিনুক জাতীয় প্রাণী – মাছ হিসেবে খাওয়া হয়।

    Like

  7. পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD

  8. আমি একজন মাছ চাষি কোরাল, ভেটকি, পাতাড়ী এক ই মাছ

    Liked by 1 person

    • হ্যাঁ, ধন্যবাদ। বাংলাদেশে কোরাল বলে বেশীর ভাগ অঞ্চলে, কলকাতাতে ভেটকি বা পাতাড়ী বলতে শুনেছি। এই মাছের স্বাদ দারুন। বাংলাদেশে বেশির ভাগ পরিবার এই মাছ ঝোল ঝালে রান্না করে, কলকাতায় দেখেছি কলাপাতায় পেঁচিয়ে আগুনে পুড়িয়ে পরিবেশন করে, দুইভাবেই দারুন স্বাদ। শুভেচ্ছা আপনাকে।

      Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]