দুনিয়াটা এখন এমন হয়েছে যে, প্রতিটা সেকেন্ড বাঁচতেই যেন টাকা আর টাকা! টাকা ছাড়া এক কদম পা ফেলার জায়গাও নেই যেন! প্রতিটা শ্বাসেই টাকা দাও টাকা দাও! আশে পাশের সবাই দাও আর দাও! অন্যদিকে যে রুজি করে সে বুঝে কত ধানে কত চাল! যে রুজি করে সে নিজের জন্য এক টাকা খরচেও চিন্তা করে, আর ডিপেন্ডেরা যেন খরচ করেই শান্তি! যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে, চাহিদা মেটাতেই মুলত একজন লোক প্রতারক হতে বাধ্য হয়ে যায়, আর প্রতারণার রশিতে একবার ঝুলে গেলে এই জন্মে আর মুক্তি নেই, এই পথে থেকে ফেরার কোন রাস্তা নাই, ওয়ান ওয়ে! যারা ঘুষ সুদ কমিশন দালালী ফাইল আটকে খায়, তারা কি জানে না যে, এটা উচিত হচ্ছে না, জানে, বুঝেও, কিন্তু তার চাহিদা তাকে বাধ্য করে দেয়, তার মনের কথা সে কাউকে বলতে পারে না, কারন তার সামনে দুইটা পথ, দাও – নাইলে মরে যাও! এই দুনিয়াতে কে না বেঁচে থাকতে চায়, ফলে প্রতারণা বা ভুল পথে টাকা রুজিতে জড়িয়ে পড়ে!
তবে সমাধান আমার কাছে একটাই মনে হয়, তা হচ্ছে রাষ্ট্রের সুশাসন, রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা যত বিশ্রী হবে মানুষ তত ভুল পথেই জড়িয়ে যাবে, মানুষ যত বুঝতে থাকবে, অন্যায় করলে কিছু হবে না, বিচার হবে না, তখন সে সেই পথেই চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করবে, প্রিয়জনদের কাছে সাধু থাকার কিংবা তাদের চাহিদা পূরণ কিংবা বাঁচার জন্য সে গোপন পথ ধরবেই! রাষ্ট্রে সুশাসন থাকলে যে কোন নাগরিক তার মৌলিক অধিকার পায়, কম টাকায় বাঁচার পথ খুলে, ফলে তাকে ভিন্ন চিন্তা করতে হয় না! পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় আইটেমের দাম, শিক্ষার সহজ ফি, চিকিৎসা সহ এমন সাধারন বিষয় গুলোর একটা মার্জিন থাকলে, কে যেতে চাইবে অন্যায়ের পথে! আমরা সবাই জানি মরলেই লাশ, সাড়ে তিন হাত জায়গা কিংবা চিতায় পুড়ে ছাই!
যাই হোক, অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা হয়, সুশাসন না থাকার সেটাও প্রকাশ করা যায় না, আমাদের দেশে এখন পরিবারের আয় ব্যয় একদম ভিন্ন মুখি, সমান্তরালও নয়!
চলুন, গত শুক্রবারের দুপুরের খাবারের ছবি দেখি, আজকাল সব কিছু কেমন যেন পানসা! কোন মতে বেঁচে থাকার চেষ্টা!
সবাই ভাল থাকুন, আনন্দে আপনাদের সময় কাটুক, পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল থাকুন।
রান্না কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন