গ্যালারি

রেসিপিঃ পেঁয়াজ কলি ও ডিম ভাজি (ব্যাচেলর্স অনলি)


ব্যাচেলরদের (বিবাহিত ব্যচেলর সহ) জন্য আমার মন সব সময়েই কাঁদে। খাবার দাবারে ব্যাচেলররাই সব সময়ে বেশী কষ্ট পেয়ে থাকে। রান্নাবান্না না জানলে এই কষ্ট আরো বেশী বেড়ে যায়। অনেক সময় পকেটে টাকা থাকে না, ফলে দামী খাবার খাওয়া যায় না আবার চাইলেও কম দামী ফুটপাতের খাবার খাওয়া যায় না ফলে জীবন দুঃসহ কষ্টকর হয়ে উঠে। বিশেষ করে দেশী ব্যচেলর গন কোন মতে জীবন চালালেও প্রবাসী ব্যচেলররা বেশী কষ্ট করেন, এটা আমার অভিজ্ঞতায় বলে।

এ ছাড়া ব্যচেলরদের (মহিলা ব্যাচেলর সহ) একটা আলাদা অহংকার থাকে, না খেয়েও বলে খেয়েছি! আমি তাই এই দুনিয়ার সব ব্যচেলরদের বলি, মশাই রান্না শিখে নিন। আলাদা ফুটানী ছেড়ে খাঁটি বাস্তবে আসুন, নিজের খাবার নিজে রান্না করুন, জীবন আরামে কাটান। নিজে রান্না জানলে ভাল স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাবেন আবার টাকাও বাঁচবে! জীবন তো একটাই! কি বলেন?

চলুন, আজ একটা সাধারন খাবার রান্না দেখাই, সময় কমে। শুধু গরম ভাতের সাথে আপনি এই খাবার খেয়ে আরামসে কাজে যোগ দিতে পারেন। চলুন –

উপকরনঃ (ছবি দেখেও পরিমান অনুমান করতে/বুঝতে পারবেন)
– পেঁয়াজ কলি, ২০০/৩০০ গ্রাম (দুইজনের জন্য)
– ডিম, দুইটা হলে ভাল, না হলে একটা
– পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি, একটা
– দুই চিমটি হলুদ গুড়া
– সামান্য চিনি,
– কাঁচা মরিচ ফালি, ঝাল বুঝে কয়েকটা
– লবন, পরিমান মত
– তেল, সয়াবিন, কয়েক চামচ

প্রনালীঃ

ছবি ১, এভাবে কাটুন। (এই ছবিটা আগের একটা পোষ্ট থেকে ধার করা)


ছবি ২, ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।


ছবি ৩, কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ ফালি ও সামান্য লবন দিয়ে ভাঁজুন।


ছবি ৪, পেয়াজের রঙ হলদে হয়ে এলে দুই চিমটি হলুদ দিন এবং মিশিয়ে আবারো ভাঁজুন।


ছবি ৫, এবার পেঁয়াজ কলি দিন।


ছবি ৬, নাড়িয়ে মিশিয়ে নিন।


ছবি ৭, এবার আগুন কমিয়ে ধাকনা দিয়ে মিনিট ১০ রাখুন। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না, আগুন বাড়ালে বা ভুলে গেলে পুড়ে যেতে পারে।


ছবি ৮, পেঁয়াজ কলি নরম হয়ে গেলে ঢাকনা সরিয়ে নিন।


ছবি ৯, মাঝে ফাকা করে ডিম ভেঙ্গে দিন। পরিমান বুঝে ডিম দিতে হবে, ডিম বেশী হলে স্বাদ বেশী নিশ্চিত!


ছবি ১০, ডিম নাড়িয়ে ভেঙ্গে দিন।


ছবি ১১, এবার মিশিয়ে আগুন বাড়িয়ে ভাল করে ভেঁজে নিন।


ছবি ১২, ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন।


ছবি ১৩, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ১৪, স্বাদ কি আর বলবো, অসম। এমন একটা ভাঁজি দিয়েই তো এক বেলা চালিয়ে দেয়া যায়। কি বলেন ব্যাচেলর্স এ্যাসোসিয়েশন!

সবাইকে শুভেচ্ছা।

2 responses to “রেসিপিঃ পেঁয়াজ কলি ও ডিম ভাজি (ব্যাচেলর্স অনলি)

  1. I had one bunch of scallions in the fridge that was about to go bad. So glad I found this recipe and right away made this. Turned out really great! Thanks for such an easy and tasty recipe! Did you make-up this recipe your self? I mean did you creat it?

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ বোন।
      রেসিপিটা আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম। এটা ঠিক আমাদের পুরা রেসিপি বলা যাবে না। কারন চিচিঙ্গা এবং ডিমের এমন রান্না আমাদের দেশের প্রায় পরিবারেই হয়ে থাকে। সেই আইডিয়া কাজে লাগিয়ে এই রেসিপি করা হয়েছে। মাথায় ছিল যারা পেঁয়াজ কলি পছন্দ করেন। অনেকে পেঁয়াজ কলি পছন্দ করেন না, তাদের জন্যও এটা করা হয়েছে যেন উনারা এটা রান্না করে স্বাদ দেখতে পারেন। প্রতিটা রান্নাই আলাদা স্বাদ, ঘ্রান থাকে, সবাই সেটা গ্রহন করুক, এটা আমরা চাই। শুভেচ্ছা নিন।

      Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]