কিছুদিন আগে বাসায় সকালে আমরা যে পরোটা বানিয়ে থাকি তা আপনাদের দেখিয়ে দেয়েছিলাম। আমাদের এক বন্ধু (নাম প্রকাশে অনিছুক) জার্মানী থেকে আমাকে একটা মেইল দিয়েছিলেন, তিনি জানতে ছেয়েছেন কি করে খাস্তা পরোটা বানানো হয়। তিনি আরো মেইলে লিখেছেন, আমাদের সাধারন হোটেল গুলোতে যে পরোটা পাওয়া যায় সেই রকম পরোটা দেখিয়ে দিতে। আমাদের এই বন্ধু আরো লিখেছেন তিনি আমাদের এই রেসিপি পোষ্ট গুলো দেখে এখন আর বাইরের খাবার খান না। প্রতিদিন রাতে কোন না কোন রেসিপি বের করেন এবং তা রান্না করেন। বন্ধুর এই মেইল পেয়ে আমরা খুশি হয়েছি।
গ্যাজেটের এই যুগে আমরা রান্নাঘরে প্রবেশ করেছি কোন না কোন ডিভাইস নিয়ে! আমাদের এই জার্মান বন্ধু তার ট্যাব নিয়ে রান্নাঘরে প্রবেশ করেন এবং রেসিপি দেখে দেখে রান্না করেন। আসলে এখানেই আমাদের ‘গল্প ও রান্না’র সাফল্য। আপনি রান্না ঘরে শুধু আপনার ওয়াইফাই কানেক্টেড ডিভাইস নিয়ে চলে যেতে পারেন। প্রথমে রান্নার (যে রেসিপি সিলেক্টেড হবে) উপকরন যোগাড় করে নিন। ব্যস, শুরু করুন। রান্না আসলে এখন আর তেমন কোন ব্যাপার নয়। রান্নায় দরকার শুধু আপনার ধৈর্য এবং ভালবাসা। নিজে রান্না করে প্রিয়জনদের খেতে দিন, তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলুন।
যারা নুতন রান্না করছেন তাদের বলি, প্রথম বার হয়ত রান্না আপনার মনের মত হবে না কিন্তু ২য় বার আমি নিশ্চিত আপনার রান্না খেয়ে আপনি নিজেই তারিফ করবেন।
চলুন আজ খাস্তা পরোটা দেখি। বাসায় ছোট খাট পার্টি হলে আপনি এই পরোটা সার্ভ করতে পারেন, সবাই আলাদা মজা পাবে। চলুন দেখে ফেলি।
উপকরণঃ
– ময়দা
– সামান্য লবন
– সয়াবিন তেল (কয়েক চামচ)
– সামান্য চিনি
– ঘি (পরোটার ভিতরে দেয়ার জন্য, যারা ঘি খেতে চান না তারা তেল দিতে পারেন)
– গরম পানি
(পরিমান আপনারা নিজেরাই ঠিক করে নেবেন, আপনি যে পরিমান ময়দা নেবেন তা দেখেই ঠিক করতে হবে। আর পরোটার সাইজের উপর নির্ভর করবে, আপনি কতটা বানাতে চান।)
প্রনালীঃ
পরিমান মত ময়দা নিন (এক কাপে দুটো তিনটে হতে পারে) তাতে সামান্য লবন, সামান্য চিনি এবং কয়েক চামচ তেল দিন।
কুসুম গরম পানি দিয়ে মাখাতে থাকুন। ভাল করে মাখিয়ে পরোটার কাই বানিয়ে ফেলুন।
এবার একটা কাইয়ের দলা নিয়ে রুটি বেলে নিন। (কাইয়ের দলার ছবি না দিয়ে ছবির সংখ্যা কমানো হয়েছে)
রুটিতে কিছু ময়দা ছিটিয়ে এভাবে রোল করে নিন।
এবার রোল পেছিয়ে এই রকম গোল করে নিন।
হাত দিয়ে চাপ দিয়ে এই রকম করে নিন।
এবার বেলতে থাকুন। রুটির মত করে বেলুন।
এবার তেল বা ঘিতে তাওয়ায় ভেঁজে নিন।
এ পিট ওপিট উলটা পালটা করে ভাল করে ভাঁজুন।
খুন্তি দিয়ে চেপে চেপে ভাঁজুন (লক্ষ রাখবেন যে পুড়ে না যায়, তাওয়া বেশী গরম হলে আগুনের আঁচ কমিয়ে নিন)
ব্যস, হয়ে গেল। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি আপনার মেহমানরা যে কোন মুরগী/মাংসের তরকারী বা সবজির যে কোন তরকারী দিয়ে বেশ সাঁটাতে পারবে। হা হা হা… কি পারবেন তো? আর না পারলে আমরা তো আছিই! কাজে কাজেই নেমে পড়ুন, আজ রাতেই হয়ে যাক!
————————————————————-
আমরা বাসা বাড়ীতে সাধারনত যে পরোটা বানিয়ে থাকি তা দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন, রেসিপিঃ সাধারন পরোটা (সকালের নাস্তায়)।
কৃতজ্ঞতায়ঃ মানসুরা হোসেন
Ha.ai recipeta onek valo legeche
LikeLike
ধন্যবাদ ভাতিজা মিঠু।
আমি আজ বিকালে তোমার রেজাল্ট নিয়ে বন্ধু সাথে আলাপ করছিলাম। তোমার এই বয়সে তুমি আমাদের এই সাইট দেখ এটা ভেবে আমরা গর্বিত। আমরা তোমার জন্য দোয়া করি। তুমি বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হও।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
apar ei comment peye onek khushi holam.
asole ami mone kori je blogging er kono boyos nai.ar ami khaowa daowa onek pochono kori tai khaowa daowa bisoye post or recipe post agroher sathe dekhi.aivabei apnar ai site er sathe porichoy.
amar jonno dowa korben.
thank u
LikeLike
ধন্যবাদ ভাতিজা।
আসলে ব্লগিং এ কোন বয়স নেই সত্য তবে আমি মনে করি তোমার এখন জীবন গড়ার সময়। নানা ব্লগ দেখো ভাল কথা কিন্তু পড়া শুনা থেকে দূরে সরে নয়। ব্লগিং এখন আমাদের নেশা কিন্তু এই সময়ে তোমারো নেশা হয়ে যাক তা চাই না।
মাঝে মাঝে এসো তবে আগে পড়া শুনা।
তোমার জন্য আমাদের দোয়া থাকবেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Nice, I love it.
LikeLike
ধন্যবাদ আকাশ ভাই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভাইয়া বলতে লজ্জা লাগছে তাও বলি একটা রুটি বানানোর রেসিপি দিয়েন প্লিজ
LikeLike
ধন্যবাদ বোন,
এটা আবার কোন কথা হল! হা হা হা।
রুটি বানানোর রেসিপির ছবি আছে, একটু সময় দিন, সাজিয়ে তুলে দেব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ জিতু পরোটা | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
খুব সুন্দর পরোটা বানানোর রেসিপি । ধন্যবাদ ।
a href=”http://updateenglishgrammar.blogspot.com/”>ইংরেজি গ্রামার বাংলায় শেখার এক মজার ওয়েবসাইট
LikeLike