শাহবাগের ন্যায্য দাবীর সাথেই আছি। রাজাকারদের (শব্দটা উচ্চারনেই ঘৃনা চলে আসে) বিচার করেই ফেলা উচিত এবং তা হচ্ছে ফাঁসি। আমাদের জাতি একটা কলংক থেকে মুক্তি পাবে। শুদ্ধ জাতি গঠনে বিচারের ভুমিকা অনিবার্য। যেখানে বিচার আছে, সেখানে অন্যায় কম হয়। আর বিচার না থাকলে একের পর এক অন্যায় ঘটতেই থাকে। এদের বিচার যত আগে হতে পারত ততই দেশ মাতার জন্য মঙ্গল হত। আমি নিজে আশাবাদী মানুষ, আশা নিয়েই বেঁচে থাকি। আমি আশা করি বাংলাদেশ একদিন সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই এবং আমি নিজে তা দেখে যেতে চাই। আগামী সোনালী এক সুন্দর সকাল পাবে আমাদের সন্তানেরা।
(ছবিটা যে আমার মাথা কেটে তুলেছে তাকে আমি পেলে বিশাল ফাইন করে দেবে! আমি ব্লগারস ফোরামের একজন সদস্য হিসাবে, প্রায় প্রতিদিনই যাচ্ছি এবং আমাদের ব্যানার নিয়ে আছি। আমাদের আবেদন চলবেই।)
যাই হোক, দেশের এই কঠিন সময়ে আসলে রেসিপিতে কারোই মন বসার কথা নয়। কিন্তু না খেয়েও পারা যাবে না। এদিকে নুতন রেসিপির দরকারও আছে। গত কয়েকদিন ধরে রান্নায় আমারো মন নেই। বাসায় দেরী করে ফেরা, ব্যাটারির সাথে ভাল আচরণও করতে পারছি না। বুলেট তো আমাকে প্রায় বয়কট করেই যাচ্ছে। রাতে ফিরে তাদেরকে হাসানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি গতকাল।
অফিস নিয়েও মহা ঝামেলায় আছি (এই কাহিনী লিখলে আপনারা আমার জন্য চোখের পানি ফেলবেনই! তবে সময় পেলে লিখে ফেলব। এক মানুষ রুপী হায়নার সাথে বসবাস।) এক একটা খারাপ দিন পার করেই যাচ্ছি। তারপর এই মাসে আরো দুটো বিষয় এসে মাথায় পড়েছে। এক ধনী মামার ছেলের বিবাহের দাওয়াত পেয়েছি, যেখানে যেতে হলে আমাকে বেশ কিছু টাকা ব্যয় করতেই হবে, মান ইজ্জতের প্রশ্ন, কম দামী উপহার চলবে না, নিজকেও বেশ ফিট করে নিতে হবে! জুতার অবস্থা ভাল যাচ্ছে না!
অন্যটা হচ্ছে এক ছোট বেলার বন্ধুর বিদেশ গমন। লাল্টু (আসল নাম গোপন থাক) ইতালী থাকে, বছরে ছয় মাস দেশে, ছয় মাস ওখানে। এবারে ওর বিদেশ যাবার টিকেটের টাকা নেই। বন্ধুরা সবাই তাকে হেল্প করে টিকেটের টাকা কেটে দিচ্ছে! আমার ভাগে পড়েছে পাঁচ হাজার টাকা! দিতেই হবে! কোথায় যাই, কি যে করি! চোহারা দেখে সবাই ভাবে মাশাআল্লাহ, আমি বুঝি আমার ভেতরটা!
সব কিছু মিলিয়ে, আছি! একটা পুরানো রেসিপি আজ দিয়ে দিচ্ছি। নুতন আলু আর মাছ রান্না, ছবি দেখেই বুঝা যাবে সব কিছু। আর না পারলে সাথে তো আছিই। কিছুদিন/অনেকদিন আগে রান্নাটা করেছিলাম, গরম ভাতের সাথে বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম, এখনো মনে পড়ে। নুতন আলু দিয়ে যেকোন রান্নাই চমৎকার হয়ে উঠে!
প্রনালীঃ
ছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩
ছবি ৪
ছবি ৫
ছবি ৬
ছবি ৭
ছবি ৮
ছবি ৯
হা হা হা…। এক টুকরা মাছ দিয়েই এই আলু গুলো রান্না করেছিলাম কারন সেদিন বাসায় আমি একাই ছিলাম! তবে এটা আমার রান্না শেখার প্রথম দিকের কথা! বলতে পারেন, এতদিন এই রান্না কেন লুকিয়ে রেখেছি? আসলে আজ পুরানো রেসিপির ছবি গুলো দেখতে গিয়ে পেয়ে গেলাম এবং আপনাদের সামনে হাজির করলাম।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
Kiptami korchen. Ami hole dui tukra ranna kortam.
LikeLike
হা হা হা… কি যে বলেন জাভেদ ভাই। আমি কিপটা না হিসাবী! হা হা হা…
কেমন আছেন? মাঝে মাঝে আমাদের দেখে যাবেন।
LikeLike
সাহাদাত ভাই,
মাছগুলো একটু ভেজে ঝোলে দিলে হয় না? কাঁচা মাছে বড় গন্ধ কয়।
গীতশ্রী
LikeLike
হা হা হা…
ধন্যবাদ বোন। তাজা মাছ আমি ভাজতে চাই নাই! প্রতিটা মাছের একটা নিজস্ব স্বাদ ও ঘ্রান আছে, আমি সেটা পেতে চাই। মাছ ভেঁজে দিলে সেটা আর থাকে না বা থাকলেও কমে যায়। তবে কিছু মাছ সব সময়েই ভাঁজতে হয়। আগামীতে এমন মাছের রান্নাও দেখাবো।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
উদরাজী ভাই, সালাম। জীবন আমাদের এইভাবেই ভাবেই কাটাতে হবে। নিজকে এখন আর খুজে পাই না।
LikeLike
ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই। হা, তা ছাড়া আর কোন পথ দেখতে পারছি না।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
LikeLike
Dear Mr.Belayet, Be smail 🙂 thanks borno
LikeLike
হা হা হা…… এত দিন পরে কমেন্ট!
বর্ন মা, সবাই ভাল আছো তো? পড়াশুনা ভাল করে করবে, আমাদের জন্য তুমি কিছু নাম কামাবে বলে আশা করি।
রেসিপি গুলো কি সবাই মিলে দেখে থাক।
ভাইয়া ও ভাবীকে সালাম দিবে। ভাল থেকো।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD