গ্যালারি

রেসিপিঃ জিহবা ও ধনিয়া পাতার কুঁচি


গোশতের তরকারীতে ধনিয়া পাতার কুচি আমরা এখনো তেমন একটা পছন্দ করি বলে মনে হয় না! এখনো আমি আমাদের অনেকের মুখে শুনি বা দেখি, গোস্তে ধনিয়া পাতার কুচি দিলে খেতে চান না বা খেতে হবে শুনলে কেমন করে উঠেন, যারা অবশ্য কথা বলতে বেশি পছন্দ করেন তারা এটা শুনলে দুই চার কথা শুনিয়ে দেবেনই! গোস্তে ধনিয়া পাতার কুচি এখন সারা বিশ্বে দেয়া হয় এবং এটা নিয়ে তেমন কোন কথা আর কেহ বলেন না!

চলুন আজকে এমনি একটা রান্না দেখি এবং এমন একটা রান্নার মজা লুটি! হ্যাঁ, আমি গরুর জিহবা রান্নার কথা বলছি। আগেও এমন রান্না দেখিয়েছি তবে সেই সব রান্নাতে ধনিয়া পাতার কুচি দেই নাই। চলুন হাতে তেমন সময় নেই, রান্না দেখি। আগেই বলে নেই, বেশ মজাদার রান্না হয়েছিল এবং খেতে বেশ আনন্দ পেয়েছিল আমার ব্যাটারী ও বুলেট রান্না টেষ্টারগন! জিহব্বা রান্না এমনিতেই বেশ মজাদার এবং আনন্দদায়ক।

উপকরণ ও প্রনালীঃ
– জিহব্বার গোসতঃ ৫০০ গ্রাম প্রায়, কম বেশি হতে পারে।
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ হাফ কাপের কম
– রসুন বাটাঃ ২ চা চামচ
– আদা বাটাঃ ২ চা চামচ
– দারুচিনিঃ ২ সেমি, ২/৩ টুকরা
– এলাচিঃ ৩/৪ টা
– লাল মরিচ গুড়াঃ এক চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ এক চা চামচ
– জিরা গুড়াঃ এক চা চামচের কম
– লবন পরিমান মত, দুই ধাপে
– তেলঃ ৮/১০ টেবিল চামচ বা কম (কমে রান্নাই ভাল)
– পানি (পরিমান মত, ঝোল কেমন রাখবেন তার উপর নির্ভর করবে)
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
–  হাফ কাপ বা কিছু কম ধনিয়া পাতার কুচি

প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১


ছবি ২


ছবি ৩


ছবি ৪


ছবি ৫


ছবি ৬


ছবি ৭


ছবি ৮


ছবি ৯


ছবি ১০


ছবি ১১


ছবি ১২


ছবি ১৩


ছবি ১৪


ছবি ১৫


ছবি ১৬


ছবি ১৭


ছবি ১৮, গ্রম ভাত বা পোলাউয়ের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে! রুটি বা পরোটার সাথে জম্বে বেশ!

সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করছি, আপনারাও একদিন এই রান্না করে খেয়ে স্বাদ নেবেন। আনন্দ পাবেন, নিশ্চিত।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]