গতকাল থানকুনি পাতা তথা আদামনি পাতা কিনেছিলাম। গতকাল রাতে সামান্য কিছু দিয়ে একটা ভর্তা বানিয়ে ছিলাম। আজ দুপুরে হয়ে গেল, থানকুনি পাতা দিয়ে মুশরী ডাল রান্না। রেসিপি লিখার আগেই বলে ফেলি, দারুণ স্বাদ হয়েছিল।
থানকুনি পাতা আপনারা নিশ্চয় খেয়েছেন, এখনো আমাদের গ্রামে এই সব শাক সবজি পাতা অত্যান্ত জনপ্রিয় এবং সহজ প্রাপ্য। চলুন, দেখে ফেলি।
উপকরন ও পরিমানঃ (পরিমান আপনি নিজেও করে নিতে পারেন)
– আদামনি পাতার কুঁচি, ২০০ গ্রাম অনুমান
– মুশরী ডাল, হাফ কাপ বা কম
– পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি দুইটা
– রসুন বাটা, এক চা চামচ
– শুকনা মরিচ, কয়েকটা (ঝাল বুঝে, আমাদের গুলোতে তেমন ঝাল ছিল না)
– লাল মরিচ গুড়া, এক চিমটি
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচের কম
– তেল, কয়েক চামচ (যারা নুতন রান্না করছেন, তারা একটু তেল বেশি দেবেন, এতে আপনাকে টেনশন করতে হবে না তবে আমি সব সময়েই কম তেলে রান্না পছন্দ করি)
– লবন, পরিমান মত
– পানি, দুই কাপ
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ ও রসুন বাটা দিয়ে ভাঁজুন।
ভাঁজুন, পেঁয়াজ কুঁচি হলদে হয়ে এলে, হাফ কাপ পানি দিন। এবার কষান। আমাদের শুকনা মরিচ গুলো বরিশাল থেকে নিয়ে আসা, তেমন ঝাল নেই বলে আমি একটু বেশি দিয়েছি। আপনারা মরিচ দিতে ভেবে নিবেন আর শুকনা মরিচ না থাকলে কাঁচা মরিচ দিতে পারেন, স্বাদে কি আর আসে যাবে!
এবার মরিচ ও হলুদ গুড়া দিন। ভাল করে মিশিয়ে কষিয়ে নিন। তেল ভেসে উঠবে।
এবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা ডাল দিন, মিশিয়ে নিন এবং দেড় কাপ অনুমানিক পানি দিন।
আগুন মাধ্যম আঁচে রাখুন, ঢাকনা দিন। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না।
ডাল নরম হয়ে এই অবস্থায় এসে যাবে।
এমন অবস্থায় এসে যাবে।
এবার ধানকুনি পাতা দিন এবং মিশিয়ে নিন।
মাত্র ৩/৪ মিনিটেই হয়ে যাবে। ধানকুনি পাতা দিয়ে বেশি সময় চুলায় রাখা যাবে না। এই সময়েই ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন।
চুলা বন্ধ, ব্যস হয়ে গেল।
পরিবেশন করুন।
গরম ভাতের সাথে অসাধারণ।
অনেকে বলে থাকেন, এই থানকুনি বা আদামনি পাতার অনেক ঔষধি গুণ আছে, আমার জানা নেই, নেটে খুঁজে দেখতে হবে। তবে আমি এটা গ্রামেও শুনেছি, শরীরের অনেক উপকারী।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আমাদের সাথে থাকুন, আমরা আসছি আরো আরো মজাদার রেসিপি নিয়ে।