গ্যালারি

রেসিপিঃ কলমি শাক ভাঁজি (সাধারন, ব্যাচেলর্স অনলি)


কলমি শাক, শুনেছি এই শাকের নানান গুন আছে। অনেক দিন কেনা হয় না, গতকাল বাজারে পেয়ে কিনে ফেললাম। বাসায় নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে পরিস্কার করে একটা সাধারন ভাঁজি করে ফেললাম, আহ দারুন! গরম ভাতের সাথে মনে হল, অমৃত! জীবনে আর কি আছে?

কলমি শাক মুলত ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে সামান্য ঝোলে রান্না করলেই অনেক মজাদার হয়ে উঠে, তবে আমি এই শাকের ভাঁজিই করেছিলাম, কারন হাতে সময় কম ছিল। আমি অবশ্য যে কোন ধরনের শাঁকের এই ভাঁজিটা করি কারন, এই ভাজিতেই আপনারা যারা নুতন রান্না করবেন তাদের জন্য উপযোগী। যারা নুতন রান্না করছেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে এই ধরনের রান্না গুলো করে হাত পাকিয়ে নিন। খরচ কম, খারাপ হলেও মনে কষ্ট লাগবে না। তা ছাড়া এই ধরনের রান্নায় আপনি আপনার ‘রান্না ধৈর্য’ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ছোট খাট রান্না করেই ভালবাসা পাবেন সকলের।

চলুন মজাদার এই রান্না দেখে ফেলি। দেখুন কত কম ভেজষে এই রান্না, শুধু লাগবে আগ্রহ ও ভালবাসা।

পরিমান ও উপকরনঃ
– দুই মুট কলমি শাঁকের আটি, কেটে ধুয়ে যা হয়
– পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি ২/৩ টা
– রসুন কুঁচি বা ছেঁচা, ৩/৪ কোষ
– কাঁচা মরিচ, ৩/৪ টা ফালি বা আস্ত (লাল শুকনা মরিচ দিয়েও করতে পারেন, আরো ভাল লাগবে)
– লবন, তিন চিমটির মত (বুঝে)
– তেল, ৮/১০ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, কড়াইতে তেল গরম করে লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি ও কাঁচা মরিচ ভাঁজুন।


ছবি ২, পেঁয়াজ হলদে হয়ে আসবে (অন্য চুলায় অন্য তরকারি থাকায় এবং চুলায় একদিকে আঁচ বেশী থাকায় কিছু পেঁয়াজ কুঁচি পুড়ে গেছে! হা হা হা, কিন্তু ব্যাপার না!)


ছবি ৩, এবার কলমি শাক দিয়ে দিন।


ছবি ৪, উল্টা পাল্টা করে মিশিয়ে নিন।


ছবি ৫, আগুন কমিয়ে কিছুক্ষনের জন্য ঢাকনা দিয়ে দিন।


ছবি ৬, ঢাকনা তুলে আগুন বাড়িয়ে এবার খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে ভাঁজুন।


ছবি ৭, পানি শুকিয়ে এই অবস্থায় এসে যাবে। ফাইন্যাল লবন দেখুন।


ছবি ৮, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ৯, এই স্বাদ পাবেন কোথায়? আহ, গরমা গরম সাদা ভাত নিয়ে বসে পড়ুন।

সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আরো আরো নুতন নুতন রেসিপি নিয়ে আসছি, আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

5 responses to “রেসিপিঃ কলমি শাক ভাঁজি (সাধারন, ব্যাচেলর্স অনলি)

  1. কলমির শাক দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। আমি শাকটাকে লবণ দিয়ে ভাপিয়ে নেই। তারপর তেলে কাঁচামরিচ ও ছ্যাঁচা রসুন বাদামী করে বাজি। তারপর শাকটা দিয়ে কয়েকমিনিট নেড়ে চেড়ে নামিয়ে ফেলি। শুকনো মরিচ দিলে বেশি মজা লাগে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর বলেই আজকাল কাঁচামরিচ দেই।

    Liked by 1 person

  2. ভাইয়া, কমেন্ট দিতে না পারলেও আমি কিন্তু আপনার রান্নাঘরে নিয়মিত আসি। অন্যদের দেখাই, বিশেষ করে ছেলেদের।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]