গ্যালারি

রেসিপিঃ নারিকেল মোরগ


প্রায় সময়ে একই রান্না চলে না। বাসায় মেহমান বা জামাই বাবাজীরা এলে রান্না বান্নায় নুতনত্ব বা ভিন্ন রান্না হতে হয়। রান্নায় সামান্য কিছু টুইষ্ট হলে বা ভিন্ন রান্না হলে বাবাজীরা খেয়ে আজীবন মনে রাখবে। আপনি খাওয়ালেন কিন্তু আপনাকে মনে রাখলো না কেহ, এটা কি করে হয়! কাজেই আমাদের সাধারন রান্নার পাশাপাশি কিছু ভিন্ন রান্নাও করুন!

মোরগ রান্নার অনেক রেসিপি দেখানো হয়েছে এযাবৎ। আজ আপনাদের আরো একটা রান্না দেখাতে চাই, নারিকেল মোরগ রান্না। আশা করি রান্নাটা আপনাদের পছন্দ হবে এবং একদিন বাসায় করে দেখবেন। হাতের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ আছেই, আর দেরী কি! চলুন দেখে ফেলি। আগেই বলে নেই, রেসিপিটা অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবিরের বই থেকে নেয়া হয়েছে তবে আমরা কিছু যোগ দিয়েছি। উপকরন সঠিক করে দিয়েছি।

উপকরনঃ
– মোরগ, মাঝারি একটা (১.৫ কেজির মত বা কম বেশী)
– নারিকেল কুরানো, এক কাপ, যা সামান্য গরম পানি দিয়ে বেটে দুধ বের করে নিতে হবে।
– পেঁয়াজ বাটা, ১/২ কাপ
– আদা বাটা, ১ চা চামচ
– রসুন বাটা, ১ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ বাটা, ১ চা চামচ, ঝাল বুঝে কম বেশী
– ধনিয়া বাটা, ১ চা চামচ
– এলাচি, ৩/৪ টা
– দারুচিনি, ৪/৫ টুকরা, ইঞ্চি
– টক দই, ১/২ কাপ
– কাঁচা ম্রিচ, কয়েক টা
– লবন, পরিমান মত, প্রথমে কম দিয়েই শুরু করতে হবে
– তেল, হাফ কাপ কম বেশী, কম তেলেই রান্না ভাল
– বেরেস্থা, এক মুষ্টি (কম বেশী)

প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, মোরগ কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে রাখুন।


ছবি ২, মশলা পাতি গুলো যোগাড় করে নিন।


ছবি ৩, রান্নার পাত্রেই তেল, লবন সহ উপরে উল্লেখিত সব মশলা পাতি গোস্তে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ রাখুন। (নারিকেল দুধ ছাড়া বাকী সব)


ছবি ৪, এই ফাঁকা সময়ে কিছু বেরেস্তা ভেঁজে রাখুন।


ছবি ৫, এবার রান্না চুলায় দিন। আগুনের আঁচ মাধ্যম থাকবে।


ছবি ৬, গোসত নরম হয়ে এলে নারিকেল দুধ দিন।


ছবি ৭, আগুনের আঁচ বাড়িয়ে দিতে পারেন, ঝোল দ্রুত কম্বে। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না, কাছেই থাকুন, মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিন।


ছবি ৮, কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন। ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লাগলে দিন।


ছবি ৯, বাটিতে নিয়ে বেরেস্থা উপরে ছিটিয়ে দিন। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ১০, দারুন স্বাদের রান্না। পোলাউ এর সাথে নুতন জামাই বাবাজীকে পরিবেশন করতে পারেন, খেয়ে আনন্দ পাবে এবং রান্নার কথা আজীবন মনে রাখবে!

সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আসছি আরো আরো মজাদার রান্না নিয়ে।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন।

6 responses to “রেসিপিঃ নারিকেল মোরগ

  1. দেখতে এতো টেস্টি লাগছে। এখনি খেতে ইচ্ছে করছে। রান্নাও সহজ মনে হল। অবশ্যই ট্রাই করবো।

    Liked by 1 person

  2. ভাইয়া আপনার রান্না গুলার টেস্ট কিরকম, মানে ঝাল/টক/এক্টু মিষ্টি/নোনতা, এটা জানালে খুব ভালো হয়। আমি পোলাওয়ের সাথে একটা ভাল মুরগীর রেসিপি খুজছি। কিন্তু টেস্ট কেমন হবে সেটা বুঝতে পারছি না। এই রেসিপিটার টেস্ট কিরকম?

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]