গ্যালারি

রেসিপিঃ পেঁপে ভাঁজি (সকালের নাস্তায়, ঝাটপট)


রেসিপি প্রিয় ভাইবোন বন্ধুরা, আমি সরি যে, বেশ কয়েকদিন আপনাদের জন্য রেসিপি দিতে পারি নাই। এর কারন আসলে লেখার ও পোষ্ট দেয়ার পরিবেশ কিছুতেই তৈরী করতে পারছিলাম না। সাধারণত মনে্র অবস্থা যেহালে থাকলে আমি লিখতে পারি, সেই হালে ছিলাম না বলা যায়! হা হা হা! নদীর পানি এবং সময় চলে আপন গতিতে, লিখা ও রেসিপি ছাড়া আমিও চলবো কি করে?

আজ আবার হাজির হলাম। আপনাদের ভালবাসায় আমি ধন্য। আপনারা যারা আমাকে ইমেল, মেসেজ ও ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, কেন আমি লিখছি না, সে জন্য আমি ধন্য। সত্যই আপনাদের এই ভালবাসা আমাকে আপ্লুত করে এবং আমাকে আমার আগামী দিনের জন্য উৎসাহিত করে থাকে। কয়েকজন রেসিপি প্রিয় বন্ধু ভাই বোনের নাম নিতে ইচ্ছা হচ্ছে, কিন্তু অনুমতি না নেয়ায় উল্লেখ থেকে বিরত থাকলাম। আপনাদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই, নিজের ঘাঁটের টাকা খরচ করে আমাকে ফোন করে খবর নিয়েছেন, আমি ভাল আছি কি না, আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কি না। সত্যই আপনাদের এই ভালবাসায় আমি আনন্দিত।

যাই হোক, সামনে সময় হলে লিখে জানবো। রান্না যেমন সহজ হলেও অনেক কিছুর উপর স্বাদ নির্ভর করে, তেমনি লেখালেখিও। গল্প ও রান্না, দুটো বিষয়ই আমি মনে করি একটা মানষিক বিষয়। মন ভাল না থাকলে যেমন রান্নায় স্বাদ হয় না, তেমনি মন ভাল না থাকলে লেখালেখিও চলে না! হা হা হা।

আসলে নিজকে প্রকাশ করা কঠিন বটেই! থাক, সেই চেষ্টা না করাই ভাল, দুই দিনের দুনিয়া! চলুন আজ একটা ছোট রেসিপি দেখে ফেলি, সকালের নাস্তায় এই ছোট এবং ঝটপট রান্নাটা করে রুটি বা পরোটার সাথে খেয়ে দেখতে পারেন এবং এটা আমার রেসিপির মধ্যে সহজ রেসিপি, যা শুধু নুতন রান্নায় আগ্রহীদের জন্যই। তবে এর আগে বরাবরের মতই বলি, রান্না হচ্ছে ভালবাসার অপর নাম! চলুন দেখে ফেলি।

পরিমান ও উপকরনঃ
– কাঁচা পেঁপে কুচি (সাইজটা আপনি নির্ধারন করে নিন), হাফ কেজি, কম বেশী
– পেঁয়াজ কুচি, হাফ কাপের কম
– কাঁচা মরিচ, কয়েকটা, ঝাল বুঝে
– মরিচ গুড়া, দুই চিমটি, ঝাল বুঝে
–  হলুদ গুড়া, দুই চিমটি
– তেল, আট/দশ টেবিল চামচ, কম তেলেই রান্না করতে পারেন, ননষ্টিকি কড়াইতে
–  লবন, স্বাদ মত

– চিনি, এক চিমটি (ইচ্ছা, না হলে নাই)

প্রনালীঃ ছবি কথা বলে!

ছবি ১, পেঁপে কেটে এভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।


ছবি ২, কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিন।


ছবি ৩, ভাঁজুন


ছবি ৪, পেঁয়াজ কুচি হলদে হয়ে এলে মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিন।


ছবি ৫, ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ভাঁজুন। ঠিক এই অবস্থায় এসে যাবে। আগুন মাঝারি আঁচে রাখুন।


ছবি ৬, এবার পেঁপে কুঁচি দিন।


ছবি ৭, ভাল করে মিশিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিন। ননষ্টিকি পাত্র হলে কাঠের খুন্তি ব্যবহার করুন।


ছবি ৮, মিশানোর পর আপনি ইচ্ছা হলে এক চিমটি চিনি ছিটিয়ে দিতে পারেন, আমি চিনি দিয়েছি। চিনি সাধারনত তরকারীর স্বাদ, ঘ্রান বাড়ায় এবং তরকারীকে মশৃন করে দেয়। আপনার ইচ্ছা না থাকলে দেয়ার দরকার নেই। সেই ক্ষেত্রে স্বাদ একটু ভিন্ন হবে, ব্যাপার না!


ছবি ৯, আগুন অনেক কমিয়ে দিন এবং ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১৫ জন্য রেখে দিন। আলাদা পানি দেবার দরকার নেই।


ছবি ১০, পেঁপে থেকে পানি বের হয়, ঠিক এভাবে হয়ে যাবে।


ছবি ১১, আলতো ভাবে নাড়িয়ে দিন, নরম হয়ে গেলে পেঁপে কুঁচি ভেঙ্গে যায়। তাই বেশী নাড়াছাড়া করার দরকার নেই। ঝোল কমাতে আগুনের আঁচ বাড়িয়ে দিতে পারেন। তবে চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না।


ছবি ১২, ধনিয়া পাতার কুঁচি দিয়ে দিন এবং মিশিয়ে নিন।


ছবি ১৩, ব্যস ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখে নিন, লাগলে দিন।


ছবি ১৪, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ১৫, সবজি লাভার্সদের জন্য এটা নিশ্চয় আনন্দদায়ক হবে।


ছবি ১৬, রুটি বা পরোটার সাথে নিশ্চয় আরাম পাবেন। ফেবু মন্তব্য এখানে!

সবাইকে শুভেচ্ছা। আসছি, আগামীতে আরো অনেক মজাদার রেসিপি নিয়ে, আমাদের সাথে থাকুন।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

5 responses to “রেসিপিঃ পেঁপে ভাঁজি (সকালের নাস্তায়, ঝাটপট)

  1. নদীর পানি এবং সময় চলে আপন গতিতে, লিখা ও রেসিপি ছাড়া আমিও চলবো কি করে?……..nice

    Liked by 1 person

  2. Dakhei mone hosse Khub testy hoyese.kal sokale try korbo.

    Liked by 1 person

  3. আপনি এবং আপনার এই রান্না ব্লগ না থাকলে আমাদের মত রান্নায় আগ্রহী আনাড়িদের কি হত কে জানে। আপনি এবং আপনার ব্লগ অবিরত থাকুন। ধন্যবাদ।

    Like

  4. চমৎকার। তবে আমার পছন্দ হয় নাই।ভূমি আসতেছে দেখে।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]