আজকাল যে অবস্থা চলছে তাতে প্রায় সব মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায়! এখন আর সৌখিনতা মানায় না। যাদের অঢেল আছে তাদের ব্যাপার ভিন্ন, কিন্তু এই দেশে অঢেল আছে এমন মানুষের সংখ্যা কত। আবার অঢেল আছে এমন অধিকাংশ মানুষের টাকা হয়েছে চুরি, ঘুষ, দূর্নীতি থেকে। ফলে টাকা আছে কিন্তু উপভোগ করতে পারে না। উপরওয়ালা/মালিক এতই উদার না যে, সবাইকে সব কিছু দিবেন! হা হা হা। অবৈধ কোটি টাকার মালিক জামালউদ্দিন সাহেবকে জোর করেও আপনি আমাদের আজকের রান্না ‘নারিকেলের বরফি’ খাওয়াতে পারবেন না! দেখেই তিনি পালাবেন! কোটি টাকার মালিক অথচ সামান্য নারিকেল, সামান্য ঘি খেতে পারেন না! হা হা হা। তিনি খেয়ে আরো কত কথা শুনাবেন, নারিকেলে গ্যাস হয়, পেট ফুলে যায়! ঘি খেলে বুকের ব্যাথ্যা বেড়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি!
যাই হোক, বেশি কথা বলে লাভ নেই। খুব সহজ এবং সাধারন একটা রান্না আজ আপনাদের সামনে হাজির করছি। হালুয়া টাইপ যাকে বলে ‘নারিকেলের বরফি’! চলুন দেখে ফেলি। ধর্মীয় উৎসবে, ঈদে চান্দে আপনারা রান্না করে টেবিলে রেখে দিতে পারেন। আপনার বাসায় আসা গরীব মাঝারি আত্মীয় স্বজন খেয়ে মজা পাবে। ধনীরা শুধু দেখেই যাবে!
উপকরনঃ
– দুই কাপ নারিকেল বাটা
– এক কাপ চিনি (মিষ্টি বুঝে শুনে)
– দুই টেবিল চামচ সুজি
– তিন টেবিল চামচ ঘি
– এক চিমটি রোষ্টেড এলাচি গুড়া (এলাচি সামান্য ভেঁজে গুড়া করে নিতে হবে)
– কয়েকটা কিসমিস (ডেকোরেশোনের জন্য, না হলে নাই!)
প্রনালীঃ
কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে একে একে সব দিয়ে দিন। (শুধু এলাচ গুড়া রেখে দিন)
চুলা ছেড়ে যেতে পারবেন না। মাঝারি আঁচে আগুন জ্বলবে এবং আপনি খুন্তি দিয়ে নাড়াতে থাকবেন। পাতিলের তলায় যেন না লেগে যায়।
চিনি গলে এবং সব কিছু মিলে একাকার হয়ে যাবে। এক সময়ে আঢালো ভাব চলে গিয়ে টান টান ভাব এসে যাবে। কিছুটা সময় লাগবে। ধৈর্য থাকতে হবে!
এবার এলাচ গুড়া ছিটিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন। আরো কিছুক্ষন হালকা জ্বালে রাখুন।
ব্যস হয়ে গেল। পরিবেশনের বাটিতে নিয়ে নিন।
হাত দিতে চেপে চেপে সমান করে নিন। (হাত পানিয়ে ধুয়ে ও বার বার চুবিয়ে নিয়ে)
ফ্রীজে রেখে দিন। ঘন্টা চার পর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। (আগে কেটে নিতে পারেন কিংবা পরে কাটতে পারেন)
আমি গরম গরম এক টুকরা খেয়ে দেখেছি, ওয়াও! কি বলবো। চমৎকার। ডেলিশিয়াস!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
(পুরা রান্নার সময় বাসায় বিদ্যুৎ ছিল না, ছবি গুলো ক্যামেরার ফ্লাসের উপর নির্ভর করে তোলা হয়েছে।)
ধন্যবাদ ভাইয়া,এত মাজাদার একটা রেসিপি দেওয়ার জন্য।
LikeLike
ধন্যবাদ উর্মি বোন। আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক অনেক খুশি হলাম। আসলেও বেশ মজাদার একটা মিষ্টান্ন। একবার বানিয়ে প্রিয়জনদের পরিবেশন করুন। আশা করি সবাই পছন্দ করবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Aponar recipi copy kore nilam. Donobad.
LikeLike
ধন্যবাদ মানিক ভাই। ব্যাপার না, চলুক। তা রান্না করেন তো? হা হা হা… না রান্না টেষ্টার হিসাবে আছেন?
LikeLike
introduction er kothagulo well said vaia.
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। এটা আসলে এটা দুনিয়ার একটা বিশেষ দিক। সব কিছু যদি টাকা ওয়ালাদের কাছে থাকত কিংবা টাকাওয়ালারা বেশী খেতে পারত তবে দুনিয়ার কি অবস্থা হত চিন্তা করে দেখুন।
দুই দিনের দুনিয়া!
শুভেচ্ছা। আপনি লেখা গুলো পড়েছেন দেখে ভাল লাগলো।
LikeLike
নারিকেল এর বরফির একটা সমস্যায় প্রায় পরি তা হলো অনেক সময় নরম থেকে যায় । বরফি হয় না । হালুয়ার মত হয়ে যায় তাই আর করা হয় না । তবে আপনার এই পদ্ধতি টা আমার কাছে একদম নতুন । যেমন নারিকেল বাটা / সুজি । ইদের সময় চেষ্টা করে দেখবো । শবে বরাত এ হালুয়া বলতে আমরা ময়দার হালুয়াটাই করি ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
হালকা সুজি বাড়িয়ে দেবেন এবং চিনি দেবেন। এর পর ভাল করে ভেঁজে নিলে আশা করি আর সমস্যা হবে না।
ঈদের নানান মিষ্টির সাথে এমন হালুয়া ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
ধন্যবাদ এই রেছেপির জন্য।
LikeLike