গতকাল আমাদের রেসিপি ব্লগে একটা মজার ঘটনা ঘটে গেল। এ যাবত সব চেয়ে বেশী হিটের দিন হিসাবে ১৩ই মে চিন্তিত হয়ে গেল (আশা করছি সামনে এই হিট আরো বাড়বে)। আমাদের পোষ্ট “রেসিপিঃ কালিবাউস মাছ রান্না (কে কে কালিবাউস খেয়েছেন?)” এর কারনে বেশী সংখ্যক বন্ধু আমাদের সাইট ভিজিট করেছেন। ২২০ জন মানে ২২০টি আইপি থেকে এই হিট থেকে এসেছে সারা বিশ্ব থেকে। টোটাল পেইজ বা পোষ্ট হিট প্রায় ১৪০০। বিষয়টা আমাদের জন্য গর্বের। একই দিনে এত জনের আগমন নিঃসন্দেহে বিরাট কাজ। যারা ওয়ার্ডপ্রেসে পারসোন্যাল ব্লগ নিয়ে কাজ করেন তারা আমার সাথে একমত হবেন। আপনাদের জন্য আমাদের বিশেষ শুভেচ্ছা থাকল। আপনাদের অনুপ্রেরনা আমাদের জন্য পাথেয় হয়ে থাকল। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের চলার পথের জন্য শুভকামনা হয়ে থাকবে।
এই আনন্দে ভাল কি রেসিপি দেয়া যায় তা নিয়ে ভেবে কুল পাচ্ছিলাম না! কিছুদিন আগের একটা রান্না রেসিপি মনে হল এই আনন্দের দিনে দেয়া যেতে পারে! আমার একক রান্না! চলুন দেখে ফেলি। কচি ডাটা রান্না, চিংড়ি মাছ যোগে। হা হা হা……।
উপকরনঃ
– কচি ডাটা (হাফ কেজি)
– আলুঃ মাঝারি একটা (কাটা লম্বা)
– কয়েকটা চিংড়ি মাছ (আজকাল মাছের যে দাম! কয়েকটা দিয়েই!)
– মরিচ গুড়াঃ হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচ
– পেঁয়াজ বাটাঃ ১ টেবিল চামচ (চাইলে কুচানো পেঁয়াজ দিতে পারেন)
– রসুন বাটাঃ ১ চা চামচ
– কাঁচা মরিচঃ ৩/৪ টা (ঝাল বুঝে)
– লবনঃ পরিমান মত
– তেলঃ সয়াবিন তেল পরিমান মত
– পানিঃ পরিমান মত
প্রনালীঃ
কচি ডাটা (মাথায় শাক থাকে সেটা দিয়ে ভাজি খাওয়া হয়েছিল)। সাথে আছে আলু কাট।
প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাটা দিন, সাথে একটু লবন। ভেঁজে নিয়ে রসুন দিয়ে আবারো ভাঁজুন, সাথে কাঁচা মরিচ দিতে পারেন। এবার এক কাপ পানি ও চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন এবং তাতে কষিয়ে হলুদ এবং মরিচ গুড়া দিন। ব্যস হয়ে গেল ঝোল। এই ঝোল রান্নাটাই বড় কথা। ঝোলের স্বাদের উপর মুল স্বাদ নির্ভর করে।
মশলা কষিয়ে তেল উঠে আসলে ডাটা ও আলু গুলো দিন।
ভাল করে উলটা পালটা করে ঝোল ডাটায় মিশিয়ে নিন এবং কিছুক্ষন কষান।
এবার এক কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫ মিনিট মাধ্যম আঁচে গরম করুন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিন।
ঝোল একটু না রাখলেই নয়। ঠিক এমন অবস্থা আসলে ডাটা ও আলু সিদ্ব হয়ে যাবে। এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন। লাগলে দিন, না লাগলে ‘ওকে’ বলুন!
ব্যস হয়ে গেল ডাটা চিংড়ি রান্না। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, এতই স্বাদের হয়েছিল যে, আমি ও আমার ব্যাটারী পূরো বাটি সাফ করে উঠেছিলাম। প্লিজ ট্রাই ওয়ান্স! আপনাকে খেয়ে বলতেই হবে ‘ওয়াও’।
বিশেষ ঘোষনাঃ ডাটা পানসা হলে হাফ চামচ চিনি দিয়ে দিলে পানসা ভাব চলে যাবে এবং খেতে সুস্বাদু হবে।
সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনাদের ভালবাসা কাম্য।
আপনার এই রান্না দেখে প্রান জুড়ে গেল। আপনার রেসিপি দেখে যে কোন অনাড়িও রান্না করতে পারবে। গতানুগতিক রান্না নয় তবে এই সব রান্নাই আমাদের বাসা বাড়ীতে হয়ে থাকে।
আপনি থামবেন না। আমি এই প্রথম কমেন্ট করলাম। আশা করি আপনার সব রান্না একে একে দেখে ফেলবো।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনাদের ভালবাসার জন্যই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি। আপনাদের দোয়া চাই।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
এটা আমার প্রিয় ডিস। দারুন!
LikeLike
ধন্যবাদ আপা। আমি জানি আপনি ডাটা খুব পছন্দ করেন। আমার কাছেও ভাল লাগে। আজ সকালে বাজারে গিয়েছিলাম। অনেক মোটা মোটা ডাটা দেখলাম। ছোট মুরগী এবং শীমের বিচি দিয়ে এই ডাটা খেতে পারলে ভাল লাগত। শিমের বিচি পাই কোথায়?
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD