গ্যালারি

খাবার দাবারের ছবি ও জীবনের কিছু কথামালা (দুপুরের খাবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪ইং)


শুক্রবারে সবার ছুটি, বাসায় নামাজের পড়ে সবাই ভাল খাবার খেতে চায়, বন্ধের দিনে আমাকেও বাসার বাজার করতে হয়। আজ সকালে মালিবাগ বাজারে মাছ কিনতে গিয়েছিলাম, স্বাভাবিকভাবে এখানে সব সময়ে অনেক মানুষের ভীড় দেখে আসছি, আজকে খুব একটা ভীড় নেই, মাছের আমদানীও কম দেখলাম, বাজারে ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম, কিছু সস্তা মাছ কোন দোকানেই নেই, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, ছোট নলা, চিংড়ি ইত্যাদি। পরিচিত একজন দোকানী জানালেন সস্তা কেজির মাছ আনার সাথে সাথেই বিক্রি হয়ে যায়, মানুষ এখন সস্তা মাছ বেশি কিনে। আমাদের দেশের মানুষ বর্তমানে ভাল নেই, এটা অবশ্য নিজকে দেখেও বুঝি, আগে বাজারে যেয়ে যা ইচ্ছা হত তাই কিনতাম এখন আর সেমোতাবেক কিনি না, যত কম কেনা যায়, আয় বাড়েনি অথচ খরচের হিসাব বেড়েছে। একই টাকা উপার্জন অনেক বছর ধরে কিন্তু বাজারে গেলে বুঝি কত কিছু কেনা হয়নি। যাই হোক, অল্প অল্প করে কউএক পদের মাছ কিনেছিলাম, ফার্মের মুরগী কয়েকটা, যেন অন্তত সপ্তাহ চলে যায়। চলুন আজকের খাবার দেখি। রান্না ভাল হয়েছিল, চমতকার।

খাবারের লেবুর দরকার আছে, ৫টাকা করে পিস ছিলো।
কলমি শাক ভাজি, শাকের আটি ছিলো ১০টাকা করে।
নলা মাছ, কেজি ২৫০টাকা করে ছিল।
ফার্মের মুরগী, কেজি ২২০টাকা করে ছিলো।
ডাল, কাঁচা আম দিয়ে, মুশরী ডালের কেজি ১২৫টাকা, দেশী।
বড় ছেলের প্লেট, সে বড় প্লেটে খেতে পছন্দ করে।

যাই হোক, আল্লাহর কাছে শোকর যে, তিনি এখনো ভাল খাবার খাওয়াচ্ছেন, রিজিকের মালিক তিনি। সবাই ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

রান্না কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন।

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]