গত দুইতিন দিনে অফিসের কাজে বাংলা ব্লগে আসতে পারি নাই। আজ সকালে নিজের লেখা ব্লগ গুলোতে কোন নুতন কমেন্ট আছে কি না তা দেখে আবার কাজে লেগে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমার লেখা একটা পোষ্টের একটা কমেন্ট দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। কমেন্টটি লিখেছেন একজন অজ্ঞাত পরিচয়ের পাঠক। ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে যে কেহই কমেন্ট করতে পারে বা তার সুযোগ আছে, শুধু নিজের একটা ইমেইল থাকলেই (অবশ্য এই ইমেল সঠিক না হলেও চলে, কোনমতে ইমেলের আকার হলেই চলে) হল। কমেন্টটা যদিও আমার জন্য চরম অপমানের তবুও আমি তা তুলে দিচ্ছি আপনাদের দেখানোর জন্য (অবশ্য ব্লগ থেকে লজ্জায় কমেন্টটা মুছে দিয়েছি, মেইল থেকে তা আবার রেখে দিয়েছি)।
শালা অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত মালরা পণ্ডিতি ফলানোর চান্স পেলে যা হয়… অশিক্ষিত তা যে সে অশিক্ষিত না ‘স্মরণ’ রে লেখেন ‘স্বরন’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’ রে লেখেন ‘মুক্তিযোদ্বা’… আরম সংখ্য! ইনটারনেট জামানা আসার কারণেই এসব বালছালের লেখা চোখের সামনে আসে! নাহলে এসব মাদ্রাসা পানালো মালদের চেহারা জীবনেও দেখএত হত না।
মন্তব্যটা তিনি করেছেন আমার ব্লগে আমার বাংলা বানান ভুল দেখে। হা, এটা সত্য যে, বাংলা ব্লগে/ নেটে বাংলা লিখতে গিয়ে আমি বানান ভুল করি এবং এর জন্য আমি সব সময়েই ক্ষমা চাই। আমার কথা হচ্ছে এই ‘বিশেষ ভদ্রলোক’কে নিয়ে। তিনি কি একজনকে এভাবে কমেন্ট করতে পারেন কি? সে অধিকার কি অর্জন করেছেন?
অজ্ঞাত নামের এই মন্তব্য এলে আমি তাকে প্রথম ইমেইলের (আমার মেইল থেকে তার মেইল দেখে) মাধ্যমে উত্তর দিতে চেষ্টা করি।
ব্রাদার, আপনার কমেন্ট পড়ে বেশ লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। বানান শুদ্ধ রাখার চেষ্টা করি সব সময় কিন্তু পারি না অনেক সময়েই। টাইপিং জটিলতা এবং অনেকটা না জানার কারনে এমন হয়ে থাকে।
শুভেচ্ছা থাকল। আপনার পরিচয়টা জানতে পারলে আরো ভাল লাগত।
মেইল সেন্ট করতেই Mail Delivery Subsystem থেকে যে উত্তর আসে তা হচ্ছে, Delivery Status Notification (Failure)। তার মানে দাঁড়াচ্ছে যিনি কমেন্ট করেছেন তিনি ভুয়া মেইল ব্যবহার করে কমেন্ট লিখেছেন এবং আমার হাতে তাকে ধরার (বন্ধু বানাবার) আর কোন কিছুই নেই! কথা হচ্ছে, তিনি একজন ‘ভদ্রলোক’ বটে! যিনি সামান্য সত্য ইমেইল দিয়ে কমেন্ট করতে সাহস করেন না তিনি আর একজনের ভুল ধরেন! (পারিবারিক শিক্ষা থাকার কারনে সাধারণত গালাগাল করি না, নতুবা একটা চ্রম গাল দিতাম!)
উক্ত ‘ভদ্রলোকে’র জন্য কিছু কথা বলার দরকার আছে বলে আমার মনে হয়। উন্মোচন ব্লগ সাক্ষী রেখে বলি, ব্লগে আমার মত অনেকে আছেন, যারা আমরা (আমি) কখনোই বাংলা টাইপ করতে পারতাম না (জটিলতা এবং আমার অক্ষমতা)। জনপ্রিয় অভ্র (অভ্র টীমকে ধন্যবাদ এবং ভালবাসা সবসময়) আসার পর আমরা এখন মনের কথা কিছুটা হলেও বাংলায় লিখতে পারি। আমি অভ্র ফনেটিকে বাংলা লিখে থাকি এবং অনেক বাংলার মুল শব্দ সঠিক জানি না বলে ‘আমার বানান ভুল হয়েই যায়’। তাই বলে কি আমি আমার মায়ের ভাষা লিখতে পারব না! এক হাজার শব্দে আমি যদি গোট দশেক বানান ভুল করি তবে কি আপনি আমাকে এভাবে গালাগাল সমেত কমেন্ট/মন্তব্য করবেন? বা এমন মন্তব্য করে আমাকে এক সাইডে ফেলবেন?
আসলে এই ধরনের মানষিকতার ‘ভদ্রলোক’দের অনেক কথা বলা যায় (নেটে এমন প্রচুর ভদ্রলোক দেখা যায়, যাদের কাজ হচ্ছে অন্যের দোষ খুজে বের করা এবং চোরাই পথে কিছু বলে কেটে পড়া, আমি আরো কিছু এমন ‘ভদ্রলোক’ নেটে পেয়েছি এযাবৎ)। কিন্তু বলেই বা কি হবে? আপনি কি আমাকে বানান গুলো ভুল ধরিয়ে দিয়ে আগামীতে আরো সতর্ক হতে বলতে পারতেন না! আপনার পারিবারিক শিক্ষা কি বলে? নিজের পরিচয় গোপন করে, আমাকে খারাপ মন্তব্য করে আপনি কি পেলেন?
এবং মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যে কয়েক লাইন লিখেছেন সেখানেও আপনি বেশ কয়েকটা বানান (আমি আপনাকে ক্ষমা করছি, টাইপিং মিস্টেক বলে মেনে নিচ্ছি) ভুল করেছেন। এটা কি আপনার পাণ্ডিত্য! আপনার ইনফরমেশনের জন্য বলি, আমি বাংলা টাইপ শিখে নেটে অনেক কিছু লিখে ফেলেছি (আমি মারা গেলে নিশ্চিত অনেকে নেটে আফসোস করবেন) কিন্তু আপনার জন্য কি এমন কেহ আছে? বাংলা বানান জেনে কি করলেন এতদিন! নেট কি আপনার বাবা/দাদার সম্পত্তি, যে ভুল বানান লিখা যাবে না! আপনার জন্য দুঃখ হচ্ছে (যদিও আপনি এই লিখা পড়লে হাসবেন, কারন আপনার সে অনুভূতি নেই, আপনি পারভার্টেড)!
কত কথা মনে পড়ছে। কোনটা রেখে কোনটা বলি। আমি গত বছর তিনেক আগে অভ্র পেয়ে এবং বাংলা নেটে বাংলা ব্লগ দেখে প্রথম একটা কবিতা (!) লিখে ফেলি, ‘আমরা বন্ধু’ ব্লগে (ব্লগের টেক্সেই ফোনেটিক টাইপিং ছিল)। ‘গুলনাহার সাহাবউদ্দিন নামা’ নামের এই কবিতাটা আমার প্রথম কবিতা এবং এই ব্লগে আমার মনে হয় এটা এখনো বেশী পঠিত এবং বেশী মন্তব্য পাওয়া কবিতা। কিন্তু এই কবিতায় অনেক অনেক বানান ভুল আছে যা আমি পরবর্তিতে (প্রকাশের সময় আমার সেই সব বানান জানা ছিল না বা টাইপ করতে পারছিলাম না) বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমরা বন্ধু ব্লগের পাঠকরা আমাকে সেই সকল বানান শুদ্ব করতে দেন নাই এবং বার বার নিরুৎসাহিত করেছেন। আমি সেটা উপভোগ করেছিলাম এবং এখনো সেটা সেভাবেই আছে।
গত কিছুদিন আগে স্যামহয়ার ইন ব্লগের উদ্দোগে একটা অনুষ্ঠানে যাই (শব্দনীড় ব্লগে এই বিষয়ে আমার একটা ছবি পোষ্ট আছে)। স্যামহয়ার ইন ব্লগের হেড ম্যাডাম জানা তার স্মৃতি চারন করছিলেন। তাদের ব্লগ শুরু করার পর পোষ্ট দিয়েছিলেন ‘দোবরা’ নামের একজন ব্লগার (যিনি বর্তমানে কানাডা থাকেন), যিনি কয়েক লাইনের একটা পোষ্টে কয়েকটা বাংলা বানান ভুল করেছেন এবং সেই ভুল বানান গুলো তারা আজো ঠিক করতে দেন নাই। বানান ভুলের চেয়েও আসল কথা ছিল কম্পিউটার/নেটে এ বাংলা লেখার ভালবাসা।
আমি ব্লগে/নেটে বাংলা ভালবাসি বলেই ভুল হলেও লিখে যেতে চাই এবং কারো বানান ভুল দেখলেও আমি তাকে উৎসাহিত করি, কারন তিনি চেষ্টা করছেন। মায়ের ভালবাসা তিনি শিখতে চেষ্টা করছেন, যা আমি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি (আমার ভুল গুলো অনিচ্ছাকৃত – টাইপিং এরর, না জানা এবং চোখ এড়িয়ে যাওয়া)। এবং যারা আমার বানান ভুল গুলো শুধরে দেন, আমি তাদের বিশেষ সন্মান করি, তাদের বিশেষ বন্ধু বলে ভাবি।
যাই হোক, যিনি আমাকে এই গুপ্ত কমেন্ট করেছেন তার (আমার ভাল পাঠক বটে) প্রতি অনুরোধ, বাঁকা চিন্তা না করে সোজা চিন্তা করুন। একবার ভেবে দেখুন এবং আপনার করা কমেন্ট/মন্তব্য আপনি আর একবার নিজেই পড়ে দেখুন। আপনি কি কাউকে এমন কিছু বলার অধিকার রাখেন?
পৃথিবীতে কে নির্ভুল আছেন? মানুষ কি নির্ভুল হতে পারে?
(লেখাটা উন্মোচন ব্লগে প্রথম প্রকাশিত, জীবনের হাসি কান্না ৩৮, রেসিপি লেখা প্রিয় পাঠক/পাঠিকাদের কাছে বিনীত ভাবে জানতে চাই। উন্মোচন ব্লগে মামুন হক ভাই একটা মন্তব্য করেছেন সেটাও এখানে তুলে দিলাম।
লিখেছেন মামুন হক • প্রকাশকাল: 27 ডিসেম্বর 2012 – 7:08অপরাহ্ন
উদরাজী ভাই এই সমস্ত নাম লুকানো, মহিষে তাড়ানো, পাগলে কামড়ানো ছাগলের কথায় আহত হবার কিছু নেই। এই জাতীয় বেকুবদের মাথায় ভাষার আসল উদ্দেশ্য যে কী সেটাই খেলে না। ভাষা বানানের দাস না, বানান ভাষার একটা উপকরণ মাত্র। যতক্ষণ পর্যন্ত মনের সঠিকভাবে প্রকাশ করা যাচ্ছে, এবং সেটা অন্যদের কাছে বোধগম্যও হচ্ছে, ভাষার স্বার্থকতা এবং কার্যকারিতা সেখানেই। ব্যকরণ বা বানানের বেড়াজালে ভাষাকে যারা বেঁধে রাখতে চান তাদের সুমতি হোক। আপনার লেখার অনেক গুণমুগ্ধ ভক্ত আছেন, এবং এইসব হাবিজাবিতে সময় নষ্ট না করে লিখতে থাকেন চার হাত-পায়ে।
আর এই ছদ্মবেশী ভদ্দরলোককে বলি–নিজের নামধাম প্রকাশ করে সামনে আসেন, দেখি ভাষার তেল আপনার কতটা বাড়ছে। দেড় পাতা মহাভারত পড়েই সীতা কার বাপ খোঁজা বন্ধ করেন।
আশা করি আপনারা আপনাদের মতামত জানাবেন। সবাইকে ইংরেজী নবর্ষের শুভেচ্ছা।)
They say: “If you keep on throwing stones at every barking dog on the road, you will never reach your destination”. “Jab log tumhare khilaf bolne lage samajh lo taraki kar rahe ho” – one of the famous dialogues from Bollywood movie Guru.
Personally my opinion, you are doing a good job, keep it up. Atleast you are trying – that is more than enough. And one request: do not respond to this kind of things. There is a very little difference between a Gadha (ass/donkey) and a Manush. When a human looses his temper and react to the donkey, that is the loss of human and win of donkey – and that is the primary motto of a donkey’s life. So be careful 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ অরুন ভাই। আপনার এই কমেন্টের জবাব দেয়ার ভাষা আমার কাছে নেই। আমি কাঁদছি……।
আমি ফিরে আসছি…।
LikeLike
উত্তম ও অধম
সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত
কুকুর আসিয়া এমন কামড়
দিল পথিকের পায়
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে
বিষ লেগে গেল তায়।
ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা
বিষম ব্যথায় জাগে,
মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায়
জাগে শিয়রের আগে।
বাপেরে সে বলে ভর্ৎসনা-ছলে
কপালে রাখিয়া হাত,
‘তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে
তোমার কি নেই দাঁত !’
কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল
‘তুই রে হাসালি মোরে,
দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়
দংশি কেমন করে !
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায় ?’
(অরুন ভাই, আপনাকে বিশেষ বিশেষ ধন্যবাদ। আমি উপরের কবিতাটি আবার খুঁজে বের করে পড়ে নিয়েছি।)
LikeLike
জটিল
LikeLike
হা হা হা, কে জটিল? ‘আমি’ না ‘তিনি’!
LikeLike
পুরো ব্যাপারটাই জটিল।
আর ‘তিনি’র মতো অনেক লোক আছে।
আমার সাথেও দু-একবার হয়েছে। সম্ভবত ব্যক্তিগত রাগ আছে আপনার উপর।
LikeLike
ধন্যবাদ দার্শনিক ভায়া।
‘তিনি’ কেন আমার উপর রেগে যেতে পারেন তা বুঝতে পারছি না। মনে হয় তিনি ‘হিংসিত প্রজাতির’!
ব্লগে আমরা যারা লিখি তাদের এমন অভিজ্ঞতা হবেই, ধরে নিতে হবেই!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
হিংসিত প্রজাতির’ হা হা হা
LikeLike
আপনার কথা সত্য। মনে হচ্ছে কোথায়ও তিনি আমার সাথে টক্কর খেয়েছিলেন হয়ত!
যাক, আমাদের পথে আমরা চলবোই।
LikeLike
লেখাটা উম্মোচনে পড়ছিলাম। আপনার এই জবাবে বেশ মাইন্ড করছি। এর মাধ্যমে ফাউল লোকটারে পাত্তা দেয়া হইলো।
LikeLike
ধন্যবাদ সুজন ভায়া, আসলে আমি অনেক ধৈর্য্যশীল হলেও এই মন্তব্য পেয়ে কিছুটা মাথা গরম হয়ে পড়ছিল। এখন অবশ্য হাসছি…। ফাউল লোক মনে হয় না, এরা আসলে অনেকের সাথেই এমন করে থাকে। আমি আমরা বন্ধু, চতুরে এবং সামুতে এমন অনেক দেখেছি। দুনিয়াতে এমন কোন গালি এদের জন্য পয়দা হয় নাই!
আসলেই আমাদের কিছু সময় নষ্ট হল। শুভেচ্ছা।
LikeLike
এসব লোককে পাত্তা না দেয়াটাই সবচে ভালো জবাব।
LikeLike
ধন্যবাদ মারুফ ভাই। আপনার সাথে একমত। আগামীতে এমন হলে আর কিছুই বলব না…। খেলারাম খেলে যা!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আপনার এই পোস্ট দেখে লগাইতে বাধ্য হইলাম (পাসওয়ার্ড হারায় ফেলসিলাম, তাই অনেকদিন মন্তব্য করা হয় নাই, আজকে নতুন পাসওয়ার্ড বানালাম)
এইসব পাগল-ছাগলের মন্তব্যকে পাত্তা কম দিয়েন। ফলবতী গাছেই ঢিল পড়ে বেশী, আপনার সাইট বেশ জনপ্রিয়, তাই এই ধরনের ফালতু মন্তব্য ভবিষ্যতে আরো হয়ত আসবে। তাই বলে আপনার লেখায় যেন কোনো নেগেটিভ প্রভাব না পড়ে, সেটাই কাম্য।
আপনি বিভিন্ন বাংলা ব্লগে ছিলেন/আছেন, মানুষ নাম লুকাতে পারলে যে কত দুষ্ট হতে পারে, সেটা তো নিশ্চয়ই আপনার জানা। সেইগুলাকে পায়ে ঠেলেই লেখা অব্যাহত রাখুন, শুভকামনা।
LikeLike
ধন্যবাদ রনি ভাই। দাউদ ভাইয়ের মত আপনাকেও অনেকদিন না দেখে ভাবছিলাম, কিন্তু ভিজিটর ফেইসে আপনাকে দেখে আসছিলাম বলে আমিও চুপ করে ছিলাম।
হা, আমার অভিজ্ঞতা আছে এদের নিয়ে। আমি আগেও বেশ কয়েকটা ব্লগে এদের মত ভদ্রলোকদের ফেস করেছি। এরা সংখ্যায় কম হলেও বেশ ঘিলু রাখে, একাই একশত। যাই হোক, আমি আসলে সেই সময়ে নিজকে বুঝতে পারি নাই। আপনাদের কমেন্ট এবং বেশ কয়েকটা টেলিফোন পেয়ে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
আমার কাজ আমি করে যাব, আশা করি আপনারা আমার সাথে থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
বৃক্ষ তোমার নাম কি?
ফলে পরিচয়!
কুমন্তব্যধারী মানুষটির (??? ) ক্ষেত্রে এই কথাটি প্রযোজ্য!
সামুতে আমার প্রথম পোস্টটি ছিলো ইংরেজী হরফে বাংলা লিখা। আমি সেটা মুছিনি। পরে কয়েকটি বাংলা লিখলেও তা প্রচন্ড রকম ছেড়াবেড়া ছিলো, তাই সেগুলো মুছে ফেলেছি। ভুল করা কি অন্যায়?
আর অসভ্যের মত অশ্লিল গালাগাল করা আজকাল অনেকের কাছে ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। সত্যি! এদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে বড্ড ইচ্ছে করে।
আমরা সামান্য মধ্যবিত্ব পরিবারে বড় হয়েছি, কিন্তু আমাদের বাবা, মা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন কি করে মানুষের মত আচরন করতে হয়।
এ ধরনের মন্তব্য বয়কট করবেন।
বোয়াল মাছ ভাজির পোস্টে কমেন্ট করে ব্লগ থেকেই আউট হয়েছিলাম। পরে অনেক চেষ্টাতেও ঢুকতে পারিনি। এই কমেন্টটিও পোস্ট হবে কিনা জানিনা।
ভালো থাকবেন।
LikeLike
ধন্যবাদ ডিয়ার রান্নাতো আপা। এটা সত্য যে, আপনার উৎসাহ না থাকলে আমি এত গুলো রেসিপি নেটে দিতে পারতাম না। প্রতিদিন সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৪০০/৫০০ হিট হচ্ছে এটায় আপনিও অংশীদার। এত গুলো মানুষের ভালবাসায় আপনিও আছেন। রান্নাতো বোন/ ভাই শব্দটা আগামীতে ডিকশনারিতে যোগ হবেই।
আর বেশী কি বলব। আপনার কথা মনে থাকবে…।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Apni aponar kaj kore jan…… aponi balo kaj korchen…
LikeLike
ধন্যবাদ হামিদ ভাই। আমি বুঝতে পেরেছি…।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
LikeLike
এতো কিছু ঘটে গেছে, আমি জানিই না!
আসলেই আমি অনেকখানি পিছনে পড়ে গেছি।
যাহোক, উদরাজি ভাই, আমার কাছে মনে হয় এদেরকে just ignore করলেই সবচেয়ে ভালো হয়।
LikeLike
ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই।
হালকা একটু ডাক্তারি ভাষায় এদের মানষিকতাকে কি বলা যেতে পারে তা বলে গেলে ভাল হত। এদের জ্বালায় অনেক মানুষই হারিয়ে গেছে!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
অজ্ঞাত অপরিচিত ভদ্রলোক(?) বাংলার ভীরু ভক্ত সেবক, গালি-গালাজ আর কুকথা শিখেছেন – ভদ্রতা শিখেছেন বলে মনে হচ্ছে না। নিজে লেখেন ভুল বানান, অন্যদের ভুল ধরে আবার গাল-মন্দ করেন! কী তাজ্জব! ঝাঁজোর বলে সুঁইকে ‘তোর পাছায় ফুটো!’
বানানের ব্যপারে আমার বেশ খুঁতখুতি আছে, আর সে জন্য মূল্যও কম দিতে হয়নি। কিন্তু আমি তো বানান বিশারদ নই, কাউকে এ নিয়ে মন্দ কথাও বলতে পারি না তাই। এই ভদ্রলোক(?) নিজের পরিচয় দিয়ে সামনাসামনি এসে কটু কথা বললে তার সাথে তর্ক করা যেত। বাতাসের সাথে যুদ্ধ করে লাভ কি? কাজেই, মন খারাপ করা ঠিক না, নিজের কাজ চালিয়ে যান নিজের মত করে।
LikeLike
সালাম হুদা ভাই।
আশা করি বেড়ানো শেষ হয়েছে। শীতের পিঠা কেমন খেলেন?
হুদা ভাই, আমার আপনাকে ভাল লাগার অনেক কারন আছে এবং একটা কারন এই যে, আপনি বানান ভুলের ব্যাপারে বলেন। আপনার কাছে আমি ফোন করেও বানানের ব্যাপারে হেল্প নিয়েছি অনেক বার। আসলে সব সময়েই শুদ্ব (!) করে লিখার একটা চেষ্টা করেই যাই, কিন্তু তবুও ভুল করে ফেলি।
ব্যাপারটা সামনে আনার কারন হচ্ছে আমাদের বন্ধুত্বকে আরো মজবুত করা! হা হা হা… নেটে আমরা যারা লিখি, কি কারনে লিখি, আমাদের উদ্দেশ্য কি তা আবারো সামনে নিয়ে আসা। আশা করি একটা আলোচনা হয়েই গেল। বেশীর ভাগ ব্লগার/ নেট লেখক শুধু ভাষাকেই ভালবেসে থাকেন, এটাই প্রমানিত হল।
যাই হোক, এই চিকন বুদ্দির লোকদের থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এরা আমাদের লেখার মৃত্যু ঘটাতে পারে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
না ভাই, পিঠা তেমন খাওয়া হয়নি। শুধু বিয়ে বাড়ির শাহী খাবার চলেছে ৪/৫দিন।
[কারণ, শুদ্ধ(ddh), প্রমাণিত, বুদ্ধি(ddh) এগুলো সঠিক কিনা তা জানি না, আমি এমন লিখি।] এই যে সামান্য বিচ্যুতি তাতে এমন কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি।
gc1963-এর নিচের মন্তব্য পড়ে অভিভূত।
চলুক আপনার লেখালেখি অবিরত।
LikeLike
তবুও!
শুদ্ধ, বুদ্ধির বিষয়টা মনে গেঁথে গেল। ‘ৎ’ নিয়ে মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়ি। তবে আস্তে আস্তে ভুলের সংখ্যা অনেক অনেক কমে যাচ্ছে। এক সময় আমিও অন্যের ভুল ধরতে পারব।
তবে কবিতায় কোন ভুল চলে না এটা আমি আগেও বলেছি, এখনো বলি। সেজন্য কবিতা লিখার চেষ্টাও করি কম বা না!
যাই হোক, আমি আমার চেষ্টা করেই যাব। কিছু হউক বা না হউক।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আসলেও কিন্তু ভুলের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। অভ্র দিয়ে দ্রুত লিখতে গেলেই ভুল হতে থাকে বেশি। কত জানা বানান যে ভুল লেখা হয়ে যায়! পরে আর এডিট করা সম্ভব হয় না।
মাত্র কয়েকটা ক্ষেত্রে ‘ৎ’ ব্যবহার হয়ে থাকে (হঠাৎ, বিদ্যুৎ)। ‘ত’ দিয়ে লিখলেও সে সব শব্দ বানান ভুলের আওতায় আসে না। কাজেই এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
আপনার সাথে আড্ডা দেবার ইচ্ছে করছে; কবে আসবো এবং কখন?
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই, আপনার কাছে আমার কোন ব্যাখ্যা সাজে না। আপনি জানেন কেমন করে নেটে ব্লগিং করি, কেমন করে রান্নাঘরে সময় কাটাই।
হা, আগের চেয়ে অনেক অনেক ভাল করছি, সামনে আরো করব। এসব জানার বিষয়, আরো জানতে হবে। তবে কবিতায় কোন বানান ভুল চলে না! হা হা হা…
একদিন অফিসে চলে আসুন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা পান করব!
LikeLike
সাহাদাত ভাই, আপনার এই ছদ্মবেশী সমালোচক কে ইংরাজী ব্লগ ভাষায় ‘ট্রোল’ বলে। এরা মানসিক স্তরে অসুস্থ। এদের কাজই হ’ল নেটে ঘোরাফেরা করা, যাতা গালাগাল দিয়ে কমেন্ট করা এবং আপনি যদি তাদের ব্যবহারে বিড়ম্বনা প্রকাশ করেন তাহলে পাল্টা আরো ক্লেদাক্ত কমেন্ট করা। এরা যে কোনো সাইটে ঢুকে পড়ে এমন সব আসামাজিক কাজ করে থাকে। আফসোস, এদের রোখার কোনো আইন এখন পর্যন্ত নেই।
আমারো আপনার মতই হাল। অভ্র কে এই সুযোগে অস্যংখ ধন্যবাদ জানাই । তাদের সফটওয়ারের দৌলতেই বাংলা টাইপ করতে পারছি, লিখতে পারছি ও নিজের মনের কথা বলতে পারছি। এখানে আমার বাংলায় লেখার সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে লেখা ব্লগের লিঙ্ক দিলাম পড়ে দেখবেন।
http://www.vanderloost.blogspot.in/2012/09/blog-post.html
মামুন ভাইয়ের কমেন্টকে আমি সর্বোপরি সর্বান্তকরণে সমর্থন করি। এসব বাচাল কমেন্ট এর ধার ধারবেন না। এই সব কমেন্টের উপরে না রিয়্যাক্ট করাই শ্রেয়। আপনি যত বিব্রত হবেন এরা ততই মজা পাবে।
আপনি বানান ভুলের কথা বলছেন। আমি তো সব সময় সঠীক শব্দ ও মনে করতে পারি না। তবুও লিখি এবং এই প্রতিবন্ধকতাকে দুর করবার জন্য ফ্লিপকার্ট মারফৎ ইংরাজি-বাংলা ও বাংলা-ইংরাজি শব্দকোষ (সংসদ) কিনে ফেলেছি। এখন এত বেশী মার্জিত ভাষা লিখি যে কেউ বুঝতেই পারে না। 🙂
আপনি লিখে যান। আপনার সঙ্গে আমরা আছি। আমি তো আপনার লেখা আর রেসিপি দ্বারা প্রচন্ড প্রভাবিত। প্রেরণাস্রোত কে হারাতে চাই না। তাই আবার বলি এসব ছোটোখাট বাধা বিঘ্নকে অতিক্রান্ত করে লিখে যান। আমরা কেউ পন্ডিত নই। আমরা আম জনতা । আমাদের ভাষা নিয়ে কারবার নয় মন নিয়ে কারবার।
ভালো থাকবেন। ভালো লিখবেন ( যা আপনি হামেশাই করে থাকেন)। আর আপনাকে ও আপনার পরিবার ও সকল আপনজনকে জানাই ইংরাজী নববর্ষের
শুভেচ্ছা। গীতশ্রী
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনার কমেন্ট পেয়ে ধন্য হলাম।
আসলে আপনার অভিজ্ঞতার মত অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। প্রতিটা ব্লগে/সাইটে এমন কিছু ব্যক্তির দেখা পাওয়া যায়। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা নিয়ে কিছুই বলব না, পরে ভেবে দেখলাম কিছু বললে বা আপনাদের জানালে ভাল হবে। এতে আমাদের মাঝে আরো বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে এবং সে জন্যই বিষয়টা তুলে আনলাম।
হা, আপনার ব্লগ দেখে আসলাম। চমৎকার।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
LikeLike
অজ্ঞাত মহা জ্ঞানীটার আক্কেল দাঁত উঠুক! তবে এদেরকে ইগনোর করাই শ্রেয়।
LikeLike
হা হা হা, ধন্যবাদ রুমান ভাই। আপনি না এলে মাইন্ড করতাম!
ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আপনার চেষ্টা একদিন সারা দুনিয়ার মানুষ মনে রাখবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমিতো সবাইকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগিং করার জন্য উদ্বুদ্ধ করি মাত্র। এর বেশি কিছুতো করতে পারিনা ভাই।
LikeLike
এটাই কম কিসে! দুনিয়ার ছোট ছোট কাজ এক সময় অনেক বড় হয়ে যায়।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
adnanroniর কথা অতি সত্য। মানুষ নাম লুকাতে পারলে যে কত দুষ্ট হতে পারে তা ব্লগ পড়লেই বোঝা যায়। আপনি আপনার আপন পথে থাকুন।
তবে একটা বাংলা অভিধান রাখতে পারেন কাছে। কাজে দেবে নিঃসন্দেহে।
আমিও অভ্র ব্যবহারকারী। ধন্যবাদ।
LikeLike
ধন্যবাদ আজাদ ভাই।
হা, এটা অবশ্য আমার অভিজ্ঞতা হিসাবে নুতন নয় তবে রেসিপি ব্লগে নুতন হিসাবে সাবার সামনে তুলে ধরেছি।
আসলে যে পরিবেশে ব্লগিং করি (মনের আনন্দের জন্য) তাতে সব কিছু খেয়াল করতে পারি না। আর অভ্র দিয়ে ফনোটিক টাইপিং বলে বানান জানা থাকলেও ভুল করি। তবে আমার একটা চেষ্টা থাকেই, শুদ্ধ লিখার। নাজমুল ভাই ঠিক বলেছেন, এখন বানান ভুল অনেক কমে গেছে।
আমার কাছে (অফিসে) চার খানা অভিধান আছে। আমি মাঝে মাঝে দেখি, আরো দেখে নিজকে ঠিক করে নেব ভাবছি। টাইপিং এ বেশী যত্ন নিতে হবেই।
শুভেচ্ছা আপনাকে। আশা করি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন।
LikeLike
Bapar na, chaluk.
LikeLike
ধন্যবাদ জামিল ভাই। শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
LikeLike
আপনার লেখা পড়ে ও কমেন্ট দেখে অনেক জানতে পারলাম । ধন্যবাদ
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ।
LikeLike