রোজার ইফতারিতে বেগুনি একটা অত্যাবশকীয় আইটেম! বেগুনি না হলে ইফতার জমেই না। আসলে বেগুনি খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু বলেই এর এত কদর! একটু দেখে শুনে বেগুনি বানালে আর কি লাগে। যাই হোক, এই মজাদার বেগুনি রোজার কোন এক ইফতারিতে রেকর্ড করলেও সে সময় পোষ্ট দিতে পারি নাই। এখন রেসিপি পোষ্ট দিচ্ছি। যারা বেগুনি বানাতে জানেন, তাদের কোন কথা নাই! যারা জানেন না তাদের জন্য আশা করি এই মজাদার বেগুনি পোষ্টটা কাজে লাগবে।
বিকালের নাস্তায় এই বেগুনি এখনো, মানে, যে কোন দিন পরিবারের সবার সামনে হাজির করা যেতে পারে। আশা করি বিকালের নাস্তা হিসাবে খেয়ে বলবে ওয়াও! চলুন আর দেরী না করে বেগুনি বানানো দেখে ফেলি। খুব সহজ এবং সাধারন। তবে একটা কথা বলি আমি অনেক বড় বড় বেগুনি পছন্দ করি, ভাজাটা একটু কড়কড়ে হলে আরো ভাল লাগে। বড় বেগুনি পাঁচটা খেয়ে এক কাপ চা খেলে আর কি লাগে!
প্রণালীঃ
বেগুন ধুয়ে এইভাবে পাতলা করে কাটুন। সামান্য লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে কষ বেরিয়ে বেশ পরিষ্কার এবং মোলায়েম হয়ে যাবে।
অন্য একটি পাত্রে বেগুনীর পুর বানাতে বেগুন অনুমান করে করে বেসন, ময়দা, সামান্য হলুদ, মরিচ, এক চিমটি জিরা, এক চিমটি চিনি, এক চামচ রসুন বাটা এবং পরিমাণ মত লবণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই ধরনের মিশ্রনে পরিমানে এদিক সেদিক (সামান্য) হলে কি যায় আসে! ২য় দফা বানাতে ফেলেই আপনি বুঝে যাবেন কি বেশি দিতে হয় না! হা হা হা…
আসতে আসতে পানি মিশিয়ে এমন কাই করুন। বেশি পাতলা কাই হলে বেগুনের গায়ে লাগবে না, সুতারাং দেখে শুনে।
কাইতে বেগুন চুবিয়ে নিন…।
কড়াই বা তাওয়াতে তেল গরম করুন। বেগুনি ডুবোতেলে ভাজতে হয়। এবার বেগুন গুলো তেলে দিন। সাবধানতার সাথে, লক্ষ্য রাখবেন তেলের ছিটা যেন গায়ে না পড়ে!
আপনার কেমন ভাজি হলে ভাল লাগবে সে মত করে নামিয়ে নিন।
তেল ঝরিয়ে আস্তে আস্তে নামান। গরম তেল থেকে সব সময় সাবধান। ছিটা পড়ে গায়ের চামড়া পুড়ে যেতে পারে।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। গরম গরম পরিবেশনে খেতে আরো মজা।
হালকা একটু বিট লবণ ছিটিয়ে দিলে স্বাদ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বেগুনের দাম কমছে আজকাল। বাজারেও দেখলাম বেশ বড় বড় বেগুন পাওয়া যাচ্ছে। বেগুনি খাবার আসলে এটাই চমৎকার সুযোগ!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন।
(updated photobucket to wordpress)
কিন্তু বিচিওয়ালা বেগুন কেন? কচি বেগুনে কী বেগুনি হয় না?
LikeLike
বেশি বড় বেগুন কিনতে গিয়ে এমন দশা! যাই হোক, খেতে কিন্তু বিচি টের পাই নাই!
শুভেচ্ছা হুদা ভাই।
LikeLike
রমজান মাসে বেগুনী এত খেয়েছি যে এখন আর খেতে ইচ্ছা করে না
LikeLike
ধন্যবাদ সবুজ ভাই। এই রেসিপি রমজান মাসেই তুলেছিলাম। সময় পাইনি বলে দিতে পারি নাই। এখন সুযোগ পেয়ে তা দিয়ে দিলাম।
সারা বাংলাদেশে বেগুনি রমজান মাসেই চলে মাত্র, এটার সাথে আমি একমত।
শুভেচ্ছা। আশা করি মাঝে মাঝে দেখে যাবেন।
LikeLike
বেগুনে লবন মেশালে নরম হয় জানতাম না। ধন্যবাদ ভাই।
কাইয়ের সাথে একটু কর্ণফ্লাওয়ার পাউডার মেশালে বেগুনীটা বেশিক্ষণ পর্যন্ত ক্রিস্পি থাকে।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। এই ধরনের অনেক ছোট ছোট বিষয় জানলে ভাল। গত কাল আমার ব্যাটারীর কাছে একটা ব্যাপার জেনে খুব দুঃখ পেলাম। তিনি বলেছেন, পাশের বাসার ভাবীর নাকি দুই হাতে অনেক অনেক ছোট ছোট বিন্দু বিন্দু পোড়ার দাগ। তেলে কোন কিছু ভাজতে গিয়েই নাকি এমন ছিটা পড়ছে। অথচ সামান্য সর্তক থাকলে এমন হত না। তেল গরম হলে তাতে সামান্য লবন দিলে আর ছিটা উঠে না। যে কোন ভাজির সময় এমন করা দরকার। পেঁয়াজ কষানোর/ভাজির করার শুরু করার সময় লবন দিলে আর ছিটা উঠবে না…
ছোট ছোট টিপস দিয়ে একটা পৃষ্টা শুরু করছিলাম, ভাবছি সেটা ভরিয়ে দেব।
শুভেচ্ছা। টিপস থাকলে পাঠান, আপনার নামেই প্রকাশ করব।
LikeLike
বেগুনি আমার খুবই প্রিয় খাবার।
আর সাথে মুড়ি!!
পেঁয়াজু, বেগুনি , মুড়ি আর আঁচাড়ের তেল যোগে চমৎকার মুড়ি মাখা হতে পারে।
চমৎকার একটি পোস্ট সাহাদাত ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই। এই বেগুনি রেসিপিটা রোজায় দেয়া দরকার ছিলো! অসময়ে পড়ে গেল।
বাজারে অনেক ভাল বেগুন দেখছি। এই বন্ধের দিনে আবার বানাব।
LikeLike
বেগুনে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাই বেগুনের জায়গায় আলু প্তলা স্লাইস করে কেটে বেসনে ডুবিয়ে ভেজে নেই । তারপরও বেগুনির তুলনা বেগুনিতেই ।
LikeLike
হা হা হা… বেগুনি এখন আবশ্য সারা বছর ঢাকার ফুটপাতে পাওয়া যায়। আমি চান্স পেলে খাই। ইফতারে কেন যে ভাজাভুজি ভাল লাগে, বুঝতে পারি না! আসলে বেগুনির স্বাদ বেগুনিতেই!
শুভেচ্ছা।
LikeLiked by 1 person
খুব ভালো লাগল। বেগুনি আমার খুব পছন্দ
LikeLiked by 1 person
খারাপ
LikeLiked by 1 person