লেবু যোগে পাতলা ডাল রান্না। এই গরমে দুপুরে খাবার খেতে বসে এমন একটা আইটেম পেলে আমি নিশ্চিত আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। লেবুর টক এবং হালকা তিতা ভাব আপনার খাবারের মজা অনেক গুন বেশী করে দিবেই। গরমে মুখে স্বাদ বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুন।
মতিঝেল বাণিজ্যিক এলাকায় ফুটপাতে ডালের দোকান।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ (উপকরণের অনুমান আপনি নিজেও করে নিতে পারেন)
– হাফ কাপ মুশরী ঢাল।
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– হাফ চামচ গুড়া হলুদ
– কয়েকটা পেঁয়াজ কুচি
– সামান্য ধনিয়া পাতা
– লবণ (পরিমাণ মত)
– পানি (কিছু গরম পানি আগে করে রাখলেই ভাল, প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে)
– কিছু রসুন কুচি (বাগার দেয়ার জন্য)
– সামান্য তেল
প্রণালীঃ
লেবুর চামড়া মোটা হলে ভাল।
মুশরী ডাল ভাল করে ধুয়ে হলুদ গুড়া, পেঁয়াজ কুচি, পরিমাণ মত লবণ ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে জাল দিতে থাকুন। ডাল গলে গলে আসলে গুটনি দিয়ে আরো গলে মিহিন করে ফেলুন।
একটা অনুমান করে লেবু দিতে হবে। দেড় লিটার (অনুমানিক) ডালের জন্য একটা লেবু হলে ভাল হবে।
আরো কিছু সময় জাল দিতে হবে। থাকলে কিছু ধনিয়া পাতা কুঁচে দিন, খেতে ভাল লাগবে।
বাগার মেরে দিন (অন্য একটা কড়াইতে সামান্য তেলে রসুন ভেজে হলুদ করে ফেলে তাতে ডাল ঢেলে দিন। ব্যাপারটা একটু সাবধানে!)
বাগারের কড়াইতে পাতলা ডাল।
আর কিছু ক্ষণ জালের পর নিজ কড়াইয়ে। এবার ফাইন্যাল লবণ দেখে নিন। লাগলে দিন না লাগলে ওকে! আগুন নিবিয়ে কিছুক্ষণ ঢাল ডেকে রাখুন।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। একবার লেবু যোগে ডাল বানিয়েই দেখুন না, কত মজার। আপনারা যারা কাঁচা আম যোগে পাতলা ডাল খেয়েছেন তারা আরো বেশী মজা পাবেন।
(কনসেপ্ট ধার করা হয়েছে আমার বড় ভাবী থেকে। চট্রগ্রামে বড় ভাইয়ের বাসায় ভাবী এমন ডাল রান্না করেছিলেন। গরমে খেতে বসে আমার তা বেশ মজাদার মনে হয়েছিল। ঢাকা এসে আমরাও লেবু দিয়ে পাতলা ডাল রান্না করি। বেশ মজাদার। তবে ভাল ডাল রান্না হয় ডালের কোয়ালিটির উপর। তাই যে কোন ডাল কিনতে দেখে শুনে কিনা ভাল।)
___________________________________________________________
পাতলা ডাল নিয়ে আমার আগের একটা রেসিপি আছে। ইচ্ছা হলে সেটা আবারো দেখে নিতে পারেন।
আমাদের এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে, “ডালের মজা জ্বালে”! অর্থাৎ যত বেশি সময় জ্বালানো হবে স্বাদ বেড়ে যাবে ততই।
লেবু-ডাল খাওয়া হয়নি কখনও, খেতে ভালো যে হবে তা আপনার লেখার ধরণ থেকেই বুঝা যাচ্ছে। ট্রাই করতে হবে কোন একদিন!
LikeLike
হুদা ভাই, দুনিয়াতে কত খাবার কত ধরনের। আমিও এমন প্রথম খেলাম। বড়ভাবী ভালই বানিয়েছিলেন। বাসায় ফিরে আর দেরী করি নাই। আমাদেরটাও বেশ স্বাদ হয়েছিল। লেবুর চামড়া চাবিয়ে তিতা লাগছিল একটু কিন্তু আমার কাছে বেশ ভাল লাগেছিল। মঝে মাঝে এমন হলে মন্দ কি।
আপনার পুত্রবধূ আশা করি এই রেসিপিটা দেখে নেবেন এবং আপনাদের জন্য একদিন এমন রান্না করবেন। পাতলা ঢাল তো মনে হয় সাপ্তাহে দুইএকবার হয়ই! এবার না হয় একদিন, লেবু যোগ হবে।
আপনার টিপস টা আমি মেইন পেজে ‘রান্নার টিপস’ পাতায় তুলে দিলাম। আশা করি আমাদের কাজে লাগবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
জ্বরের সময় এই লেবু ডাল যে কি পরিমাণ স্বাদের লাগে সেটি অনেকেই জানেনা।
চমৎকার একটি রেসিপি দিলেন সাহাদাত ভাই।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই।
আমি এই নিয়ে জীবনে দুইবার খেলাম। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। পাতলা ডাল আর করলাও বেশ জমজমাট। রেসিপি আসছে…।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আম্মা বানায়…অসাধারন লাগে
LikeLike
আপনার আম্মাকে সালাম জানাচ্ছি। তিনি আপনাদের জন্য সঠিক কাজ করছেন…
আশা করি ওনাকে সব সময় সকল কাজে হেল্প করবেন।।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ পাতলা ডাল (শুকনো বরই যোগে) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ মুশরি ডালের দোপেয়াজা (সাধারন এবং সহজ) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
উদরাজি ভাই, আমি মিক্সড সবজি করেছিলাম লেবু দিয়ে। স্রেফ একটুকরো লেবু ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে তাজা লেবু না হলে তিতা লাগে।
পাতলা ডালটা করবো। ইনশাল্লাহ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন, লেবু দিয়ে বেশী ক্ষন জ্বাল না দেয়াই ভাল।
লেবু যোগে পাতলা ডাল খেয়ে দেখুন, আশা করি ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
খুব মজা| কাচামরিচ ও ধনেপাতার পরিবর্তে কামরাঙ্গা মরিচ ও পুদিনাপাতা দিয়ে ডাল রান্না করে ফেললাম এই রেসিপি অনুসারে| খুবই মজার হয়েছে| আপনার blog-এ আমার অজানা রেসিপি পাচ্ছি| প্রায়ই দেখি আপনার blog, idea নেবার জন্য| আপনাদেরকে ধন্যবাদ|
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। রান্না একটা শিল্প আর আপনি সেটাই প্রমান করছেন। কামরাঙ্গা মরিচ ও পুদিনাপাতা দিয়ে ডাল! আহ। তবে বোন ঝাল একটু কম খাবেন সব সময়। ঝালে যৌবনে কোন সমস্যা দেখা দেয় না, বুড়াকালে ঝালের জন্য অনেক রোগ বালাই দেখা দেয়। সুতারাং সময় থাকতে সাবধান হবেন।
আশা করছি আমাদের মাঝে মাঝেই দেখে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কামরাঙ্গা মরিচের যেমন বেশ ঝাল তেমন বেশ দাম| মাঝেমাঝে স্বাদ বদলের জন্য বেবহার করি| কামরাঙ্গা মরিচের খুবই সুঘ্রাণ| যেকোনো মরিচের বেশিরভাগ ঝালই এর ভেতরকার বীচিযুক্ত সাদা অংশে| বীচিসহ এই সাদা অংশ ফেলে দিয়ে বাকিটা বেবহার করলে খুব ঝাল হয়না কিন্তু সুন্দর ঘ্রানটা পাওয়া যায়| কামরাঙ্গা মরিচ, পুদিনাপাতা ও লেবু যোগে এই রেসিপি অনুসারে রান্না ডাল খুবই মজার হয়েছে|
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনার টিপস মনে থাকবে। আমার স্ত্রী মানে আমার ব্যাটারী চান্স পেলেই বোম্বাই মরিচ খান। মাঝে মাঝে দেখি ভাতের সাথে খুঁটে খুঁটে খাচ্ছেন।
মজাদার হয়েছে জেনে খুব ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ মুশরি ডালের দোপেয়াজা (সাধারন এবং সহজ) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ পাতলা ডাল (শুকনো বরই যোগে) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
ক কোটি
LikeLike