সামুদ্রিক মাছ আমার বরাবরেই পছন্দ কিন্তু দামের জন্য কেনা মুস্কিল। বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো সামুদ্রিক মাছ বছরে এক দুই বারের বেশী কিনতে পারেন বলে মনে হয় না! ঢাকার বাজারে পাওয়া মুস্কিল তেমনি দামেও আগুন। যাই হোক, গতকাল বাজারে সাইজে ছোট রূপচাঁদা মাছ দেখে কিনে ফেলি, অনেক দিন খাওয়া হয় না, সেই কবে রূপচাঁদা ভাঁজা খেয়েছিলাম, মনে পড়েও পড়ে না! যাই হোক শিশুদের সব মাছের স্বাদ না দিতে পারলে বাবা হিসাবে নিজেও লজ্জিত হয়ে পড়বো!
চলুন দেখে ফেলি, খুব সাধারন রান্না, এমন সাধারন ও সহজ রান্না আর কোথায় পাবেন! রূপচাঁদা মাছ ভাঁজি চমৎকার কিন্তু ইচ্ছা করেই একটু ভুনা করলাম, হালকা ভেঁজে নিয়েই!
উপকরন ও পরিমানঃ
– রূপচাঁদাঃ ৪ টা, ছোট
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারি দুইটা/ তিনটা
– আদা বাটাঃ হাফ চামচ
– রসুন বাটাঃ এক চা চামচ
– মরিচ গুড়াঃ হাফ চামচ
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচের কম
– জিরা গুড়াঃ হাফ চা চামচ
– লবনঃ পরিমান মত, দুই ধাপে
– তেলঃ ৪/৫ টেবিল চামচ (তেল কম দিয়ে রান্নাই ভাল, দুই ধাপে)
– কাঁচা মরিচঃ দুইটা (আমরা লাল কাঁচা মরিচ দিয়েছিলাম)
– পানিঃ পরিমান মত
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
ছবি ১, রূপচাঁদা মাছের সৌন্দর্য চরম।
ছবি ২, কেটে কুটে পরিস্কার করে সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে মেখে নিন।
ছবি ৩, সামান্য তেলে মাছ গুলো ভেঁজে নিন (বেশী নয়)
ছবি ৪, এক পিঠ হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টে দিন।
ছবি ৫, মাছ গুলো তুলে রাখুন।
ছবি ৬, একই কড়াইতে আদা ও রসুন ভেঁজে নিন।
ছবি ৭, পেঁয়াজ কুঁচি দিন। সামান্য লবন দিতে ভুলবেন না।
ছবি ৮, কাঁচা মরিচ দিন, ভাঁজুন।
ছবি ৯, পেঁয়াজ হলদে হয়ে এলে হাফ কাপ পানি দিন।
ছবি ১০, মরিচ, হলুদ ও জিরা গুড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন।
ছবি ১১, আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে। তেল উঠে যাবে।
ছবি ১২, এবার ভেঁজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিন।
ছবি ১৩, আগুন কমিয়ে রাখুন, কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিন।
ছবি ১৪, মাঝে একবার মাছ গুলো উল্টে দিন, সাবধানে এবং কয়েক মিনিট রাখুন।
ছবি ১৫, ফাইন্যাল লবন দেখুন। সামান্য একটু ঝোল রাখুন, ভাল লাগবে। ঝোল না চাইলে আগুন বাড়িয়ে দিতে পারেন, ঝোল শুকিয়ে যাবে, আপনার ইচ্ছা।
ছবি ১৬, গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
ছবি ১৭, দারুন।
আশা করছি যারা মাছ রান্না নিয়ে ভাবছেন, তাদের এই পোষ্ট কাজে লাগবে। নুতন আগ্রহীদের বলি, সামান্য সাহস নিয়ে কাজে লেগে পড়ুন, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন, বিশ্ব সেরা শেফ, অনেকের ভালবাসার পাত্র। রান্না মানেই ভালবাসা, অফুরন্ত সুযোগ এবং আনন্দ।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আসছি, আরো আরো রেসিপি নিয়ে।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
কি কো – ইন্সিডেন্স! ২-৩ দিন আগেও আপনার সাইটে রূপচাঁদার রেসিপি খুজছিলাম। আজ পেয়ে গেলাম 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ জামি ভাই।
অনেকদিন পরে কিনলাম, চোখে পড়ছিলো না। যাই হোক, ভাঁজি দেখতে চাইলে, এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। সাইজ ভাল ছিল। খুব সাধারন ভাঁজি কিন্তু মজাদার ছিলো।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Reblogged this on suhridkhan.
LikeLiked by 1 person