শোল মাছ, দেখলেই আনন্দে মন ভরে উঠে। আর রান্নার পর ঝোল, আহ! দুনিয়ার প্রতিটা মাছে আছে আলাদা ঘ্রান, আছে আলাদা স্বাদ। শোল মাছের স্বাদ, বলে বুঝানো যাবে না, আপনাকে খেয়েই দেখেতে হবে! তবে আমি মনে করি এই দুনিয়াতে এখনো এমন কোন বাঙ্গালী নেই যে যিনি শোল মাছ খেয়ে দেখেন নাই! বাঙ্গালী মাত্রই মাছের বিশাল ভক্ত এমনিতেই!
শোল মাছ কেটে কুটে পরিস্কার করা তেমন কঠিন কাজ নয়। ধারালো ছুরি বা বটি দিয়ে আপনি অনায়েসে কাজটা করে নিতে পারেন। তবে ৩য় দফার ধোয়াটা সামান্য লবন দিয়ে ধুয়ে নিলে মাছ অনেক চকচকে দেখাবে!
যাই হোক, বার বার এও বলে আসছি, রান্না হচ্ছে ভালবাসা। আপনি যত্ন নিয়ে রান্না করলে স্বাদ হতে বাধ্য। ভালবাসা না থাকলে রান্না ভাল হবেই না, এটা চরম সত্য কথা। সময় এবং রান্নার পাশে না থাকলে রান্নায় স্বাদ হবার চান্স থাকে না। যারা আপনারা রান্না করেন, আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। রান্না করুন ভালবেসে কিংবা অন্তত মনে করুন, আপনার রান্নাটা খাবে আপনারই প্রিয়জন! বৃদ্ধ বা শিশুদের জন্য রান্না করার আরো খেয়াল রাখতে হবে, মশলা বা ঝাল দিয়ে সাবধানে! রান্নায় নিজের মত করে করবেন বটে তবে ভাবতে হবে অন্যদের কথা, এটাই ভালবাসা!
চলুন মজাদার এই রান্না দেখে ফেলি।
পরিমান ও উপকরনঃ
– ৫০০ গ্রাম শোল মাছ (অনুমানিক)
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারি তিনটা
– আদা বাটাঃ ১ চা চামচ
– রসুন বাটাঃ দেড় চা চামচ
– লাল মরিচ গুড়াঃ হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে কম বেশী)
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচ
– কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা
– লবনঃ পরিমান মত, দুই ধাপে
– তেলঃ হাফ কাপের কম (কম তেলেই রান্না উট্টম)
– ধনিয়া পাতার কুঁচিঃ কয়েক চিমটি
– পানিঃ পরিমান মত, ঝোল কেমন রাখবেন তার উপর নির্ভর করবে
- টমেটো, কয়েক টুকরা বা মাঝারি একটা, অফশন্যাল, না থাকলে নাই।
- জিরা গুড়া, অফশন্যাল, থাকলে হাফ চা চামচ দিতে পারেন না থাকলে নাই।
প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
ছবি ১, পাত্রে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভেঁজে নিন এবং পেঁয়াজ নরম হলে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিন এবং ভাঁজুনদিতে থাকুন।
ছবি ২, আগুন মাধ্যম আঁচে রাখুন, হাফ কাপ পানি দিয়ে নাড়ুন এবং এর পর মরিচ ও হলুদ গুড়া দিন। (এই সময়ে জিরা গুড়াও দিয়ে দিতে পারেন)
ছবি ৩, ভাল করে মিশিয়ে নিন, কাঁচা মরিচ দিন।
ছবি ৪, কয়েক টুকরা টমেটো দিতে পারেন, এতে স্বাদ বাড়বে।
ছবি ৬, টমেটো গলে গেলে তেল উঠে যাবে। এবার মাছ দিয়ে দিন।
ছবি ৭, মিশিয়ে নিন, আগুন মাধ্যম আঁচে থাকুক। কিছু স্ময়ের জন্য ঢাকনা দিন।
ছবি ৮, আগুন চলুক। ঝোল বুঝে কিছু পানি দিন, গরম হলে ভাল। মাছ নাড়াতে সাবধানে, যেন ভেংগে না যায়!
ছবি ৯, ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। ব্যস, ধনিয়া পাতার কুঁচি দিয়ে নাড়িয়ে নামিয়ে নিন।
ছবি ১০, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ছবি ১১, গরম ভাতের সাথে আর কি চাই। ঝোলেই দুই প্লেট ভাত সাবাড় করে দেয়া যাবে!
সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আরো আরো নুতন নুতন রেসিপি নিয়ে আসছি, আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
জনাব উদরাজি,
আপনার লেখা & রান্নার একজন কঠিন ভক্ত আমি. আপনার ব্লগ টা আমার favorite এ রাখা আছে & আপনি আপনার mrs & বাচ্চা পার্টি কে এত সুন্দুর করে উল্লেখ করেন মাঝে মাঝে সত্যি এনজয় করার মত. আমি কিন্তু খুব ভালো রান্না করি ( নিজের ঢোল নিজে ই পিটাচ্ছি) সবাই বলে ও. কিন্তু আপনার রান্নার স্টাইল & ছবি সহ explain একদম সহজ রান্নার জন্য. আমার husband খুব ভালো রান্না করেন তবে western ফুড & বিরিয়ানি টাইপ. তার দেশী রান্নার প্রচেষ্টা তে আমি আপনার ব্লগ ধরিয়ে দিয়েছি & বলেছি আমকে গুরু না বানিয়ে উদরাজি সাহেব কে গুরু বানিয়ে ফেল. দিলাম আপনাকে ধরিয়ে আমি এখন জালাতন মুক্ত ipad & আপনি জালাতন এ থাকেন. তবে শুধু ও কে না নুতুন রাধুনি সবাই কে ধরিয়ে দিচ্ছি. সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন & নুতুন রান্নার অপেক্ষাতে থাকব. Bon appetit .
LikeLiked by 1 person