গ্যালারি

রেসিপিঃ খাসির কোরমা (বিয়ে বাড়ি স্টাইল)


বিয়ে বাড়িতে খাসির গোস্তের একটা রান্না হয়ে থাকে। না রেজালা বলা যায়, না না বলা যায় কোরমা! তবে উপকরনে রঙ্গে কোরমার কাছাকাছি বলে আমার মনে হয়। কয়েকদিন আগে একজন বিয়ে বাড়ীর বাবুর্চীর সাথে কথা হল, তিনি আমাকে উপকরন গুলো জানিয়ে দিয়েছিলেন এবং বলেন এটা সাধারণত বয়স্ক এবং শিশুদের কথা মাথায় রেখেই রান্না করা হয়ে থাকে। তবে তিনি জানালেন দুইভাবেই রান্না হতে পারে। প্রথমে সব কিছু মিশিয়ে ম্যারিনেটেড করে বা আগে তেলে ঝোল বানিয়ে পরে গোসত দিয় রান্না হতে পারে। কম পরিমান বা কম মানুষের জন্য রান্না রান্না হলে ম্যারিনেটেড করে কম সময়ে রান্না করা যেতে পারে।

যাই হোক, আমরা গতরাতে এই রান্না করেছিলাম, বেশ মজাদার। পোলাউ বা রুটির সাথে বেশ আনন্দদায়ক হতে পারে।

পরিমান ও উপকরনঃ
– খাসির গোসতঃ এক কেজি কম বেশী, হাড্ডি থাকলে থাক, বড়/ছোট পিস (খানেওয়ালা আমি ও আমার বড় পুত্র)
– লবঙ্গঃ ৪/৫ টা বাটা
– দারুচিনিঃ ৩/৪ টা (এক ইঞ্চি)
– জয়ত্রীঃ সামান্য/ এক চিমটি
– জয়ফলঃ সামান্য/ এক চিমটি
– গোল মরিচঃ হাফ চামচের কম
– বাদাম বাটাঃ এক টেবিল চামচ
– টক দইঃ এক কাপ
– রসুন বাটাঃ ২ টেবিল চামচ
– আদা বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ
– জিরাঃ এক চা চামচ (বাটা জিরাই উত্তম, প্যাকেটের জিরা গুড়া তেমন ভাল হয় না)
– কেওড়া জলঃ হাফ টেবিল চামচ
– কিসমিসঃ ৬/৭ টা
– কাচা মরিচঃ ঝাল বুঝে কয়েকটা (৮/১০টা) (ঝাল বাড়াতে হাফ চা চামচ গোল মরিচ গুড়া দিতে পারেন এবং কাচা মরিচ তখন কম দিলেও চলবে)
– লবনঃ পরিমান মত (প্রথমে কম দিয়েই শুরু করা উচিত)
– তেলঃ হাফ কাপ (কম তেলেই রান্না হউক, আপনি চাইলে একটু তেল বেশী দিতে পারেন, এতে আর স্বাদের রিক্স থাকে না!)
– পানিঃ পরিমান মত (যদি লাগে)

– পেঁয়াজ বেরেস্তাঃ হাফ কাপ, রেরেস্তা আগেই করে নেয়া উচিত, বেরেস্তা কি করে করা হয় তা এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন, রেসিপিঃ বেরেস্তা (সকল স্বাদের কাজী)

প্রনালীঃ
গোস্ত প্রিপারেশনঃ

গোসত ভাল করে ধুয়ে একে একে সব মশ্লা পাতি দিয়ে যেতে থাকুন।


লবন সহ সব কিছু দিয়ে দিন। (তেল, বেরেস্তা বাদে)


ভাল করে মেখে নিন।


এবার ফ্রীজের নরমাল  চ্যাম্বারে ঘন্টা খানেকের জন্য রেখে দিন।

বেরেস্তাঃ

যে পাত্রে রান্না করবেন সেই পাত্রে তেল গরম করে সামান্য লবন দিয়ে বেরেস্তা বানিয়ে তুলে রাখুন।


বেরেস্তা রান্নার শেষের দিকে ব্যবহার হবে। (ছবিটা আগের একটা পোষ্ট থেকে নেয়া, রান্নার সময়ে ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম)

মুল রান্নাঃ

রেরেস্তা তুলে নিয়ে সেই তেলেই ম্যারিনেটেড করে রাখা গোসত দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।


পাতিল ধুয়ে সামান্য পানিও দিয়ে দিন।


এবার ঢাকনা দিন, মিনিট ১৫/২০ মাধ্যম আঁচে রান্না করুন।


চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিন।


গোসত সিদ্ধ হয়ে গেল কিনা দেখে নিন।


এবার বেরেস্তা গুড়া করে দিয়ে দিন।


ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন। ্লবন লাগলে দিন, ঝাল কম মনে হলে আরো কয়েকটা কাচা মরি দিতে পারেন, আপনার ইচ্ছা।


হাড়ি সহ টেবিলে নিয়ে যেতে পারেন! লোকবল কম থাকলে বা নিজে একাই খানেওয়ালা হলে যা করেন, কার কি আসে যায়! হা হা হা!


মেহমান থাকলে, এইভাবে সাজিয়ে নিন!


আরো সাজাতে কয়েকটা কাচা মরিচ দিয়ে দিতে পারেন।

সবাইকে শুভেচ্ছা। রান্নার অপর নাম ভালবাসা, রান্না করে প্রিয়জনদের মুখে তুলে দিন, দেখুন উনারা আপনাকে কেমন ভালবাসা ফিরিয়ে দেন!

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

11 responses to “রেসিপিঃ খাসির কোরমা (বিয়ে বাড়ি স্টাইল)

  1. আঙ্কেল কি মিষ্টি কিছু করেন নাই??? কোরমা রান্নার জন্য একটা মাস্ট জিনিস হল টকমিষ্টি দই বা চিনি!!!! দেখতে দারুণ হইছে!!!!
    শুভেচ্ছা

    Liked by 1 person

  2. বেরেস্তাটা বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। রান্নাটাও ভালোই করেছেন। ছবি দেখে তাই মনে হচ্ছে। লিঙ্কটা দেখুন:
    http://www.bd-pratidin.com/life…/2014/10/25/39177

    Liked by 1 person

  3. হুম, দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা হবে।

    Like

  4. এটা কাজে লাগবে।

    Liked by 1 person

  5. সুনেছি কোরমায় দুধ দিতে হয়, উক্ত রেসিপিতে তো কোন দুধের উপকরন দেখলাম না ভাইয়া।

    Like

  6. Udraji vai salam niben, asa kori valo asen, 2015 theke apnar ranna dekhi, ajo sei valobashata temoni ase, vali thakben,

    Like

  7. পুষ্কর ব্যানার্জী

    দারুণ সব রান্না করে দেখি তারপর কথা হবে!

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]