গ্যালারি

রেসিপিঃ কাঁকরোল ভাজি (যারা কাঁকরোল পছন্দ করেন না তাদের জন্যই)


কাঁকরোল, নাম শুনলেই অনেকে কাই কাই করে উঠেন! যারা এই কাঁকরোল খেতে পছন্দ করেন না তাদের জন্যই আমার আজকের এই রেসিপি, যথারীতি নিরামিষ, সহজ ও সাধারন রেসিপি এবং সবার জন্য, ছেলে বুড়ো আবালবৃদ্ধবনিতা! তবে কাঁকরোলের স্বাদ নিতে হলে আপনাকে খাদ্যরসিক হতে হবে।

খাদ্যরসিক শব্দটা ছোট হলেও আসলে এটা ছোট নয়! খাদ্যরসিক তারাই যারা নানাপদের খাবার খেয়ে অভস্থ্য এবং আরো ভাল হয়, যারা দেশ বিদেশের নানা খাবার খেয়েছেন। অনেক প্রকারের খাবারের অভিজ্ঞতা থাকলেই নুতন কোন খাবার খেলে তিনি বুঝতে পারেন, সেই খাবারটা কেমন হয়েছে। খাবার দাবারে অভিজ্ঞতা একটা বিরাট ব্যাপার। যারা খাবার দাবারে একটা নিদিষ্ট গন্ডিতে থাকেন, তারা কখনোই খাদ্যরসিক নন, খাদ্যের ভাল মন্দ স্বাদ তারা কিছুতেই করতে পারবেন না!

যাক, আশা করি যা বলতে চেয়েছি তা বুঝতে পেরেছেন! আপনারা না বুঝলে আর অন্য কে বুঝবে?

(স্ত্রী কিনলে সব ভাল, একদম কচি! স্বামী কচি কিনলেও সব বুইড়্যা! জগত সংসার বড় কঠিন।)

যাক মাইন্ড খাইয়েন না! আমি যত কথা বলি সব ধরার দরকার নাই! গল্প ও রান্না তো! রান্নার সময় গল্প না করলে জমে উঠে না। যাই হোক, আমার এই রান্নাটা একটা চ্যালেঞ্জ বটেই! যারা কাঁকরোল খেতে চান না, তাদের জন্যই। শুধু একদিন এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখুন, আশা করি কাঁকরোলের বিরাট ভক্ত বলে যাবেন! নিশ্চিত। নুতন যারা রান্না করছেন তাদের কাছেও অনুরোধ থাকবে এই রান্নাটা করে দেখুন, ভাল লাগবে।

পরিমান ও উপকরনঃ
– হাফ কেজি কাঁকরোল বা কম (স্লাইস করে কাটা)
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে, দুই চিমটি (না দিলেও চলে)
– হাফ চা চামচ লবন
– কয়েকটা পেঁয়াজ কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– ৪/৫ টেবিল চামচ তেল বা বেশী

(আপনি চাইলে সামান্য চিনি ব্যবহার করতে পারেন, স্বাদ আরো বাড়বে, তবে আমি এই রান্নায় চিনি ব্যবহার করি নাই, তাতেও স্বাদ মাশাআল্লাহ হয়েছে।)

প্রস্তুত প্রনালীঃ
কাঁকরোল প্রিপারেশনঃ

ছবি ১, এভাবে স্লাইস করে কেটে নিন।


ছবি ২, হলুদ, মরিচ এবং লবন দিয়ে দিন


ছবি ৩, ভাল করে মেখে রেখে দিন।

পেঁয়াজ মরিচ প্রিপারেশনঃ

ছবি ৪, পেঁয়াজ মরিচ কাটুন


ছবি ৫, সামান্য লবন যোগে মেখে/মলে রাখুন।

মুল রান্নাঃ

ছবি ৬, ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে কাঁকরোল গুলো দিয়ে দিন।


ছবি ৭, ভাঁজুন। আগুন সব সময়েই মাধ্যম আঁচে, সময় লাগবে একটু।


ছবি ৮, ঢাকনা দিয়ে রাখুন। মিনিট ১০/১৫ লাগবে। তবে মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।


ছবি ৯, কাঁকরোল নরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ মরিচ কুঁচি দিন।


ছবি ১০, ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং আবার ঢাকনা দিন।


ছবি ১১, এই রকম হয়ে যাবে।


ছবি ১২, শেষের দিকে ঢাকনা তুলে দিন এবং আপনি কেমন ভাঁজা চান সেই মত রাখুন।


ছবি ১৩, ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে সামান্য চিটিয়ে দিন, না লাগলে ওকে! ব্যস, হয়ে গেল। চাইলে আপনি আরো পোড়া পোড়া করতে পারেন।


ছবি ১৪, অসাধারণ। এত সহজে এত চমৎকার রান্না!


ছবি ১৫, স্ত্রীরা যদি রান্নায় প্রশংসা করে তবে বুঝতে হবে রান্না ভাল হয়েছেই! এই কাঁকরোল খেয়ে আমার ব্যাটারী যার পর নাই খুশি হয়েছেন! প্রথম প্লেট এই কাঁকরোলেই খেয়েছেন!

সবাইকে শুভেচ্ছা। প্লিজ একবার দেখুন না করে! হয়ত কাঁকরোলই হতে পারে আপনার ভালবাসার তরকারী।

16 responses to “রেসিপিঃ কাঁকরোল ভাজি (যারা কাঁকরোল পছন্দ করেন না তাদের জন্যই)

  1. সুলতানা জামান

    ভাইয়া, আমাদের বাসায় কাক্রোল কদাচিৎ কেনা হয় কিন্তু রান্নাই বেশী হয়ে থাকে। যতদুর মনে পড়ে কুচি করে আলু দিয়েও ভাঁজা হয়েছিল কয়েকবার। আপনারেই রেসিপিটা নোট করে নিলাম। আশা করি একদিন বানিয়ে ফেলবো।

    Liked by 1 person

  2. Salam viya ei ranna dekhe to kanna pachhe kakrol pabo koi? Ami r rante voi pina protidin apnar app e recipe dekhi jottuk free time pi. Ejonne apnake onek onek dua sathe Vabi r bachhader o

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আপনি এখন রান্না করেন বা সাহস হয়ে গেছে এটাই আমাদের পাওয়া এবং সাফল্য। আমরা বার বার বলি যে, রান্না হচ্ছে একটা অভিজ্ঞতা মুলক ব্যাপার, আপনি যত বেশি রান্না করবেন ততই ভাল থেকে ভাল হবে।

      আপনার জন্যও আমাদের দোয়া থাকল।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  3. এখানে কাকরোল খুব কমই পাওয়া যায়. আজকে দেখতেই কিনে এনে আপনার রেসিপি অনুযাই তৈরি করে ফেললাম. খুব মজা করে খেলাম. এক chinese বন্ধুর সাথে share-ও করেছি, সে ও বেশ পছন্দ করে খেল.

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আমি আসলে রান্না স্বাদ না হলে তা রেসিপি আকারে প্রকাশ করি না। হা হা হা, এমন অনেক রান্না আছে স্বাদ হয় নাই, খেয়েছি বটে তবে তা আপনাদের জন্য প্রকাশ করি নাই!

      আমি চাই সহজ রান্না এবং বাংলাদেশী স্বাদ!

      শুভেচ্ছা। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।

      Like

  4. আপনার রেচিপি টা অঅঅনেক ভালো হইছে100% ভালো ম ম ম.

    Like

  5. তানিয়া আক্তার বৃষ্টি.

    100% ভালো ম ম ম.

    Like

  6. apni nari na purshu ami janenA acha apni kowke mon theke valobashen ami akjon k vison valobashi tar nam jewel ami ok amar nejar thakeo beshi valobashi i love jewel i love u jewel.i moss you10000000000000000000valo theko tumi.

    Like

  7. জুয়েল হইতো তোর সাথে আমার আর কনোদিন দেখা হবেনা তারপরও তোকে আমি অনেক ভালবাসি but কতোদিন পারবো তা যানিনা হইতো বা আমার লাইফে আরো কেউ এসেছে বা আসছে আরো অনেক কথা বলার ছিলো কিন্তু পারলামনা ফোনে চাজ নাই তাই বাই ভালো থেকো আল্লা হাফেজ
    (S)+(DRTE)
    (SOHAG)+(SHABNAZ)

    Like

  8. জুয়েল আমি তোর জনে পাগল হয়ে যাচ্ছি আর পারছিনা তকে ছাড়া থাকতে , আর কতো দিন আমাই ছাড়া তুই দুরে থাকবি,তকে দেখতে খুব ইচছা করে,আমি যে তোকে ছাড়া অসমপুনো ,তুই বুঝিশ না..i miss you m.j

    Like

  9. i miss u i miss you
    i miss u i miss you
    i love u i love you.
    meri jaan

    Like

  10. Ajke apnar recipe onujayi ranna korechi….khete darun hoyeche…amar husband o khub tripti shohokare kheyeche….asole nijer poribar ke ai choto choto khushi deyar anondo ta nijer kase onek boro….
    Dhonnobad bhaiya ato shohoje ato mojar mojar recipe share korar jonno….inshallah ‘ranna o golpo’ er sathei thakbo…. 🙂

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ বোন।
      আমি বা বার বলে আসছি, রান্না হচ্ছে ভালবাসা। আপনি যাকে খুব ভালবাসেন তাকে খাওয়াতে চাইবেন এবং তা যদি নিজের হাতের হয় তবে তো কোন কথাই থাকে না। আপনাদের জন্য দোয়া থাকলো। সহজ রান্না গুলো দিয়ে আমি আসলে নুতন যারা রান্না করতে চান তাদেরই কাছে টান্তে চাই, যাতে রান্নার প্রতি একটা ভালবাসা জন্মে।
      শুভেচ্ছা।

      Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]