এবারের থাইল্যান্ড ভ্রমন নিয়ে অনেক কিছু লিখার থাকলেও সময়াভাবে সেভাবে এগুতে পারছি না। ছবি নিয়ে ব্লগ লিখতে যে সময় লাগে সেই সময় যোগাড় করা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবুও লেখা গুলো শেষ করে ফেলতে হবেই। আর দেরী হয়ে গেলে লেখা এবং ছবির আমেজ থাকবে না!
যাই হোক যা বলছিলাম, বিদেশ গেলে দিন কয়েক হয়ত ভিনদেশী খাবার খাওয়া যায় তার পর আর ভাল লাগে না। আমরা তাই যেখানে যাই দেশি ভাতের হোটেল খুঁজে মরি! থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনেক বাঙ্গালী রেষ্টুরেন্ট হয়ে গেছে এখন (খাবার হোটেল ব্যবসায় বাঙ্গালাদেশের বাঙ্গালীরা একদিন বিশ্বজয় করবেই)। সুকুম্ভিতের নানান সয়াইয়ে অনেক রেষ্টুরেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়, যদিও এই রেষ্টুরেন্ট গুলোতে শুধু বাংলা খাবার নয় নানান দেশের খাবারো পাওয়া যায়। সয়াই থ্রীতে এমনি একটা রেষ্টুরেন্টের নাম নাতাশা রেস্টুরেন্ট, বাংলাদেশী মালিক, বেশ পরিছন্ন ও ছিমছাম। এই রেস্টুরেন্ট ব্রামুনগ্রাদ হাসপিটালের সাথে বলে বেশি চলে, হসপিটালে আশা রোগীর সাথের ভিজিটররা এই সব রেষ্টুরেন্টেই খাবার খেয়ে থাকে। তা ছাড়া দেখলাম অনেক বিদেশী (মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরাও) খাচ্ছেন।
প্রতিটা রেষ্টুরেন্টের সামনে প্রাইস চার্ট লাগিয়ে রাখার ব্যবস্থা বেশ সুন্দর। রেষ্টুরেন্টে প্রবেশের আগেই দাঁড়িয়ে দেখে নেয়া যায়। পকেটের অবস্থার সাথে খাবারের দামের মিল আছে কি না তা বুঝা যায়। তাজা তেলাপিয়া এবং কোরাল ব্যবস্থাও বাহির থেকেই দেখা যায়!
এভাবে বসলেই ওয়েটার এসে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে কিংবা মেনু দিয়ে যাবে। লেবানিজ ওয়েটারের মুখে ‘কাছকি মাছ’, ‘আলু ভর্তা’, ‘পাতলা ডাল’ সুনলে কার না ভাল লাগবে। (এই রেস্টুরেন্টে এবারে আমরা দুই বেলা খেয়েছিলাম, সেই সব ছবি নিয়ে এই সব খাবারের ছবি।)
থাইল্যান্ডে প্রায় রেস্টুরেন্টে এই রকম কাঠের চেয়ার ব্যবহার হয়, যা্তে বসতে অতান্ত্য আরামদায়ক এবং এই চেয়ার গুলো মুভ (চার দিকে ঘুরে) করে বলে বসে আরো আনন্দ পাওয়া যায়। আমি ছোট বেলায় আমাদের দেশেও এই ধরনের চেয়ার দেখেছি, কিন্ত এখন আর এই রকম চেয়ার দেখা যায় না, আমরা সব কিছুতে সর্টকার্ট করতে করতে এখন প্লাস্টিকের আর_এল মার্কা শক্ত নোংরা চেয়ারে চলে আসছি, এই সব চেয়ারে বসলে কাপড় শেষ, কোমর শেষ!
নাতাশা রেস্টুরেন্টের সাদা ভাত এভাবে পরিবেশন করা হয়।
সালাতে বাঙ্গালীয়ানা কিপটামি লক্ষনীয়!
আচার ফ্রী!
মাছের ভর্তা, জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, এই ভর্তা কোরাল মাছ দিয়ে বানানো হয়।
দেশি পাবদা মাছ।
দেশী নদীর রুই মাছ। বিশাল বড় টুকরা, একজনের পক্ষে খেয়ে শেষ করা প্রায় সম্ভব।
পাতলা ডাল। দেখতে ভাল না লাগলেও খেতে ভাল লেগেছে।
শুরু হয়ে যাক! (সব খাবারের দাম কিন্তু মাশাআল্লাহ!)
প্রায় রেস্টুরেন্টের সামনে আপনি কিছুক্ষন বসতে পারেন। আমরাও বসে ছিলাম, ওই যে দূরে আর একটা বাঙ্গালী রেষ্টুরেন্ট দেখা যায়, রাজধানী রেষ্টুরেন্ট! এই রেস্টুরেন্টে আমরা আগেও খেয়েছিলাম। এবারেও খাবার ইচ্ছা আছে।
অবশেষে পথেই!
এই তো জীবন, শুধু হেঁটে বেড়ানোই! সামনে আরো আসছে। চোখ রাখুন, আমাদের সাথেই থাকুন।
pore valo laglo….khub valo
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
দারুন তোহ!!!
বিদেশে বাংলাদেশী খাবারের কথা শুনলেই ভালো লাগে!!!
আঙ্কেল, ওই রুই মাছের পিস টা ( আরেকজন আঙ্কেল খাচ্ছেন যে ছবিতে তাতে ভাল বোঝা যাচ্ছে) দেখে আমার মাথা চক্কর দিল, ওই মাছটার ওজন কমপক্ষে ২০-২৫ কেজি হবে!!! পাবদা মাছের সাইজ ও মাশাল্লাহ!! 😀
(আঙ্কেল,আপনার এন্ড্রয়েড app দিয়ে কমেন্ট করা যায় না বলে বড়ই মনোকষ্টে আছি 😦 )
শুভেচ্ছা
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আংকেল।
আসলে আমাদের দেশের বড় বড় মাছ গুলো বিদেশে চলে যায়। হ্যাঁ, এই টুকরা খেতে আমার কষ্ট হয়েছিল।
পাবদা সহ অনেক মাছ বাংলাদেশে না পাওয়া গেলেও বিদেশে পাওয়া যায়। কারন এগুলো আমাদের দেশ থেকে বিদেশ রাপ্তানী হয়ে যায়। আমি ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের মাছ দেখে অবাক হয়েছিলাম।
এন্ড্রয়েড app টার আরো ডেভালপ করতে হবে। আমার ডেভালপার চেষ্টা করছেন। দেখা যায়, আবার কোন আপডেট দেয়া যায় কি না।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভালো কথা আঙ্কেল, এঁচোড় এর কথা মনে আছে???? এঁচোড় এর সিজন চলে এসেছে!! এইবার এঁচোড়ের কাবাবের রেসিপি দেখার আশায় রইলাম ,যেমনটা এক আন্টি বলেছিলেন, এঁচোড় আর বুটের ডালের কম্বিনেশন !!
আবার শুভেচ্ছা
LikeLike
ধন্যবাদ আংকেল।
কাঁচা কাঁঠাল কাটার কথা মনে হলে চোখে পানি আসে! হা হা হা।
আমরা কিছুটা সময়হীন হয়ে পড়ছি। কিছু রান্না আছে যা আমার একার পক্ষে করাটা কঠিন এদিকে আপনার চাচী ছোট ছেলে নিয়ে সারাক্ষন ব্যস্ত থাকেন বলে আমি আমাকে হেল্প করার কথাও বলতে সাহস পাই না।
তবুও দেখা যাক।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ থাইল্যান্ডঃ ডোনারকিং রেস্টুরেন্ট, পাতাইয়া | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)