টমেটো, মটর, ছোট চিংড়ি মাখামাখি। এই ধরনের রান্না আমাদের পরিবার গুলোতে প্রায়ই রান্না হয়ে থেকে। বিশেষ করে ছোট পরিবার গুলোতে এই ধরনের রান্না চলেই। ছোট পরিবার গুলোতে কয়েক পদের রান্না হয়ে থাকে, তাতে এমন সহজ, সুন্দর ও মজাদার সুস্বাদু রান্না চলেই। ভর্তার বিকল্প হিসাবে প্রথম গরম প্লেট ভাত খেয়ে উঠতে এই ধরনের রান্নার জুড়ি নেই।
হাতে অনেক রেসিপি জমে আছে, এদিকে সময়ের অভাব। চলুন, খুব সহজ মজাদার এই টমেটো, মটর, ছোট চিংড়ি মাখামাখি রান্নাটা দেখে ফেলি। বিশেষ করে যারা নুতন রান্না শিখছেন, আপনাদের জন্য এটা একটা টেষ্ট হতে যেতে পারে। শুধু ভাল জাতের টমেটো বাছাই করে নিবেন! হা হা হা…
চলুন দেখে ফেলি।
পরিমান ও উপকরনঃ
– মটরশুঁটি ২০০ গ্রাম (আনুমানিক)
– টমেটো ২০০ গ্রাম (আনুমানিক)
– হাফ কাপ ছোট চিংড়ি (খোসা ছাড়ানো)
– পেঁয়াজ কুচি বা ফালি মাঝারি তিন/চারটে
– রসুন বাটা, দেড় টেবিল চামচ
– মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে হাফ চা চামচ (ঝাল কম চাইলে কম দেয়াই ভাল)
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– কাচা মরিচ, কয়েকটা
– ধনিয়া পাতার কুঁচি, পরিমান মত
– লবন/তেল/পানি, পরিমান মত
প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি দেখেই বুঝা যাবেন তবুও লিখে দিচ্ছি)
তেল একটু বেশী দিয়ে রান্না করলে স্বাদ বাড়ে তবে আমি কম তেলেই রান্না করি। কয়েক টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে হাফ চামচ লবন যোগে পেঁয়াজ ফালি বা কুচি দিয়ে সামান্য ভেজে রসুন বাটা দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভেজে নিন, পেয়াক নরম হয়ে যাবে।
পেঁয়াজ নরম হলে হাফ কাপ পানি দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে।
এবার হলুদ গুড়া ও মরিচ গুড়া দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। মরিচ গুড়া দিতে সাবধান, ঝাল দেখে ও বুঝে।
এবার তেল উঠে গেলে তাতে ছোট চিংড়ি ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন।
এই অবস্থায় এসে যাবে। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না। সামান্য ভুলে পানি শুকিয়ে পাতিলের তলা লেগে যাবে! হা হা হা
এবার টমেটো ফালি এবং মটরশুঁটি দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন।
চাইলে সামান্য হাফ কাপ পানি দিয়ে পারেন। এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১৫ মাধ্যম আঁচে রাখুন। মাঝে দুই একবার কাঠের খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিতে পারেন।
ঠিক এই অবস্থায় এসে যাবে।
ঝোল না মাখা মাখা করে ফেলুন। টমেটো গুলো মিশে যেতে দিন এবং ফাইন্যাল লবন দেখে নিন। লাগলে দিন।
এবার ধনিয়া পাতার কুচি দিন। মিশিয়েই নামিয়ে ফেলুন।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। টমেটো, মটর, ছোট চিংড়ি মাখামাখি! স্বাদ, কি আর বলবো? জাষ্ট, এত টুকুই বলবো, আপনি আজ অন্য দিনের তুলনায় এক প্লেট ভাত বেশী খাবেন!
রেসিপি প্রিয় পাঠক/পাঠিকা ভাই বোন বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সবাই ভাল থাকুন।
ঊদর,
চিংড়ি এত্ত বেশিক্ষণ জ্বালে রাখলে খুব শক্ত হয়ে যায় না?
আমি সমস্ত তরকারি তোমার পদ্ধতিতে রেঁধে শুধু চিংড়ি গুলো নামানোর মিনিট তিনেক আগে কাড়াইতে দেয়ার পক্ষপাতি। এতে চিংড়ির স্পঞ্জি টেইস্টটা থাকে এবং খুব শক্তু হয়ে যায় না চিংড়িগুলো।
LikeLike
আমিও তাই ভাবতাম যে চিংড়ি বেশীক্ষণ রাঁধলে শক্ত হয়ে যায়, তবে ইদানিং দেখছি সেরকম হয় না। আর চিংড়ি দিয়ে বিশেষত কারি টাইপের কিছু করতে গেলে চিংড়ি আগে দিয়ে একটু কষালে বা জ্বাল দিলে চমৎকার সুগন্ধ হয়, যেটা আপনি নামানোর ৩ মিনিট আগে চিংড়ি দিয়ে পাবেননা।
তবে হ্যাঁ, চিংড়ি সিদ্ধ হয়ে যায় ৩/৪ মিনিটেই, তাই স্টর ফ্রাই টাইপের ডিশে চিংড়ি ৩/৪ মিনিট রাঁধলেই সবথেকে ভালো, এটায় আপনার সাথে একমত।
LikeLike
ধন্যবাদ রনি ভাই।
চিংড়ি নয় যে কোন মাছ দিয়ে তরকারী রান্না করতে হলে একটু বেশি সময় নিয়ে আমি কষাই কারন মাছ খাওয়া নয় ঝোল স্বাদ করাই উদ্দেশ্য হয়।
ত্রিশেঙ্কু দা যা বললেন, সেটাও চলে তবে আমি মনে করি সে ক্ষেত্রে চিংড়ি গুলো বড় হওয়া দরকার। চলে সব কিছুই।
ধন্যবাদ। আজকাল নূতন রান্না কি করছেন?
শুভেচ্ছা।
LikeLike
খুব সুন্দর হয়েছে!!!
শুধু মটরশুঁটি দিয়ে চিংড়ি ভুনা খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার, এটা নিশ্চয়ই খেতে দারুন লাগবে।
আর উপরের আঙ্কেল কে বলি, ছবিতে খেয়াল করে দেখুন খোসাসহ চিংড়ি রান্না হয়েছে, তাই খুব বেশি শক্ত হওয়ার ভয় নেই, আর কুচো চিংড়ির ক্ষেত্রে শক্ত বা নরম এর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে বলে জানি না, কারন সবসময় এটা খোসাসহই খাওয়া হয়, আর এই তরকারির ক্ষেত্রে চিংড়ি না, পুরো তরকারির স্বাদ মুখ্য,তাই পরে চিংড়ি দিলে কাঙ্ক্ষিত ফ্লেভার আসবে না।
শুভেচ্ছা ও ভালোলাগা 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ ভাতিজা।
এখানে আমরা খোসা ছড়ানো চিংড়ি দিয়েছি। আর ভাল করে কষিয়ে চিংড়ির রস বের করেছি যাতে করে ঝোলটা স্বাদের হয়। হা হাহা।।
আপনি সঠিক ধরেছেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
We can try.
LikeLike
ধন্যবাদ মিঠু ভাই। রান্না করে দেখুন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike