গ্যালারি

রেসিপিঃ পাবদা মাছের ঝোল


মানুষের জীবনে বয়স একটা বিরাট বিষয়! আপনি না চাইলেও বয়স বেড়েই চলে! এবং এর শেষ পরিনতি তো সবাই জানেন! আমরা চাইলেও পারবো না বা হবেই না! যাই হোক, এদিকে আবার বেঁচে থাকার চেষ্টা তো করেই যেতে হবে! যারা সচেতন তারা হয়ত আগে বুঝে যায়, এতে কিছুটা সুবিধা মিলে! আজকাল বুঝতে পারছি! মন ও শরীর দুটো দুই প্রকারের জিনিষ! এই দুটো যারা একদিকে চালিত করতে পারে তারাই এই দুনিয়ার কিছুটা সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে!

গতকালের ঘটনাই বলি। ঈদের নামাজে যাচ্ছিলাম, বাসার বাউন্ডারী দোয়াল পেরুলেই মসজিদ, মাঝে একশত হাত রাস্তা বা ওয়াক ওয়ে! গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ভাব্লাম এক দৌড়েই চলে যাব! দিলাম দৌড়! ব্যস, যা হবার তাই হল! পঞ্চাশ হাত গিয়েই ধপাশ! আছাড়ে পড়ে আরো প্রায় দশ হাত এগিয়ে গেলাম! পাজামা, পাঞ্জাবী কাদায় মাখামাখি! বাসায় ফিরে সাধারন ব্যবহারের লুঙ্গী এবং পুরানো পাঞ্জাবী পরে আবার রাওয়ানা হলাম! রাতে টের পেলাম কোমরে এবং বাম বাহুতে কিছুটা লেগেছে, হাল্কা ব্যাথা! ব্যাপার না, কাউরে বলা যাবে না!

চলুন, আজ আরো একটা সাধারন রান্না দেখি। মাছ রান্না আমার মতে খুব সহজ কাজ! সময় ও মশ্লাপাতি কম লাগে, এদিকে সাদা ভাতের সাথে বেশ জমিয়ে উঠে! মাছ ধুয়ে পরিস্কার করা এক্টু আলাদা ব্যাপার বটে তবে আজকাল বাজার থেকেও এই কাজ করিয়ে আনা যায়! চলুন দেখে ফেলি, দেশি পাবদা মাছ রান্না।

পাবদা মাছ নরম মাছ ফলে রান্না সময় একটু বেশী খেয়াল রাখা দরকার।

উপকরন ও পরিমানঃ
– মাছঃ ৩০০ গ্রাম কম বেশি
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারি দুইটা
– রসুন বাটাঃ এক চা চামচ বা কম
– গুড়া মরিচঃ হাফ চা চামচের কম (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচের কম
– কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা
– লবনঃ পরিমান মত (দুই চিমটি কম বেশী দিয়ে শুরু লাগলে পরে দেয়া যাবে)
– তেলঃ ৪/৫ টেবিল চামচ
– পানিঃ হাফ কাপ
– ধনিয়া পাতার কুচিঃ ১/২ টেবিল চামচ (ইচ্ছা, না থাকলে নাই)

প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি, লবন ও কাচা মরিচ ফালি দিয়ে ভাঁজুন।


ছবি ২


ছবি ৩


ছবি ৪


ছবি ৫


ছবি ৬


ছবি ৭


ছবি ৮


ছবি ৯


ছবি ১০


ছবি ১১


ছবি ১২


ছবি ১৩, ফাইন্যাল লবন দেখুন। লাগলে দিন।


ছবি ১৪, কয়েকটা কাচা মরিচ ও ধনিয়া পাতার কুচি দিন।


ছবি ১৫, গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


ছবি ১৬, দারুন স্বাদ।

সবাইকে শুভেচ্ছা।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

3 responses to “রেসিপিঃ পাবদা মাছের ঝোল

  1. ভাইয়া মাছের তরকারিটা কালো কালো হলো কেন, পোড়া গেছে মনে হয়

    Liked by 1 person

  2. আপনার রেসিপি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছি, বিভিন্ন সময়। ধন্যবাদ।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]