গ্যালারি

আড্ডাঃ দিল্লী দরবার হোটেল Delhi Darbar, খিলগাঁও


ঢাকা ধীরে ধীরে ধনী ও চ্রম ব্যস্ত শহর হয়ে গড়ে উঠছে! বিদেশ থেকে নানান আইডিয়া ও কপিরাইট নিয়ে এসে সবাই জমজমাট করে তুলছেন! কয়েক বছর আগেও যে যে মহল্লায় যা কল্পনা করা যেত না, সেই সব এখন চোখের সামনে। হ্যাঁ, আমি আমাদের পাশবর্তি এলাকা খিলগাঁও এর কথা বলছি। খিলগাঁওয়ের বড় রাস্তার ধারে এখন নানান দোকান পাটের সমাহার! বিশেষ করে খিলগাঁওয়ের বড় রাস্তা দেখলে এখন আর চেনাই যায় না! শত শত খাবারের দোকান এবং পোষাকের দোকান, ব্যাংক বীমা কি নেই! মানুষ আসলে নিজদের প্রয়োজনেই বা বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই নানান কিছু করে চলছেন! চোখের সামনেই কি এলাকা কি হয়ে পড়ছে তা দেখে আনন্দিত হয়ে পড়ছি!

এই এলাকায় আড্ডা দিয়ে বড় হয়েছি এবং এই খিলগাঁও এলাকাতে অনেক প্রিয় বন্ধু আছেন, সবাই আশা করি আমার সাথে একমত হবেন। এখন বিকেল সন্ধ্যায় এই এলাকায় এলে আলোর ঝলমলানি চোখে পড়বেই! হাজার হাজার মানুষ বিকেল সন্ধ্যা রাতে এই এলাকায় এখন আড্ডা দেন, রাস্তার দুই পাশের দোকানে কিংবা রাস্তার ফুটপাতে! এই এলাকার মানুষ্কে এখন আর দূরে আড্ডা দিতে বা এক্কাপ কফি পানে দূরে যেতে হয় না! প্রায় সন ব্যান্ড শপ বা ফুডের দোকান এখন এই এলাকার মানুষের হাতের নাগালে!

যাই হোক, গত কয়েকদিন আগে এই এলাকায় কেএফসি’র শাখা খুলেছে এবং এর পরেই দেখলাম, দিল্লী দরবার রেষ্টুরেন্ট! দিল্লী দরবার হোটেলের খাবারের নাম আবং পরিবেশনার কথা আগে থেকে জানি। ইন্ডিয়ান ঘারানায় পরিচালিত এই হোটেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক বেলা খাবার মন্দ হয় না! আপনারা তো জানেন, হোটেলের খাবারের স্বাদ নেয়া আমার একটা শখ বটেই! উদ্ভোধনের পরের দিনেই আমরা এই হোটেলে খেতে বা সময় কাটাতে যাই (পোষ্ট দিতে দেরী হল, দুঃখিত), চলুন একটা ভার্চুয়াল ভিজিট হয়ে যাক!


ছবি ১, পছন্দমত জায়গা নিয়ে বসে মেনুতে চোখ রাখতে পারেন।


ছবি ২, এত আইটেমের খাবার সত্যি কি পাওয়া যায়!


ছবি ৩, কাছের ওয়েটার কে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, এখন সব পাওয়া যায় না তবে সাম্নের দিনে ব্যবস্থা করা হবে।


ছবি ৪, ছবিতে দেখুন আক্টোপাসের মেনু! চাইতেই জানালেন, না এখনো ব্যবস্থা করা হয়ে উঠেনি! আমার বড় ছেলে খেতে রাজী ছিল!


ছবি ৫, মেনু ও খাবার নিয়ে গবেষনা! কি খাওয়া যায়! আমি সাধারনত স্ত্রী পুত্র বা মেহ্মান কাউকে নিয়ে হোটেলে গেলে খাবারের পছন্দ তাদের হাতেই ছেড়ে দেই! বলে দেই, ইচ্ছা যা হয় তাই নিন, টাকার চিন্তা মাথা থেকে ফেলে ওর্ডার দিন!


ছবি ৬, চলুন ফাঁকে এই রেষ্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন দেখি! প্রবেশদ্বার!


ছবি ৭, বেশ বড় জায়গা ও খোলামেলা, সারা হোটেলে আমরা ছাড়া আরো দুইজন কাষ্টমার ছিলাম! নুতন বলে হয়ত এখন সেইভাবে জমে উঠে নাই! তবে আমি নিশ্চিত, জমে ঊঠবে! এই এলাকায় এখন অনেক অনেক ধনী মানুষের বসবাস! প্রচুর এপার্ট্মেন্ট!


ছবি ৮, হোটেল ইন্ডার্টিজে এখন ইনভেষ্ট অনেক, ডেকোরেশনে অনেক টাকা ইনভেষ্ট করা হয়ে থাকে! খাদ্য খাবার ভাল হতে হবেই, সাথে ঝলমলে পরিবেশন না হলে মানুষ আস্তে চাইবে না! যারা এই ধরনের হোটেলে খেয়ে থাকেন তাদের অভিজ্ঞতাও প্রচুর! বাংলাদেশের প্রায় পরিবারের একজন না দুই বা ততোধিক সদস্য বিদেশ থাকেন বা ভ্রমন করে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন!


ছবি ৯, রুচির পরিচয় আছে! ক্যাশ কাউন্টার!


ছবি ১০, শিশুদের জন্য ছোট হলেও ব্যবস্থা ভাল লাগলো।


ছবি ১১, এদের পরিবেশনায় গ্লাস, প্লেট সব কিছুতেই একটা আলাদা ভাব আছে এবং এটা হোটেল ব্যবসায় দরকার।


ছবি ১২, তবে ওয়েটারগন নুতন বলে পরিবেশনার ধার কম! (এটা এই ছবির কথা নয়, লিখতে যেয়ে আগেই বলে দিলাম)


ছবি ১৩, মেনু সিলেকশনের পর উনাদের একটা পোজ দিতে বললাম! বুলেট, ব্যালট ও আমার ব্যাটারী!


ছবি ১৪, ব্যাকেট বিরিয়ানী! এটা মুলত দুইজনের জন্য পেট পুরে একবেলায় খাবার হতে পারে!


ছবি ১৫, পোলাউ, চিকেন কারী।


ছবি ১৬, দিল্লী দরবার স্পেশাল ডিস!


ছবি ১৭, কাজুনাট সালাদ।


ছবি ১৮, আমার প্লেট!


ছবি ১৯, ব্যালট আরো কিছু সময় কাটিয়ে ছিল!


ছবি ২০, এজ ইট ইজ, বিল! হ্যাঁ, আমি একটু বেশি খাবারের পক্ষেই ছিলাম, আর কখন আসি বা না আসি! আমি খাবারের পরিবেশনা এবং মান দেখতেই বেশি খাবারের ওয়ার্ডার দিয়েছিলাম, হোটেলের খাবার না খেতে পারলে বাসায় নিয়ে যাওয়া যায়, মন্দ কি!

পরিবারের সবাইকে নিয়ে হোটেল রেষ্টুরেন্টে খেলে আন্তরিকতা বাড়ে, নিজদের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল হয়! তা ছাড়া অভিজ্ঞতার ঝুলি, রকমারি রান্নায় স্বাদ মুখে পাওয়া যায়! কাজে কাজেই, নেমে পড়ুন!

সবাইকে শুভেচ্ছা।

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]