গ্যালারি

রেসিপিঃ চিজ টোষ্ট (উপস্থিত মেহমান সামালানো ও বিকেলের নাস্তায়)


আজকাল অবশ্য বাংলাদেশে এখন আর মেহমান হুটহাট করে আসে না! ভাই ভাইয়ের বাসায় যেতে হলেও আগেই মোবাইল ফোনে কথা বলে আসে! বোনের বাসায় ভাই যেতে হলেও এখন ফোন করে যেতে হয়! ফোন না করে গেলে হয়ত বোনটা বলে দিবে, কি রে আমি একটু পরেই বের হব আর এই সময়ে তুই এলি, আসার আর সময় পেলি না! বোনের বাসায় যেতে বোন আগে থেকেই প্রিপারেশন নেয়! যান্তিকতায় আমরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছি! তবে এটার যেমন ভাল দিক আছে তেমনি আন্তরিকতারও খাদ আছে!

যাই হোক, আমরা সবাই এখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি, হাইটেক হয়ে পড়ছে আমাদের চার পাশ। তবে আশার কথা, খাবার দাবার এখনো ডিজিটাল হয় নাই (ঘরে অবশ্য এখন আর অনেকে দেশের অনেক লোকেরা খাবার তৈরী করে না, সেই হিসাবে কিছুটা ডিজিটাল বটেই)! হয়ত একদিন এমন সময় এসে পড়বে, খাবার দাবারেও সেই ভাব এসে পড়বে। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও মানুষ খাবার খেত বটে তবে এখন আমরা এই ডিজিটাল যুগে যা খাই সেটা নিশ্চয় তখন ছিল না! তখনকার খাবার আর এখনকার খাবারের অনেক তফাৎ হয়েছে, আইটেম বা উপদান যদিও একই তবুও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্যমান, পুষ্টি ইত্যাদি নানান বিচারে অনেক খাবার বাদ বা কমে গেছে আবার কিছু খাবার বেড়ে গেছে! কত কথা মনে আসছে!

যাই বলি না কেন, মানুষ কিছু ম্যনুয়াল থেকেই যাবে! হঠাত কিছু মানুষ মেহমান হয়ে আসতেই পারে! মেহমান আসলে আপনি কি বসে থাকবেন? না, তা কি করে হয়! কিংবা বিকেলের নাস্তায় বা শিশুর টিফিনে আপনি কি কিছু না বানিয়ে বসে থাকতে পারবেন?

চলুন আজ এমনি সামান্য একটা নাস্তা আপনাদের দেখিয়ে দেই, বেশ মজাদার এবং আনন্দদায়ক। খুব কম সময়ে বানিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে, শিশুদের নাস্তায় বা বাইরে টিফিনেও খুব কম সময়ে বানিয়ে দেয়া যেতে পারে।

উপকরণঃ (অনুমান আপনি নিজেও করতে পারেন)
– ছয় পিস ব্রেড (বড়)
– চিজ বা পনির (১৫০ গ্রাম বা কম বেশী)
– দুই/তিনটা ডিম
– দুইটা মাঝারি পেঁয়াজ কুঁচি
– ধনিয়া পাতা কুঁচি (কয়েক চামচ)
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ কুঁচি
– সামান্য লবন যদি লাগে (চিজ বা পনিরে লবন থাকে তাই বুঝে শুনে)
– ভাঁজার জন্য তেল

প্রনালীঃ

চিজ বা পনি কেটে ছোট ছোট পিস করে নিন বা কুঁচি করে নিতে পারেন। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ এবং ধনিয়া কুঁচি নিন।


ভাল করে মেখে নিন।


ডিম ফাটিয়ে দিন।


ভাল করে মিশিয়ে নিন, মিশাতে কাঁটা চামচ ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য লবন দিতে পারেন (তবে বুঝে)। ব্যস হয়ে গেল চিজ মিক্স!


এবার এভাবে ব্রেডের উপর চামচ দিয়ে দিন এবং লেপ্টে লাগান।


এভাবে সারা ব্রেডের এক পাশে লাগিয়ে নিন।


চুলায় তাওয়া (ফ্রাই প্যান)তে তেল গরম করে তাতে ব্রেডের যে পাশে চিজ মিকচার আছে সেই পাশ আগে ভেঁজে নিন। এই কাজটা সাবধানে করুন, প্রয়োজনে চাওড়া খুন্তি ব্যবহার করুন। মানে খুন্তি দিয়ে ধরে তবেই তেলে দিন।


একপাশ হয়ে গেলে অন্য দিক উলটে দিন। (চাইলে দুই পিঠেই চিজ মিক্স দেয়া যেতে পারে)


খুব একটা বেশি সময় রাখবেন না, বেশী আগুনে কম সময়ে তুলে ফেলতে হবে।


তেল সরাতে এক পাশে টেনে রাখতে পারেন। কিংবা পরবর্তিতে তেল শুষে নেয়ার টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন।


এভাবে একে একে বানিয়ে জমিয়ে ফেলুন।


চাইলে পূর্ন অবস্থায় পরিবেশন করতে পারেন অথবা শিশুদের জন্য পরিবেশন করলে, কেটে ভাগ করে নিতে পারেন।


দেখেই মন ভরে যাবে।


টমেটো সস বা অন্য কোন সস দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

স্বাদ দারুন। বিশেষ করে চিজ বা পনির যারা পছন্দ করেন তারা খেয়ে বলতেই হবে ‘ওয়াও’! শিশুরা পছন্দ করবেই। মেহমান পছন্দ করবে না মানে? হা হা হা…।। সাথে আপনার রান্নার তারিফ করতে বাধ্য হবেই। তবে খাবার পর মেহমানদের কম চিনি দিয়ে দুধ চা পরিবেশন করতে ভুলবেন না!

সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আসছি, আরো আরো নুতন নুতন রেসিপি নিয়ে।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

13 responses to “রেসিপিঃ চিজ টোষ্ট (উপস্থিত মেহমান সামালানো ও বিকেলের নাস্তায়)

  1. অসাম!!! বাসায় এটা ট্রাই করতেই হবে!!!
    দেশি পনির দিয়েছেন মনে হয়!!! আরেকটু রসুন দিলেই ওফ!! একদম এলিগ্যান্ট গার্লিক চিজ টোস্ট (পিজ্জা হাটে ৩৫০টাকা দাম :@)

    শুভেচ্ছা

    Like

    • ধন্যবাদ ভাতিজা।
      হ্যাঁ, দেশী ঢাকাই পনির বা চিজ দিয়ে এটা করা হয়েছে। চেইন শপ গুলোতে পাওয়া আরো দামী (!) চিজ দিয়েও বানানো যেত।

      তেলে ভাঁজার বদলে ইলেক্ট্রিক ওভেন দিয়েও করা যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সামান্য বাটার বা ঘি লাগবে।

      ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

      Like

  2. আপনি লিখেছেন “দেখেই মন ভরে যাবে।” সত্যিই মন ভরে গেল। খেতেও নিশ্চয়ই দারুণ মজার হবে।
    শুভেচ্ছা রইলো।

    Like

  3. সাহাদাত ভাই,
    রেসিপিটা আপনি বিকেলের নাস্তার জন্য দিয়েছিলেন,কিন্ত আমি আজ সকালের নাস্তায় রেসেপিটা ট্রাই করলাম,ফাটাফাটি!!!!!!!!!!!,আপনার ভাতিজার আইডিয়া মত অল্প রসুন কুচি দিয়েছিলাম,তাতে স্বাদ হাজার গুনে বেড়েগেছে।
    এটা সুধু বিকেলের নাস্তা আর মেহমানদারি না সকালের নাস্তাতেও অ….স….ম।
    ধন্যবাদ ভাই,সুন্দর একটা রেসেপির জন্য।

    Like

  4. Thank you so much for your recipe! off course i will try it.

    Like

  5. Darun hoyache. Thanks Bhaiya.

    Like

  6. ধুন্যবাদ

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]