গ্যালারি

খাবার দাবারের ছবি ও জীবনের কিছু কথামালা (শুক্রবার, ৪ই ফ্রেবুয়ারী ২০২২ইং)


আমাদের মধ্যবিত্তদের জীবন কেমন? আমরা কি খাই কি পরি, কি করে বেঁচে আছি! করোনার এই সময়ে আমি মনে করি সব চেয়ে বেশি ক্ষতির সমুখিন হয়েছে আমার মত মধ্যবিত্তদের, মধ্যবিত্তরা একধাপ নিচে নেমে গিয়েছে নিশ্চিতভাবে। ধনী বা দরিদ্রদের তেমন সমস্যা হয় নাই বলেই মনে হচ্ছে। যাই হোক, মধ্যবিত্তদের টাকা বাঁচানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে, খাবার দাবারে সংযত হওয়া! আগে ৩/৪ তরকারী দিয়ে ভাত খেলে বা মাসে কয়েকবার রেষ্টুরেন্টে খেলেও এখন সবাই আর এই পথে যাচ্ছে না বা পারা সম্ভব হচ্ছে না!

যাই হোক, আমাদের খাবারেও খরচ কমানোর চিন্তা হচ্ছে, তবে খাবারে এত সংযত থাকাও মুস্কিল হচ্ছে! চলুন গতকাল ছুটির দিনে আমরা কি রান্না করেছি তা আপনাদের দেখিয়ে দেই। এই সব খুব সাধারন রান্না, এই শীতে আমাদের প্রায় বাংলাদেশী পরিবারে এমন রান্না হয়েই থাকে। এমন সময়ে সব্জীর পাশাপাশি মাছের জোগান ভাল পাওয়া যায়।

শোল মাছ টমেটো দিয়ে রান্না।
শিম আলু ঝোলে ঝোলে রান্না, একটা মাছ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল। শিমের আগমন ঘটেছিল আখাউড়া আমার শ্বশুর বাড়ী থেকে!
এমন তরকারী হলে পাতিল টেবিলে তোলা কোন ব্যাপার না!
আমার প্লেট!
শিশুদের খাবার শেষে স্বামী স্ত্রী এভাবেই খেতে বসতে হয়, চলে নানান গল্প কবিতা!
গত সপ্তাহে স্ত্রী বাসায় ছিলেন না, ফলে আমাকে নিজেই রান্না করে খেতে হয়েছে, অবশ্য প্রতিদিন রান্না করি নাই, ৩/৪ দিন রান্না করেছি, একদিন ডিম ভূনা, আর একদিন মুরগী রান্না!
দেশী মুরগী বাজারের রেডিমেড মশ্লা দিয়ে রান্না, তরকারীর রঙ কালো বহার কারন হচ্চে সেই বাজারের মশলা!

আপনাদের সবার জীবন আনন্দে কাটুক, আপনারাও ভাল ভাল খাবার খান, স্ত্রী সন্তান নিয়ে আনন্দে দিন কাটান।

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]