গ্যালারি

রেসিপিঃ কুমড়া রান্না (সাধারন ছবি ব্লগ)


আম্মা গ্রামের বাড়িতে নিজে কিছু কিছু চাষাবাদ করে থাকেন! ঘরে চারিদিকে সীম, কুমড়া, শাক সবজি সিজন্যাল আইটেম! ফলন যা হয় তাতে মন্দ না, তিনি মন চাইলে সেই সব রান্না করেন, আমরা গেলে আমাদেরও দিয়ে থাকেন। আমি বাড়ি থেকে শাক শব্জি নিয়ে আসতে বেশ আনন্দ বোধ করি কারন এই সকলে সামান্য ভেজালের ছোঁয়া নেই! স্বাদেও বাজারের পাওয়া শাক সবজি থেকে ভাল! মোদ্দা কথা, টেনশন বিহীনভাবে রান্না ও খাওয়া যায়! যাই হোক, তিনি সামান্য জায়গাতে যে সকল ফলন পান তা দেখেও আনন্দিত হয়ে থাকি! ঠিক ঘরের পিছনে সাধারন একটা জায়গাতে তিনি মিষ্টি কুমড়ার চারা লাগিয়েছিলেন, সেটায় বেশ কয়েকটা কুমড়া ধরেছে। তা থেকে তিনি এই কুমড়াটা আমার জন্য পাঠিয়েছেন। কয়েকদিন আগে আমরা সেটা সামান্য রুই মাছের পেটির একটা ছোট অংশ দিয়ে রান্না করি, স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে! চলুন দেখে ফেলি! আশা করি ছবি দেখেই বুঝে যাবেন কারন এমন রান্না আগেও অনেক দিয়েছি, ডিটেইলস!

ছবি ১, কুমড়া কাটা তেমন কোন ব্যাপার নয়! হা হা হা…


ছবি ২, যে কোন তরকারী কাটার একটা দিক আছে, আপনি সেটা না মানলে রান্নার পর দেখতে ভাল লাগবে না, গলাগলা হয়ে রান্না মাটি হয়ে যাবে। আমাদের মুরুব্বীরা আগে যেভাবে তরকারী সাইজ মত কাটতেন সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে!

মুল রান্না-

ছবি ৩, তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি দিন।


ছবি ৪, পেঁয়াজ ভেঁজে উঠুক, সামান্য লবন দিতে ভুলবেন না।


ছবি ৫, সামান্য আদা ও রসুন।


ছবি ৬, মরিচ গুড়া ও হলুদ, সাথে কয়েকটা কাঁচা মরিচ। সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন।


ছবি ৭, মাছের পেটের তেলাক্ত অংশটা দিয়েছি, স্বাদ বাড়ানোর জন্য।


ছবি ৮, কুমড়া দিন।


ছবি ৯, মিশিয়ে নিন।


ছবি ১০, ঢাকনা নিন।


ছবি ১১, সামান্য পানি দিন।


ছবি ১২, আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে। ঢাকনা দিন।


ছবি ১৩, বেশি নাড়াবেন না, ভেঙ্গে বা গলে যাবে! গলে গলাগলা হলে দেখতে ভাল দেখাবে না। হাতল ধরে নাড়িয়ে দিতে হবে।


ছবি ১৪, আহ।


ছবি ১৫, ফাইন্যাল লবন দেখুন। আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ এবং ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন।


ছবি ১৬, ঝোল শুকাতে আগুন বাড়িয়ে দিন, আর ঝোল রাখতে চাইলে আগুন বন্ধ করে কয়েক মিনিট ডেকে রাখুন। ব্যস, হয়ে গেল!

পরিবেশনা-

ছবি ১৭, গরম ভাত, রুটি বা পরোটার সাথে চালান দিন, জমে উঠবেই!


ছবি ১৮, রান্না যাদু নয়, ভালবাসা! মায়ের লাগানো গাছের মিষ্টি কুমড়ার রান্না, আহ। 

সবাইকে শুভেচ্ছা। আসছি আরো আরো মজাদার রান্না নিয়ে।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

2 responses to “রেসিপিঃ কুমড়া রান্না (সাধারন ছবি ব্লগ)

  1. আমাদের মত ব্যাচেলরদের জন্য পারফেক্ট!

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]