গ্যালারি

ফ্লিকারঃ অনলাইনে ছবি রাখা অসাধারণ ব্যবস্থা ছিলো!


আমি যখন ছবি তুলে অনলাইনে ছবি দেয়া শুরু করি, তখন একটা সমস্যা ছিল ছবি গুলো কোথায় রাখবো এবং কোথায় রাখলে যুগের পর যুগ সেখান থেকে দেখা যাবে। সেই সময়ে অবশ্য লেখায় ছবি যোগ দেয়া আজকের মত এত সহজ ছিলো না, তবুও তখন বেশ কয়েকটা সাইট ছিল, যেখানে ছবি আপলোড করা যেত, তবে এর মধ্যে ইয়াহুর সাইট ফ্লিকার খুব জনপ্রিয় ছিল এবং এদের দুই ধরনের সার্ভিস ছিলো, একটা সামান্য কিছু ছবি ফ্রিতে রাখা যেত, অন্যটা ছিলো টাকার বিনিময়ে অগ্নিত ছবি রাখার ব্যবস্থা। বাংলাদেশ থেকে কোন কালেই এমন প্রেইড সার্ভিস পাবার সুযোগ না থাকলে এই সাইটে আমি ফ্রিতে কিছু ছবি রাখার ব্যবস্থা করি, এই ছবি গুলোর লঙ্ক আমি আমার লেখাতে ব্যবহার করে লেখার মান বাড়াতাম। পরে গুগলের পিকাসো (পরে এটা গুগল ফটো নামে পরিচিত বা নাম পরিবর্তন করে) এসে নেটে ছবি রাখার বাকী সবাইকে পিছনে ফেলে। যাই হোক, ফ্লিকার মুলত ফটো রাখার একটা চমৎকার ব্যবস্থা ছিল, এবং এটা প্রফেশন্যাল ফটো রাখার একটা চমৎকার স্থান ছিলো। যে কোন ফটোগ্রাফার হয়ত এখনো এই সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন, ফটোর কপিরাইট সহ নানান মাত্রার ছবি পেতে এই সাইটের জনপ্রিয়তা এখনো আছে বলে মনে হয়, তবে সেই ইয়াহুর আমলের মত এমন রমরমা আর নেই, গুগল ফ্রি সব খাইয়ে মানুষকে পুরা মাত্রায় শেষ করে এখন তারাও প্রেইড সার্ভিসে এসে যাচ্ছে! সব ব্যবসা বটেই।

যাই হোক, আজকাল ফ্লিকারে তেমন যাই না, তবে আজ কি মনে করে ফ্লিকারে প্রবেশ করেছিলাম, এখনো সেই পুরানো ছবি গুলো রক্ষিত আছে। আমি যখন ২০০৯ সালের দিকে নানান বাংলা ব্লগে আমাদের দেশীয় খাবারের রেসিপি লিখতে শুরু করি সেই আমলের বেশ কিছু ছবি দেখে অনেক কথাই মনে পড়ছিলো। ছবি গুলো দেখে ভাবছিলাম, রান্না নিয়ে কত কি করেছি। আপনারা জেনে অবাক হবেন, এই সব রান্নার ছবি সেই আমলে অনলাইনে নানান ব্লগে বা ফেইসবুকে দিলে অনেকেই রাগ করত এবং অনেক বাজে মন্তব্য করত! এখন সেই সব লোকদের অনেকেই খাবারের ছবি দেয়, দেখে হাসি এসে যায়, যাই হোক, আমি কত ছবি তুলেছি সেই সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে এযাবৎ হাজার বিশেক ছবি তো হবেই, গুগল সহ নানান সাইটে রাখা অনেক স্থানের নাম এখন মনেও আসে না তবে কোন না কোন লেখায় সেই ছবির লিঙ্ক আছেই। ফ্লিকারের পরে বেশি ছবি রেখেছিলাম ফটোবাকেটে, এরাও ফ্রি থেকে পেইডে চলে এসেছে। পরে আরো কয়েকটা একাউন্ট করে পাওয়া ফ্রী স্পেসেই রেখেছিলাম, এখনো সেই লিঙ্ক গুলোই ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে ওয়ার্ডপ্রেস এখন নিজেরা কিছু স্পেস দিচ্ছে, ফলে এটা ভাল লাগে।

যাই হোক, ফ্লিকার থেকে সেই ২০০৯ইং থেকে ২০১১ইং এর মধ্যের কিছু রান্নার ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, আশা করি দেখে আনন্দ পাবেন। সেই আমলে আমি একটা ক্যামেরা ব্যবহার করতাম, যা আমার ছোট বোন ইটালী থেকে আমার জন্য পাঠিয়েছিল, প্যানাসনিক ডিএমসি এফএক্সএইট। এই ক্যামেরাটা অনেক দিন ব্যবহার করেছি, এর পরে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়েই বেশি ছবি তুলতাম, এখন তো আর ক্যামেরা লাগেই না, মোবাইল আছে স্যামসং গ্যালক্সি এস টুয়ান্টি আল্ট্রা, এটা যে কোন নন প্রফেশন্যাল ক্যামেরা থেকে ভাল ছবি তুলে।

অনেক কথা মনে জমে আছে, কত কি লেখার বা বলার আছে, আজকাল সময় যেন আর নাই! তাছাড়া লিখতে বসলে কত কি রাজ্যের ভাবনা মাথায় এসে ভীড় করে, জীবনের অনেক সময় পার করে এসেছি বটেই। তবে আমার অবস্থানে আমি নিজে সফলতা না পেলেও আমি কম কাজ করি নাই, বাংলা অনলাইনে আমাদের দেশীয় খাবারের রেসিপি খুঁজতে হলে, আমাকে মনে রাখতেই হবে। এখনো এই সাইটে সারা বিশ্ব থেকে প্রতিদিন প্রায় গড়ে পাঁচশত মানুষ আসেন এবং দেখেন, এটা কম পাওয়া নয়। চলুন, ছবি দেখি।

শেষ ছবিটা আমাদের গ্রামের বাড়ী, আমাদের গ্রামের বাড়ী ২০০৯ সালে বানানো হয়েছিল। এখনো সেই রকমই আছে। গ্রামের বাড়ির বানানোর ধারাবাহিক ছবি আছে আমার কাছে, ছবি গুলো গুগলে জমা আছে, তবে এই ছবিটা ফ্লিকারে পেয়ে আপনাদের সামনে তুলে দিলাম। আমাদের গ্রামের বাড়ী এবং আমার এই বিষয়ে বেশ কয়েকটা লেখা আছে, যার এক্টার লিঙ্ক এখানে দিয়ে দিলাম, সময় থাকলে দেখে আসতে পারেন

সবাইকে শুভেচ্ছা। আনন্দে আটুক আপনাদের জীবন। ভালবাসায় থাকুন সবাই।

রান্না কৃতজ্ঞতাঃ আমার প্রিয়তমা স্ত্রী মানসুরা হোসেন, যিনি রান্নায় অনবদ্য।

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]