শাক সবজি খাওয়া ছাড়া আমাদের ভিন্ন কোন উপায় নেই! শাক সবজি যত খাওয়া যায় তত শরীরের জন্য ভাল (যদি আবার শাকে ভেজাল বা ক্রীট নাশক না থাকে)। গতকাল এক বোন আমাকে লিখে পাঠিয়েছেন, একটা শাক ভাজির রেসিপি দিতে, যদিও আমি বলেছি, এই রকমের অনেক রেসিপি আছে, তবুও তিনি জানতে চাইলেন। কার্যত পুরানো একটা শাক ভাঁজার রেসিপি আজ আবার তুলে ধরলাম। এই ভাবে মুলত আমাদের দেশে পাওয়া প্রায় সকল শাক ভাঁজি করে খাওয়া যায়! তবে সামান্য কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে।
১। ভাল করে শাক ধুয়ে নিতে হবে, প্রয়োজনে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই ভিজিয়ে রাখার কারনে শাকে পোকা মাকড় বের হয়ে যাবে!
২। শাকের শক্ত অংশ মানে ডাটা বাছাই করে নিতে হবে।
৩। শক্ত শাক বা একটু বেশী ঘ্রাণ যুক্ত শাক গুলো আধা সিদ্ধ করে নিতে হবে, শুধু শাক পাতা হলে দরকার নেই।
৪। শাকে সঠিক লবন জরুরী, এতে স্বাদ বাড়বে এবং খেতে বসে আরাম পাওয়া যাবে।
যাই হোক, কথা না বাড়িয়ে চলুন ছবিতে দেখি এবং আলোচনা করি! প্রথমেই উপকরণ ও পরিমান, পরিমান নিজেই আন্ধাজ করতে পারেন।
১। যে কোন শাক, কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন
২। পেঁয়াজ কুঁচি
৩। কাঁচা মরিচ
৪। তেল ও পানি
৫। লবন, শুরুতে আল্প লবন এবং পরে দেখে পরিমান মত
৬। সামান্য চিনি, চিনি না দিলেও চলে কিন্তু বেশি তিতা বা বেশি ঘ্রাণ যুক্ত শাকে সামান্য চিনি দিলে স্বাদ বেড়ে যায়।
৭। রসুন কুঁচি, অফশন্যাল (রসুন কুঁচি দিলে স্বাদ আরো বাড়ে, হাতের কাছে থাকলে দিন)
প্রণালীঃ
ছবি ১, কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি ভাঁজুন। তেল সামান্য বাড়িয়ে নিন, তবে আমি তেল কমে সব কিছু করতে চাই। তেল বেশি হলে স্বাদ হবে তবে তেল কখনোই শরীরের জন্য ভাল নয়!
ছবি ২, কাঁচা মরিচ ফালি করে দিন।
ছবি ৩, লবন দিতে ভুলবেন না।
ছবি ৪,ভাল করে ভেঁজে পেঁয়াজ হলদে রঙ করে নিন।
ছবি ৫, এবার শাক দিন (যে কোন শাক, শাক শক্ত হলে হাফ সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিয়ে দিন)
ছবি ৬, ভাঁজুন।
ছবি ৭, এমনি হয়ে আসবে। এই পর্যায়ে চিনি দিতে পারেন, যদি চান! ছিটিয়ে দিন।
ছবি ৮, আগুন মাঝারি, কিছু সময়ের জন্য ঢেকে রাখুন। চুলা ছেড়ে যাবেন না। ভাল করে নাড়িয়ে দিন।
ছবি ৯, ব্যস, এমন অবস্থায় এসে যাবে। ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। খুন্তি দিয়ে নাড়ুন।
ছবি ১০, ব্যস, টেবিলে নিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে বেশ আনন্দ লাগবে।
- শিশুদের ছোট থেকেই শাক সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে নিজ হাতে খাইয়ে দিন, অভ্যাস হয়ে যাবে। শাকের স্বাদ এমনিতেই শিশুরা পছন্দ করে না কিন্তু আপনি পারেন তাদের এমন অভ্যাস গড়ে দিতে!
সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন