রেসিপিঃ মুরগী ভেজিটেবল (ভিয়েতনামী স্টাইল ফলো)

আজকাল প্রচুর দেশী বিদেশী রেসিপি দেখছি। ভিয়েতনামের কয়েকটা রেসিপি দেখতে গিয়ে দেখলাম, এরা ডিমের প্রচুর ব্যবহার করে থাকে। স্যুপ থেকে সব কিছুতেই একটা ডিম দিয়ে খাবারের আলাদা একটা মজা লুটে। যাই হোক, সেই সব রেসিপি দেখে গত কয়েকদিন আগে, একটা রান্না করেছিলাম।  চলুন সেই রান্না দেখি! আগেই আশা করছি আপনাদের ভাল লাগবে এবং সহজ রেসিপি, ঘরেই বানিয়ে রুটি, পরোটা, পোলাউ বা সাদা ভাতের সাথে খেতে পারেন। চাইলে মুরগীর বদলে গরুর বা খাসীর গোশত দিয়েও রান্না করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে রান্নার সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। চলুন, দেখে ফেলি!

উপকরণ ও পরিমানঃ (মোটামুটি এক বাটি)
– ৩০০ গ্রাম মুরগীর গোশত (অনুমান)
– রসুন বাটা, হাফ চা চামচ
– আদা বাটা, হাফ চা চামচ
– মাঝারি তিনটে পেঁয়াজ, ফালি করে কাটা
– টমেটো, বড় একটা
– ডিম, একটা
– সামান্য লাল মরিচের গুড়া
– সয়াসস, এক কর্ক
– চিনি, দুই চিমটি
– কাঁচা মরিচ, ২.৩ টা
– তেল, ৪/৫ টেবিল চামচ (কম তেলেই রান্না হউক)
– লবন, পরিমান মত

প্রণালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, এভাবে গোশত কেটে সামান্য আদা, রসুন বাটা দিয়ে মেখে রাখুন।

ছবি ২, কড়াইতে তেল গরম করে গোশত দিয়ে ভাঁজুন। সামান্য লবন দিতে ভুল্বেন না!

ছবি ৩, পেঁয়াজ ফালি দিয়ে দিন।

ছবি ৪, ভাঁজুন, মরিচের গুড়া দিন।

ছবি ৫, সয়াসস দিন। ভাঁজুন।

ছবি ৬, চিনি দিন ভাঁজুন।

ছবি ৭, সামান্য সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে রাখুন।

ছবি ৮, কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে দিতে পারেন। ভাঁজুন। গোশতের পানিতেই রান্না হয়ে যাবে, আলাদা পানি লাগবে না, তবে এই পর্যায়ে যদি পানি লাগে সামান্য পানি দিতে পারেন, গোশত না মজলে!

ছবি ৯, টমেটো, ক্যাপ্সিকামের ফালি দিন।

ছবি ১০, ভাঁজুন।

ছবি ১১, মাজ বরাবর একটু ফাঁকা করুন। (ডিম পরিহার করতে চাইলে, এখানেই ভাল করে ভেঁজে লবন দেখে বাটিতে তুলে নিতে পারেন, রান্না শেষ!)

ছবি ১২, এবার ডিম ভেঙ্গে দিন।

ছবি ১৩, ভাল করে ভাঁজুন। ফাইন্যাল লবন দেখুন।

ছবি ১৪, বাটিতে নিয়ে নিন।

ছবি ১৫, পরিবেশনা। অপূর্ব, দেখেই আনন্দ।

ছবি ১৬, রুটি, পরোটা, পোলাউ যার সাথে ইচ্ছা খেতে পারেন।

সবাইকে শুভেচ্ছা। আসছি আরো আরো রেসিপি নিয়ে, সাথে থাকুন।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন