গ্যালারি

রেসিপিঃ ইলিশ মাছের ডিম ভাঁজা (আমাদের ঘরের সাধারন রান্না) ও ২৬ লক্ষ হিটের শুভেচ্ছা


মাছের ডিমের মধ্যে ইলিশ মাছের মাছের ডিমের স্বাদ তুলনাহীন! ছেলেমেয়ে বুড়ো বুড়ি সবাই ইলিশ মাছের ডিমের স্বাদ পছন্দ করে থাকেন বলে জানি! ইলিশ মাছের পেটে ডিম পাওয়া কোন ব্যাপার না! এদিকে আমি কিনলে তো পাওয়া যাবেই! হা হা হা, মাছের চেহারা দেখে কি বোঝা যায়! না!


যাই হোক ইলিশ মাছের পেটে ডিম পেলে, সেটা তাৎক্ষনিক ভাঁজি করে ফেলাই উদ্দেশ্য থাকে! কারন এর স্বাদ! ইলিশের ডিমের স্বাদ ভোলা যায় না! বলে যাই, এই ইলিশ মাছটা আমার ছেলেদের একমাত্র খালু চাঁদপুর থেকে কিনে নিয়েছেন এবং তাদের খালামনি উপহার দিয়ে যান! বেশ বড় ইলিশ! ইলিশ যত বড় হয় ততই মজাদার হয়ে উঠে! 

চলুন প্রিয় বন্ধুরা, আজকে ইলিশ মাছের একটা সাধারন ও সহজ ভাঁজা দেখে ফেলি! এই এমনি ভাঁজা আমাদের দেশের প্রায় প্রতি ঘরেই হয়ে থাকে! এটা আমাদের মা চাচী খালাদের কাছের সহজ একটা রান্না! আপনি নিশ্চয় লক্ষ করেছেন! অন্যদিকে এই সহজ রান্নাটা আমি আমার রেসিপি প্রিয় ভাই বোনদের জন্য ডেডিকেট করলাম, যারা রান্না ভাল্বাসেন তাদের জন্যই। বলে রাখি, কয়েকদিন আগে এই গল্প ও রান্না’র ২৬ লক্ষ হিট হয়ে গেল! সময় মত পোষ্ট দিয়ে আপনাদের জানাতে পারি নাই, কারন আমি নিজেই এখন আমার ব্লগে রামপুরা থেকে প্রবেশ করতে পারি না! সরকার কয়েকদিন আগে  কিছু অনলাইন নিউজ সাইট বন্ধ করে দেয়, সেই সাথে আমার যা মনে হয়, ওয়ার্ড প্রেস সাইটের কিছু বন্ধ করে ফেলে যার জন্য বাংলাদেশের প্রায় অনেক এলাকা থেকে আর এই সাইট দেখা যায় না! অন্যদিকে নয়াপল্টন বেইলী রোড এলাকা থেকে আবার প্রবেশ করা যাচ্ছে! আসলে কি কারবার বুঝে উঠতে পারছি না! বাসা থেকে সাইটে প্রবেশ না করতে পারলে, পোষ্ট দিব কি করে! 

আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা, যে সেখানে আছেন, আমাদের ভালবাসা নিন। আপনাদের জন্যই আমরা এগিয়ে চলছি!

উপকরন ও পরিমানঃ
– মাছের ডিম, আলতো হাতে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে, ২০০ গ্রাম বা কম/বেশি
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারি কয়েকটা
– গুড়া মরিচঃ ঝাল বুঝে হাফ চা চামচ
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচের কম
– কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা
– লবনঃ পরিমান মত, দুই দফায় হাফ চা চামচ বা কম
– তেলঃ ৬/৭ চা চামচ

প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, সামান্য হলুদ গুড়া এবং এক চিমটি  লবন দিয়ে মাছের ডিম মেখে কয়েক মিনিট রেখে দিন।


ছবি ২, তেল গরম করে মাছের ডিম ভাঁজুন।


ছবি ৩, একপাশ হয়ে গেলে অন্য পাশ ভাঁজুন।


ছবি ৪, ফাঁকে এই কাজ শেরে নিতে পারেন। পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি মরিচ হলুদ গুড়া এবং লবন।


ছবি ৫, মাছের ডিমের রঙ দেখেই বুঝা যাবে, রান্না কোথায় যাচ্ছে!


ছবি ৬, এবার, মাছের ডিম এক পাশে রেখে পেঁয়াজ কুচি মিক্স ভাঁজুন।


ছবি ৭, আগুন মাঝারি! চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না! পেঁয়াজ নরম হলে মিশিয়ে নিন।


ছবি ৮, ভাঁজুন।


ছবি ৯, এই অবস্থায় এসে যাবেই! ফাইন্যাল লবন দেখুন।


ছবি ১০, কয়েক মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে পারেন। এতে পেঁয়াজ গুলো ন্রম হয়ে পড়বে।


ছবি ১১, ব্যস রেডি!


ছবি ১২, পরিবেশনা।


ছবি ১৩, আহ।


ছবি ১৪, গরম ভাতের সাথে অপূর্ব!

সবাইকে শুভেচ্ছা।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

2 responses to “রেসিপিঃ ইলিশ মাছের ডিম ভাঁজা (আমাদের ঘরের সাধারন রান্না) ও ২৬ লক্ষ হিটের শুভেচ্ছা

  1. জিভে জল এসে গেলো ভাই।
    আপনার এই ব্লগ দেখে আমি ব্যাচেলরকালীন সময়ে রান্না শিখেছিলাম। আর আমার বউকেও আমার রান্নার গোপন রহস্য বলে দিয়েছিলাম। এরপর বাকিটা ইতিহাস ! আমার বাসায় দাওয়াত রইলো।
    ভালো থাকুন। 🙂

    Like

  2. ২৬ লক্ষ ++ Valobasa…………………….:) go ahead bhai.. valo thakun..komor betha valo hoise??..Radowan

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]