আদনান রনি ভাই! আমার এই রেসিপি লেখার পছন্দের মানুষদের অন্যতম একজন (কালে কালে সবার নামই উঠে আসবে)। এই ব্লগ শুরু করার পর থেকেই আমি যাকে সব সময়ে কাছে কাছে পেয়েছি, যিনি ক্রমাগত উৎসাহ দিয়েছেন, পাল্লা দিয়ে রান্না করেছেন, তিনি আদনান রনি ভাই! কিন্তু এই প্রবাসী ভাইটার সাথে এখনো দেখা হয় নাই, এদিকে বছরখানেক আগে তিনি সন্তানের পিতা হয়েছেন, এটা আমি অনেক পরে জেনেছি, তিনি নিজেই জানিয়েছেন! তবে অনেকদিন ধরে রনি ভাইয়ের কমেন্ট না দেখে ভাবছিলাম, তিনি হয়ত অন্যকাজে ব্যস্ত আছেন। আমি নিজেও মাঝে মাঝে মনে করলেও খবর নিতে পারি নাই, সরি।
যাই হোক, শিশুদের খাবারের বিষয় নিয়ে রনি ভাই জানিয়েছেন, কোলের শিশুদের খাবার নিয়ে যেন কিছু রেসিপি দেই! আসলে এই ছোট শিশুদের কথা প্রায় ভুলতেই বসেছি! আমাদের ঘরেও এমনি শিশু আছে, তার জন্যও প্রত্যহ রান্না হয়, সেও খাবার খেয়ে বড় হচ্ছে! তার জন্য রান্না গুলোও রেসিপি আকারে আসতে পারে। বিশেষ করে আমি ভেবে দেখেছি, সাত মাসের শিশুদের থেকে প্রায় তিন বছরের শিশুদের (যারা তখনো শক্ত খাবার খেতে পারে না) এমনি একটা খাবার আছে, যা সবাই খেতে পারে! আজ তেমনি একটা রেসিপি আপনাদের সামনে হাজির করবো। চলুন, দেখে ফেলি!
উপকরন ও পরিমানঃ
– পোলাউ চাল
– পানি
– এক চিমটি লবন
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
ছবি ১, পোলাউ চাল ভাল করে ধুয়ে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন।
ছবি ২, আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে।
ছবি ৩, চলুক।
ছবি ৪, চাল গলে এলে লবন দিতে হবে।
ছবি ৫, আগুন চলবে।
ছবি ৬, পানি গা গা হয়ে যাবে, চাল নরম হয়ে যাবে।
ছবি ৭, এবার ভাল করে ঘুটে দিন। তবে যত ছোট শিশু হবে তত মিহীন করতে হবে, আর শিশুর বয়স বছর পার হলে কম ঘুটা বা কিছু কিছু দানাদার রাখতে হবে, এতে শক্ত খাবারের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
ছবি ৮, ব্যস রেডি। তবে মনে রাখুন শিশুদের খাবার ঠান্ডা করে নিতে ভুলবেন না! সামান্য গরম খাবারও শিশুদের জন্য চলে না, সাবধান!
ছবি ৯, এবার এই খাবারে নানা দুধ বা মাছ, মাংস (বয়স ভেদে), সবজি মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
ছবি ১০, একেবারে ছোট শিশু (সাত মাস থেকে) হলে এর সাথে শুধু দুধ মিশিয়েই খাওয়াতে হবে। তবে দিনে এই খাবার দুইবারের বেশি নয়, অন্যান্ন খাবার তো চলবেই। শিশুদের খাবার খাইয়ে দিতে হয়, সুতারাং পানি আগেই নিয়ে বসতে হবে।
শিশুদের জন্য মায়ের দুধ সেরা খাবার এটা ভুলে গেলে চলবে না, এটা শিশুদের অধিকার! সবাইকে শুভেচ্ছা। আসছি আরো আরো রেসিপি নিয়ে!
- এই রেসিপিটা প্রবাসী নুতন বাবা মায়ের জন্য কাজে লাগলে খুশি হব।
রনি ভাই, প্রবাসে হয়ত অনেক প্যাকেটজাত শিশুদের খাবার আছে, যা গরম পানিতে দিয়েই শিশুদের খাওয়ানো যায় কিন্তু আমি অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এমন খাবার আমাদের শিশুদের জন্য মন্দ নয়।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
অনেক ধন্যবাদ উদরাজী ভাই এই রেসিপির জন্য! বিদেশে বাচ্চাদের সিরিয়াল পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু আমরা বাসায় এইভাবে রান্না করা জাউ বা খিচুড়ি দেয়াটাই প্রেফার করি– আমারো মেয়ের জন্য নিজ হাতে রান্না করতে ভালো লাগে, আর সেও পছন্দ করে। আর আপনার টিপস গুলোও আশা করি পাঠক-পাঠিকাদের কাজে লাগবে, দানাদার খাওয়া একটু একটু করে অভ্যাস করাতে হয়, আর কোলের বাচ্চাদের গরম খাবার দেয়া চলে না।
মেয়ের মা কে আপনার রেসিপি দেখিয়েছি, তিনিও খুব খুশী হয়েছেন। আর আপনার কথা আমরা গতকালকেই বলছিলাম—-মেয়ের ১ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে আগমি সপ্তাহে দাওয়াত দেয়া হয়েছে, সেখানে আপনার দেয়া একটা ফাটাফাটি রেসিপি “চিকেনের শাহী রোস্ট” রান্না করা হবে 🙂 এই রেসিপিটা আমাদের দুজনেরই অসম্ভব প্রিয়!
আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন। আপরার রেসিপি ব্লগের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক!
LikeLiked by 1 person
আমার বাচ্চার বয়স ১১ মাস। ওর মা খিঁচুরি/সুজি রান্না করে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে খাওয়ায়। আপনার প্রস্তুতকৃত ভাত কি এভাবেই খাওয়ানো যাবে না কি পাতলা করে নিতে হবে। আর শুধু ভাতে টেস্ট থাকবে না- নাকি?
LikeLiked by 1 person
আমার মতে, ১১ মাস বয়স হলে এভাবেই খাওয়ানো যায়, ব্লেন্ড দরকার নেই। তবে একেক শিশু একেকরকম, কেউ হয়ত ব্লেন্ড পছন্দ করে বেশী। তবে ব্লেন্ড হোক বা না হোক, ১১/১২ মাস বয়স থেকে একটু একটু করে খাবারের দানার সাইজ বড় করা দরকার, তাহলে একসময় সে স্বাভাবিক ভাত খিচুড়ি খেতে পারবে, ঠিক যেমনটা উদরাজী ভাই বললেন।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ রনি ভাই।
LikeLike
অত্যন্ত প্রোয়োজনীয় । ধন্যবাদ ।
ইংরেজি গ্রামার বাংলায় শেখার এক মজার ওয়েবসাইট
LikeLike