স্ত্রী, পুত্রদের নিয়ে বেড়াতে কার না ভাল লাগে! স্ত্রী সন্তানদের সাথে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে বা নিত্য নুতন জায়গায় যেতে বা গেলে মনে একটা আলাদা আনন্দ পাওয়া যায়। যাই হোক, কথা বললে অনেক কথা বলতে হয়, অনেক লেখা যায়! কিন্তু আজকাল আর লিখতে পারছি কই! সেই স্ত্রী পুত্রদের কারনেই এখন আর লেখালেখি করতে পারছি না! আমার ভিতরে লেখালেখির একটা আগ্রহ ছিল সেই আগ্রহটা এখন অবশ্য আর ধরে রাখতে পারছি না! আমি সময়ের কাছে হেরে যাচ্ছি! যাই হোক, বলে কি লাভ, এভাবেই দিন যাবে, কাটবে! আমরা দুনিয়ার পুতুল, উপরওয়ালা যেমনি নাচাবেন আমরা তেমনি নাচবো!
চলুন হয়ে যাক একটা ভার্চুয়াল ট্যুর! অনেকদিন ধরে যমুনা ফিউচার পার্কে যাব যাব করে যাওয়া হচ্ছে না! গত কয়দিন আগে চান্স পেয়ে সবাই মিলে চলে যাই! চলুন ছবিতে কিছুটা দেখি! তবে আগেই বলে নেই, পার্কের সামনের রাইডার গুলো চড়ে, মার্কেটের ভেতরে ঘুরাঘুরির সময় ছিল কম এবং সাথে খাবারের কারনে স্ময়টা সেদিকেও বেশি চলে গিয়েছিল!
ছবি ১, যমুনা ফিউচার পার্ক, দেশে এমন স্থাপনা আরো দরকার আছে। যমুনা পার্কের বিশালতা সত্যই মনে আনন্দ দেয়! সাথে অবশ্য মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দেয়, এই দুঃখিনী দরিদ্র দেশে যেখানে আশি ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে কোনমতে জীবন নিয়ে টিকে আছে, সেখানে এমনি স্থাপনা কি করে হয়! যাই হোক, তবুও এদের পরিচালনা পরিষদ এবং এদের মালিকদের গুন গাইতে হয়! দেশ এমন পরিচালনা পরিষদ পেলে অনেক এগিয়ে যেত! (ছবিটা যুমনা গ্রুপের সাইট থেকে নেয়া)
ছবি ২, ভেতরের দৃশ্য সত্যি মনোহর।
ছবি ৩, শিশুদের জন্য ফুড কোর্টের এই বুল রাইডিং ভাল লেগেছে, ব্যালট বুলেট মজা পেয়েছে!
ছবি ৪, ফুড কোর্টের জন্য বিরাট জায়গা, দেখে ভাল লাগলো। সারাদিন ঘুরে ফিরে বসে আড্ডা দিয়ে সময় কাটানো যাবে! উঠতি প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য চ্রম জায়গা! সাধারন কিছু খাবার নিয়ে অসাধারন সময় কাটানো যাবে!
ছবি ৫, আমি নিজে দেশ বিদেশে ইন্ডিয়ান ফুড খেলেও, স্ত্রী পুত্রদের এই ইন্ডিয়ান ফুডের তেমন অভিজ্ঞতা নেই! নানান হোটেল রেষ্টুরেন্টে খাওয়ালেও এমন ধরনের ইন্ডিয়ান ফুডের খাবারের স্বাদ তাদের নেয়া হয় নাই! ফলে আজকের এই সুযোগে তাদের এই ইচ্ছা পুরনের জন্য ভাল সময় ছিল!
ছবি ৬, ইন্ডিয়ান ফুড দিনে দিনে আমাদের খাবার সংস্কৃতিতে জায়গা দখল করে নিচ্ছে! মানুষ খাচ্ছে প্রচুর। ঢাকায় বসবাস কারী সামান্য জ্ঞানের লোককেও জিজ্ঞেস করলে বেশ কিছু ইন্ডিয়ান ফুডের নাম বলে দিবে! বিশেষ করে দোসা, ছোলা বাটুরা, রাজ কাচুরী, দই ফুচকা ইত্যাদি ইত্যাদি!
ছবি ৭, ছোলে ভাটুরা!
ছবি ৮, ইটলি দোসা!
ছবি ৯, রাজ কাচুরী!
ছবি ১০, দই ফুচকা!
ছবি ১১, ব্যালটের সময় কেটেছে এভাবেই!
ছবি ১২, কয়েকটা ডিস একদিনেই ট্রাই হয়ে গেল!
ছবি ১৩, কলকাতার ঘন চা, মলাই মারকে!
ছবি ১৪, স্ত্রী পুত্রদের এই রকম হাসি খুশি চোহারা দেখতে বেশ ভাল লাগে! তবে এর পিছনে যে শ্রম দিতে হয় তা কে জানে বা কে বা মনে রাখে, কে বা মনে রাখবে!
যাই হোক, আপনারাও আপনাদের পরিবার পরিজন প্রিয় মানুষদের সাথে আনন্দে ঘুরে বেড়ান! দুই দিনের দুনিয়া, আজ গেলেই কাল দুই দিন! প্রিয় মানুষদের মন জয় করেই এগিয়ে চলুন, আপনাকে মনে রাখবে আপনার প্রিয়জনেরাই! আর সারা দুনিয়ার মানুষের মনে স্থান পেতে হলে (যা খুব কঠিন কাজ!), অনেক মানুষের মনে কিছুটা জায়গা দখল করতে হলে, পরিবারের মায়া ছাড়তে হবে, হা হা হা!
সবাইকে শুভেচ্ছা, আসছি আরো আরো মজাদার রেসিপি নিয়ে, আমাদের সাথেই থাকুন, পরের পোষ্টই হবে কোন না কোন রেসিপি!
ভালো
LikeLike