গ্যালারি

রেসিপিঃ সাধারন আলু ভর্তা (ব্যচেলর ভালবাসা) ও ২০ লক্ষ হিটের শুভেচ্ছা


আপনাদের ভালবাসায় দেখতে দেখতে ২০ লক্ষ হিট হয়ে গেল। বিশ লক্ষ হিট হলে একটা বিরাট রেসিপি দিব বলে ভাবছিলাম! কিন্তু মানুষ যা ভাবে তা কখনো হয় না, বিধাতা সেটা হতে দেন না! আমি গত কয়েকদিন ধরে খুঁজে এমন কোন রেসিপি পাচ্ছিলাম না যেটা দিয়ে এই ২০ লক্ষ হিট উৎযাপন করা যায়, ফলে গত রাতে বাসায় ফিরে একটা সহজ রেসিপি খুঁজে বের করলাম! হ্যাঁ, আলু ভর্তা, মাই লাভ! আমি নিজে আলু ভর্তা খুব পছন্দ করি তবে অনেকদিন ধরে ঘরে বানানো হচ্ছিলো না! আলু ভর্তার রেসিপি দিয়ে আসুন, মজা করি!

আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, আপনারা আমাদের ভাল্বাসেন বলেই আমরা এখনো টিকে আছি।

যাই হোক, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলি। আমি আছি দেশী, প্রবাসী ব্যচেলর ভাই বোনদের সাথেই, যারা রান্না করতে চান বা যাদের কাছে রান্না প্রয়োজন। আমাদের দেশি খাবারের প্রতি যার আগ্রহ আছে এবং যারা এই রান্না গুলো সামান্য চোখে দেখলেই বুঝতে পারবেন, আমি আছি আপনাদের সাথেই! অন্যদিকে ছেলেদের রান্নায় আগ্রহী করে তোলার জন্যও আমার প্রচেষ্টা থাকবে! বিবাহিত ভাইদেরকে রান্নাঘরে কিছু সময়ের জন্য প্রবেশ করিয়ে দেয়ার একটা চেষ্টাও আমি করি তবে বিবাহিত ভাইদের বলবো, রান্নাঘরে প্রবেশের আগে নিজের ধৈর্য ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে নিন! হা হা হা… স্ত্রীরা এমনি হয়! (সামনে তো নয়, অনলাইনেও সাহস হারিয়েছি!)

যাক, কাজের কথায় আসি! সংসারের সং সেজে বসে থাকার গল্প পরে করা যাবে, বেঁচে থাকলে! ওহ, আলু ভর্তা স্বাদ একটু বেশি করতে চাইলে, আলু সিদ্ধ করে কিছুতেই ঠাণ্ডা পানিতে চুবিয়ে দেবেন না, একটা ঝাজুরিতে আলু গুলো কিছু সময়ের জন্য পানি ঝরিয়ে চামড়া ছিলে নিলেই ভাল হবে (নিচে ছবি দেখুন)। যাই হোক, চলুন দেখে ফেলি! সহজ রেসিপি খুঁজতে গিয়ে এর চেয়ে আর সহজ আর পাই নাই! শুধু আলু সিদ্ধ করাটাই! উপকরণ তো ঘরে ঘরেই আছে!

উপকরন ও পরিমানঃ
– আলু সিদ্ধ
– পেঁয়াজ কুঁচি
– কাঁচা মরিচ কুঁচি
– লবন
– সরিষার তেল
– ধনিয়া পাতার কুঁচি
(পরিমান অনুমান যোগ্য)

প্রনালীঃ

ছবি ১


ছবি ২, সামান্য এক চিমটি লবন পানিতে আলু সিদ্ধ করুন।


ছবি ৩


ছবি ৪, আলু সিদ্ধ হবার ফাঁকে এই কাজ গুলো করে নিন।


ছবি ৫, আলু সিদ্ধ হল কি না কি করে বুঝবেন! কোন শক্ত লোহার শিক বা খুন্তির হাতল প্রান্ত দিয়ে এভাবে খুঁচিয়ে দেখতে পারেন। আরামসে আলুর ভিতর প্রবেশ করলে বুঝবেন হয়ে গেছে!


ছবি ৬,  আলু সিদ্ধ করে কিছুতেই ঠান্ডা করার জন্য পানি দেবেন না। এভাবে ঝাঁজরিতে রেখে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করে তার পর চামড়া ছিলে নিন।


ছবি ৭, এই কাজে তাড়া হুড়ার দরকার নেই, আস্তে ধীরে!


ছবি ৮, এবার আলু গুলোকে গলিয়ে নিন, এই কাজে একটা কাপ বা গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।


ছবি ৯, আলু এই সময়েও কিছুটা গরম থাকতে পারে!


ছবি ১০, ভাল করে মেখে নিন।


ছবি ১১, এবার পেঁয়াজে লবন দিয়ে মাখুন। লবন কম, পরে দেখে দেয়া যাবে!


ছবি ১২, মরিচ কুঁচি মাখুন।


ছবি ১৩, খাটি সরিষার তেল দিন।


ছবি ১৪, মাখুন।


ছবি ১৫, মাখুন।


ছবি ১৬, ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন।


ছবি ১৭, মাখুন, ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন। লাগ্লে দিন!


ছবি ১৮, ব্যস।


ছবি ১৯, এইতো পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ২০, আপনার ভাগ বুঝে নিন!


ছবি ২১, মানুষের মাথা গুনে এভাবেও পরিবেশন করতে পারেন! আগের দিনে আমাদের পরিবার গুলোতে এভাবে প্রায় প্রতিটা খাবার ভাগ করে পরিবেশন করা হত! এভাবে পরিবারেই একটা বিচার ব্যবস্থা থাকত, কেহ বেশি খাবে, কেহ কম খাবে তা হত না! এখন আর এভাবে চিন্তা করা হয় না ফলে শিশুরা ছোট বেলা থেকেই এমন মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠে যে, ভাগাভাগি বা অন্যের ভাগ কি, অধিকার কি, এমনটা বুঝতেই পারে না! আমরা আমাদের সব অতীত ছুড়ে ফেলে শুধু সামনে এগিয়ে চলছি! ভাল মন্দ সবই ফেলে দিচ্ছি!

সবাইকে আবারো শুভেচ্ছা, আনন্দে কাটুক সবার জীবন!

ফেবু লিঙ্কঃ কিছু না!

8 responses to “রেসিপিঃ সাধারন আলু ভর্তা (ব্যচেলর ভালবাসা) ও ২০ লক্ষ হিটের শুভেচ্ছা

  1. আলু ভর্তাই সব ভর্তার সেরা। সবচেয়ে সহজ এবং মজাদার। শেষ প্যারার কথাগুলো সুন্দর এবং বাস্তবধর্মী লেগেছে। প্রতিনিয়ত শুভকামনা রইলো।

    Liked by 1 person

  2. Valobasa valobasa…20 lac valo basa….unlimited valobasa…………………..

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]