গ্যালারি

রেসিপিঃ ইজি ইংলিশ মাফিন (বাংলা কায়দায় তৈরী)


দুনিয়ার মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে দিনে অন্তত তিনবেলা খেতে হয়! ৮ ঘণ্টা পর পর পেটে কিছু দানাপানি দিতেই হয়! যদিও বা আমরা অনেকে এই তিন বেলার খাবার জুটাতে পারি না বা কেহ কেহ আবার এই তিন বেলাকে ৫/৭ বেলাও বানিয়ে নিতে পারি, যাদের অনেক টাকা আছে বা সুযোগ থাকে! যাই হোক, খাবার দুনিয়ার সকল প্রানীর জন্যই, প্রান থাকলে খেতে হবেই!

তবে এই মানুষের খাবার দুনিয়ার এক এক প্রান্তে এক এক রকম! অর্থাৎ পরিবেশ মানুষের এই খাবার নির্ধারন করে দেয়! গরমের দেশে শীতের খাবার চলে না আবার শীতের দেশে গরমের খাবার চলে না! পাশাপাশি খাবারের ব্যাপারটা পাপ্তির উপরেও নির্ধারন করা হয়ে থাকে! যাই হোক, নাস্তায় আমরা সাধারন কিছু খাই, যাতে পেট না পুরে আবার খালিও না থাকে! চলুন আজ তেমনি একটা নাস্তার আইটেম দেখাই! এটা সাধারণত ইংলিশরা রান্না করে থাকে। ইংল্যান্ড, মেরিকা বা কানাডার লোকজন খেয়ে থাকেন, যাকে উনারা মাফিন বলে থাকেন! তবে এটা অনেকটা আমাদের দেশে পাওয়া ‘ব্নরুটি’ বা ‘টিফিন ব্রেড’ এর মতই, উপকরণে কিছুটা আলাদা মাত্র!

আগেই বলে নেই, এই মাফিন ইংলিশরা যেভাবে বানান, আমিও সেই উপকরণ দিয়েছি কিন্তু গ্রাইন্ড বা বিটার না থাকায় আমি আমাদের মত করেই হাতে বানিয়েছি, ব্যাপার না! চলুন দেখে নেই, এটা সকাল বিকালের নাস্তায়, শিশু কিশোরদের জন্য মজাদার খাবার হতে পারে নিশ্চয়।

উপকরন ও পরিমানঃ (বড় ৪টা, ছোট হলে ৮টা)
– ময়দাঃ দুই কাপ
– ডিমঃ একটা
– বাটারঃ ১০ গ্রাম (অনুমানিক)
– ইষ্টঃ হাফ চা চামচ
– ব্রেকিং পাঊডারঃ এক চিমটি
– পাউডার মিল্কঃ এক টেবিল চামচ
– চিনিঃ ১ চা চামচ (ইচ্ছা, না দিলেও চলে)
– তেলঃ সামান্য ভাঁজার জন্য
– পানিঃ পরিমান মত

প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, একটা বোলে সব উপকরণ নিতে থাকুন। প্রথমে ময়দা নিন, ময়দা চেলে নিলে ভাল হয়।


ছবি ২, বাটার দিন।


ছবি ৩, ডিম দিন, এর পর পাউডার মিল্ক দিন।


ছবি ৪, ইষ্ট দিন।


ছবি ৫, কোন উপকরন ভুলে গেলে চলবে না।


ছবি ৬, ব্রেকিং পাঊডার।


ছবি ৭, সব কিছু দেয়া হল কিনা দেখে নিন।


ছবি ৮, ভাল করে মিশিয়ে নিন।


ছবি ৯, এবার আস্তে পানি দিন এবং হাত দিয়ে কাই করতে থাকুন। (এই কাজ সাধারণত মিক্সার দিয়ে করলে ভাল হয়, এই মেশিন না থাকাতে হাতে করলেও তেমন ক্ষতি নেই, তবে খুব সুন্দর করে মাখিয়ে মিহীন করে নিতে হবে, একটু সময় লাগবে।)


ছবি ১০, মলে মলে মাখুন।


ছবি ১১, এভাবে হয়ে পড়লে রাখুন।


ছবি ১২, মোটামুটি আধাঘন্টা সাধারন তাপমাত্রায়  ঢেকে রাখুন।


ছবি ১৩, ওহ, চাইলে কাটা চামচ দিয়ে কিছুটা খুঁচিয়ে দিতে পারেন।


ছবি ১৪, এভাবে বড় একটা গোলা পেয়ে যাবেন।


ছবি ১৫, কেটে চার টুকরা বা আট টুকরা করুন। ছোট সাইজ চাইলে ৮ টুকরা করতে পারেন, নতুবা ৮ টুকরা। আমি ৪ টুকরা করছিলাম, মাফিনের সাইজ একটু বড় হলে দোষ নেই!


ছবি ১৬, এবার হাত দিয়ে গোল করে নিন।


ছবি ১৭, আবারো আধঘন্টার জন্য রেখে দিন।


ছবি ১৮, ফুলে চমৎকার সাইজ হয়ে যাবে।


ছবি ১৯, এবার একটা ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল গরম করে একটা একটা করে বা ছোট হলে দুটা করে খুব কম আগুনে ভাঁজুন।


ছবি ২০, মিনিট ৩/৪ এর জন্য ঢাকনা দিন, এতে ভিতরটাও ভাল হবে।


ছবি ২১, এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টে দিন। ব্রাউন হয়ে যাওয়া মানে হয়ে গেল!


ছবি ২২, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ২৩, কাটা চামচ দিয়ে পাশ খুঁচিয়ে দুই ফালি করে ভিতরটা দেখে নিতে পারেন। আহ, দেখেই শান্তি।


ছবি ২৪, কি দিয়ে খাবেন? চা, দুধ, চিজ, বাটার, সস ইত্যাদি দিয়ে খেতে পারেন! আবার স্যান্ডউইচ হিসাবে ভিতরে যে কোন পেটি দিয়েও খেতে পারেন।

প্রতিদিন একই নাস্তা না দিয়ে মাঝে মাঝে ঘরে এই ধরনের মাফিন বানিয়েও চমক দিয়ে পারেন, শিশু কিশোরগন নিশ্চিত পছন্দ করে খাবেই।

সবাইকে শুভেচ্ছা। আসছি আরো আরো মজাদার খাবার নিয়ে, সাথে থাকুন।

সাময়িক হেল্পঃ বড় ছেলে বুলেট

8 responses to “রেসিপিঃ ইজি ইংলিশ মাফিন (বাংলা কায়দায় তৈরী)

  1. ইস্ট নিয়ে একটু চিন্তা হয় । কোনটা ভালো বুঝবো কিভাবে ?

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ বোন।
      না, ইষ্ট নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজনে একটু কম দিবেন মাত্র। আমি সারা দুনিয়ার রান্না দেখি, সবাই ইষ্ট ব্যবহার করছে, কোন ক্ষতি নেই। আমাদের বাজারেও ভাল ইষ্ট পাওয়া যায়। কিনে আপনিও কোটায় ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন, কাজের সময়ে বের করে নিতে পারেন।
      শুভেচ্ছা নিন।

      Like

  2. আপনার রান্না বরাবরের মতো চমৎকার এবংসহজ ।

    Liked by 1 person

  3. আমি কিন্তু আপনার অনেক বড় একজন ভক্ত। হাঃ হাঃ হাঃ। কিন্তু গল্প করা হয়ে উঠেনা। যাহোক, আজকের রেসিপিটাও দারুন!! হঠাৎ একদিন ট্রাই করবো। ও হ্যাঁ আমর শুভেচ্ছা নিবেন অবশ্যই

    Liked by 1 person

  4. একজন বোঙ্কে দেখলাম এই রেসিপিটা বানিয়েছেন এবং ছবি দিয়েছেন ফেবুতে। এই লিঙ্কে দেখা যাবে।
    https://bit.ly/3gFlMWc

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]