গ্যালারি

আড্ডাঃ আল কাদেরীয়া হোটেলে আর এক বিকেল


আমাদের বাড়ীর কাছে আল কাদেরীয়া হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট! কখনো মন চাইলেই আমরা চলে যাই! তবে এই হোটেলটা আমি আমার চোখের সামনে চালু হতে দেখেছি! আজ বলা চলে একটা এলাহি কারবার হয়ে যাচ্ছে! আজকাল এই হোটেলে সকাল সন্ধ্যায় এত ভীড় থাকে যে, চাইলেই যেয়ে কিছুক্ষন বসে আড্ডা দিয়ে খাওয়া যায় না! হুট হাট খেয়ে অন্যজনকে জায়গা দিয়ে সরে যেতে হয়!

যাই হোক এই হোটেল নিয়ে আমি আগেও পোষ্ট দিয়েছি। আজ আপনাদের কিছু ছবি দেখেতে বা এই স্মৃতি ধরে রাখতে আবারো পোষ্ট আকারে চিন্তা করলাম। আশা করি যারা হোটেলে খেতে ভালবাসেন তাদের ভাল লাগবে, তবে আমাদের দেশের হোটেল গুলোতে এখনো প্রতিদিন খাবার খাওয়া যায় না, দাম কিংবা বিশুদ্ধ খাবারের জন্যও! যাই হোক, আমাদের বাড়ীর ছেলে মেয়েরা একাই এই হোটেলে যেয়ে সকালের নাস্তা বা বিকেলের নাস্তা বা রাতের খাবার খেয়ে চলে আসতে পারে! চলুন কিছু ছবি দেখি। পরের পোষ্টেই আসছি আবারো মজাদার রেসিপি নিয়ে, ‘চিকেন ভেজিটেবল কারী’ হবে পরের পোষ্ট!

ছটু মিয়া ব্যালট আপনাদের দোয়ায় বড় হয়ে যাচ্ছে! মনে হয় হাতের রেখা দেখে কিছু বিশ্লেষন করবে!


বড় মিয়া বুলেট আজকাল আর ছবি তোলাতে আগ্রহ দেখায় না!


এখুনি পোস পাস!


যাই হোক, খাবার চলে এল! আমি হোটেলে খাবার খেতে অন্যের পছন্দের খাবার খাই! গ্রীল চিকেন!


সাথে পরোটা ছিল, এটা নাকি হায়দরাবাদী পরোটা। (দেখি রেসিপি জানতে পারি কি না! অন্যদিন চেষ্টা চালাবো।) তবে বেশ সফট এবং সুস্বাদু।


এই হোটেলের চা ভাল নাম কামিয়েছে! এই ধরনের চা আমরা আমাদের যুবক বেলায় পুরানো ঢাকায় বা ফকিরাপুল এলাকার হোটেল গুলোতে পেতাম! আজকাল ঢাকা শহরের অনেক জায়গাতেই এমন চা পাওয়া যায়!


হোটেলের ভীড় এবং নারীদের (পরিবারের) এই হোটেলে প্রবেশ আর একটা ইতিবাচক দিক। এলাকার মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মাঝারি মানের একটা হোটেলে প্রবেশ করছে এটাও কম কিসের! খাবারের মান এবং নিরাপত্তার কারনেই হয়ত এমন হচ্ছে।  ছবিতে দেখুন, শুক্রবার বিকেল/সন্ধ্যায়, প্রায় টেবিলেই পরিবার, ছোট শিশু আছে!


এই হোটেলের আর একটা মজার দিক হল, ফালুদা! এই হোটেলের ফালুদা এখন আমাদের এলাকার অন্য হোটেল আবুল হোটেলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে! আবুল হোটেলের ফালুদা নাম কিনলেও এখন আর আগের সেই জোস নেই! আল কাদেরীয়ার ফালুদা এখন সবাই পছন্দ করছে!


এখানে দুই মাত্রার ফালুদা পাওয়া যায়। ফালুদা নরমাল ৮০ টাকা, ফালুদা স্পেশাল ১৩০ টাকা! গ্লাসের এই ফালুদা হচ্ছে স্পেশাল ফালুদা!  বুলেট আবার স্পেশাল ফালুদা ছাড়া নিবেই না! হা হা হা…


ভীড়ের ঠেলায় বিলের দশা করুন! কোন আইটেমের সাব টোটাল নেই, একদম ফাইন্যাল বিল! তিন পিস গ্রীল চিকেন, দুইটা হায়দরাবাদী পরোটা, দুইকাপ চা, একটা ফালুদা স্পেশাল (পানির বিল ধরছে কি না কে জানে!)!

দাম যাই হোক, আল কাদেরীয়া বা আবুল হোটেল, এদের খাবারে ভাল, অন্তত দামের সাথে পরিমানের একটা মিল আছে। বেইলী রোড, শান্তিনগর, মালিবাগ সহ আমার চলতি পথের প্রায় সব হোটেলের খাবারের দাম আছে, পরিমান এবং মান নেই!

সবাইকে শুভেচ্ছা।

16 responses to “আড্ডাঃ আল কাদেরীয়া হোটেলে আর এক বিকেল

  1. গ্রীল চিকেনটা বেশ জুসি দেখতে। লোভনীয় স্বাদ নিশ্চয়।

    Liked by 2 people

  2. আপনার সাখে কখনো দেখা হলে এখানে খাওয়াবেন প্লিজ! 😉

    Liked by 1 person

  3. khub valo hoy jodi apni ai kababer sather sauce tar recipe jene niye kore dekhan.

    Thanks in adcance 🙂

    Liked by 1 person

  4. হায়দরাবাদী পরোটার রেসিপিটা চাই। হাঃ হাঃ হাঃ

    Liked by 1 person

  5. Great blog ! I have bee searching for Bengali style grill chicken recipe If you could find one, please post it. Thanks.

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ আপনাকেও।
      গ্রীল চিকেনের রেসিপি একদিন লিখার চেষ্টা করবো, এটা সহজ ব্যাপার তবে ঘরে গ্রীলের আগুন দেয়া যায় না বলে করা হয় না, দেখি অন্য কোন বিকল্প পথে এটা করা যায় কি না।
      শুভেচ্ছা নিন, আশা করি, আগামীতে সাথে থাকবেন।

      Like

  6. এখানে পানি ও ওয়াইফাই ফ্রি। আমি পূর্ব রামপুরাতে থাকি।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]