গ্যালারি

রেসিপিঃ ধনিয়া পাতা ভর্তা (সাধারন)


সর্বজনীন ভালবাসা প্রকাশের মাধ্যম কি? মানে আপনি বাবা মা, মামা মামী, চাচা চাচী, খালা খালু, ফুফা ফুপী, শ্বশুর শ্বাশুড়ী সবাইকে এক সাথে কি করে আপনার ভালবাসা প্রকাশ করতে পারেন। হ্যাঁ, খাবার দাবার! এবং রান্না করে তাদের খাওয়ানো। আপনি রান্না করে যত্ন নিয়ে তাদের কাছে বসিয়ে খাওয়ালেই তারা বুঝতে পারবেন যে, আপনি তাদের ভালবাসেন। আগের দিনের সিনেমায় দেখা যেত প্রেমিকা প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গেলে কিছু না কিছু রান্না করে নিয়ে যেত! কোন গাছের আড়ালে আবডালে বসে প্রেমিকা সেই খাবার প্রেমিকের মুখে তুলে দিত! তবে বিষয়টা আজকালেও আছে, ফাষ্টফুড বা লাষ্টফুডের দোকানে ভীড় দেখে তা বুঝা যায়!

যাই হোক, আপনি মেহমানের বা আপনার প্রিয়জনের জন্য অনেক খাবার বানালেন, টেবিল পুরাই ব্লক! আমি বলি, সাথে কি সামান্য দুই তিন পদের ভর্তা বানিয়েছেন! যদি এই কয়েক পদের ভর্তা বানিয়ে হাজির করে ফেলেন, দেখবেন তাদের প্রতি আপনার ভালবাসা আরো আরো প্রকাশ হয়ে যাবে! ভর্তা বানাতে তেমন সময় লাগে না। শুধু বাটাবাটিতে সামান্য মনোযোগ।

চলুন আজ খুব সাধারন একটা ভর্তা দেখে ফেলি। গরম ভাতের সাথে চমৎকার লাগবে। পোলাঊ এর সাথেও পরিবেশন করা যেতে পারে, ব্যাপার না!

উপকরন ও পরিমানঃ (পরিমানের অনুমান আপনি নিজেই করে নিন)
– ধনিয়া পাতার কুঁচি
– কাঁচা মরিচ
– পেঁয়াজ কুঁচি
– লবন
– সামান্য তেল

প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, সামান্য হাফ চামচ তেলে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও ধইয়া পাতা একটু ভেঁজে নিন।


ছবি ২, এবার একে একে সব বেঁটে নিন।


ছবি ৩, বাটা তত মিহীন করার দরকার নেই। বাটার সময়েই সামান্য লবন দিয়ে নিতে পারেন।


ছবি ৪, বাটুন।


ছবি ৫, ভাল করে মিশিয়ে নিন।


ছবি ৬, ফাইন্যাল লবন এবং ঝাল দেখুন। লাগলে দিন।


ছবি ৭, ব্যস পরিবেশন করুন। স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। চারটে অতিরিক্ত খাওয়াও যাবে।

সবাইকে শুভেচ্ছা।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

5 responses to “রেসিপিঃ ধনিয়া পাতা ভর্তা (সাধারন)

  1. না বেটে, ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করলে হবে না? নাকি তাতে স্বাদ পরিবর্তিত হয়ে যাবে?

    Liked by 1 person

  2. ভাউ প্রথম ছবির নিচে ধইয়া পাতা লেখা আছে। উটাকে ধইন্না পাতা পড়তে হবে ?

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]