কৈ মাছ আমার পছন্দের মাছ। খাঁটি দেশী কৈ মাছ পেলে আর কি চাই! বর্তমানে আমাদের দেশী সেই কৈ মাছ আর তেমন একটা দেখা যায় না! বিলুপ্তির পথে! তবুও দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মত অবস্থা, বাজারে কিছু চাষের কৈ পাওয়া যায়! মরা মাছ কিনতে এমনি ভয় করে (ভেজালের জন্য), সেই হিসাবে এই কৈ গুলো তাজা পাওয়া যায়, তাজা মাছ কিনলে মনেও একটা আলাদা আনন্দ লাগে।
যাই হোক, চলুন কৈ মাছের একটা রান্না দেখি। যদিও এমন রান্না আমাদের বাংলাদেশের মায়েরা ঘরে ঘরে রান্না করে থাকেন। আমিও আপনাদের এমন রান্না আগেও দেখিয়েছি, আবারো দেখুন। আগেই বলে নেই এমন একটা কৈ ভাঁজা দিয়েই এক বেলাত ভাত খেয়ে উঠা কোন ব্যাপার নয়!
উপকরন ও পরিমানঃ
– কৈ মাছ
– সয়াসস (মাছের কাটা নরম করার জন্য, পরিমান ৩ টার জন্য এক চা চামচ যথেষ্ট, সয়াসস না থাকলে লেবুর রস দিতে পারেন, আরো ন্যাচারাল)
– পেঁয়াজ কুঁচি
– টমেটো
– হলুদ গুড়া
– মরিচ গুড়া
– কাঁচা মরিচ
– জিরা গুড়া
– চিনি, সামান্য
– তেল
– লবন
– ধনিয়া পাতার কুঁচি
(মাছ অনুসারে আপনি পরিমান করে নিন)
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
ছবি ১, মাছ গুলো কেটে ধুয়ে সামান্য হলুদ, লবন ও সয়াসস (২ চা চামচ দিয়েছি আমরা) দিয়ে কিছুক্ষনের জন্য রেখে দিন।
ছবি ২, কড়াইতে তেল গরম করুন।
ছবি ৩, এবার মাছ ভাঁজুন। মাছ ভাঁজতে সাবধান। মাঝারি আঁচ দিয়ে ভাঁজুন।
ছবি ৪, এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টে দিন। (মাছের চামড়া লেগে গেলে আগুন নিবিয়ে বা কড়াই সরিয়ে নিন, ঠান্ডা হয়ে গেলে উঠে যাবে, খুন্তি দিয়ে সাবধানে উল্টান, নতুবা মাছ এর চামড়া উঠে যাবে বা মাছ ভেঙ্গে যাবে)
ছবি ৫, মাছ ভাঁজার ফাঁকে টমেটো, পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি হাতের কাছে নিন।
ছবি ৬, মাছ ভাঁজাটা অভিজ্ঞতার ব্যাপার। যিনি যত বেশি ভাঁজবেন তিনি দিনের পর দিন তত ওস্তাদ হয়ে উঠবেন।
ছবি ৭, এবার তেল সরিয়ে উঠিয়ে নিন।
ছবি ৮, এভাবে জমা করে ফেলুন।
ছবি ৯, মাছ ভাঁজা শেষে সেই তেলেই টমেটো কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি ও মরিচ দিন, সাথে সামান্য লবন, মরিচ গুড়া ও এক চিমটি লবন দিন। ভাঁজুন।
ছবি ১০, ভাঁজুন।
ছবি ১১, জিরা গুড়া দিন।
ছবি ১২, ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন। ভাঁজুন। আগুন কম, টমেটো নরম হয়ে যাবে।
ছবি ১৩, এবার ভাঁজা কৈ গুলো দিয়ে দিন।
ছবি ১৪, মিশিয়ে নিন। লবন স্বাদ দেখুন। লাগলে দিন, না লাগলে ভাল, এগিয়ে চলুন।
ছবি ১৫, ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ছবি ১৬, আহ!
ছবি ১৭, গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। এই মজা বলে বা লিখে বুঝানো যাবে না!
সবাইকে শুভেচ্ছা। আসছি আরো আরো মজাদার রেসিপি নিয়ে, সাথে থাকুন।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন