প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, ভাই বোন, স্বদেশী প্রবাসী রেসিপি লাভার্স, আপনাদের সবাইকে আমাদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের ভালবাসায় আমরা প্রতিদিন এগিয়ে চলছি। এই ধরনের রেসিপি সাইটে আপনারা আমাদের দেখতে আসেন বলে আমরা যারপরনাই খুশি। আপনারা যারা রান্না ভালবাসেন এবং প্রিয়জনদের জন্য রান্না করেন তাদের জন্যই আমরা আছি, আপনাদের পাশেই। আমরা চেষ্টা করে থাকি কত সহজ করে রান্না আপনাদের কাছে উপস্থাপন করা যায় এবং কত কাছাকাছি হলে আপনারা শুধু ছবি দেখেই রান্না করে ফেলতে পারেন। আমরা বার বার বলে আসছি, রান্না হচ্ছে একটা ভালবাসা, রান্নায় লাগে শুধু মমতা!
আগামীতেও আপনাদের ভালবাসা চাই, আমরা এগিয়ে যেতে চাই আপনাদের ভালাবাসায়। আপনাদের সারা জীবন আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। দুনিয়ার কোন মানুষ অন্তত খাবারের জন্য কষ্ট না পাক এই কামনা করি সব সময়ে।
চলুন আজ একটা সাধারন রান্না দেখে ফেলি, ফ্রন ফ্রাই। আপনারা যারা চাইনিজ হোটেল গুলোতে প্রন ফ্রাই পছন্দ করেন তাদের জন্য এই রান্নাটা একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে পারে। ঘরে বসে আপনি এই ফ্রাই করে সবাইকে চমকে দিতে পারেন। বিকালের নাস্তায় শিশুরাও বেশ পছন্দ করবে বলে আমি মনে করি। চলুন দেখে ফেলি।
উপকরন ও পরিমানঃ
– চিংড়ী, মাঝারি বড়, ৮ টা
– সয়াসস, ১ চা চামচ
– ওয়েষ্টার সস, ১ চা চামচ
– ফিস সস, ১ চা চামচ
– টমেটো সস, ১ চা চামচ
– ডিম, ১ টা
– ময়দা, পরিমান মত
– চালের গুডা, কয়েক চামচ
– মরিচের গুড়া, সামান্য, ঝাল বুঝে
– লবণ, পরিমান মত
– তেল, ভাঁজতে যা লাগে
* ময়দা ও চালের গুড়া না নিয়ে শুধু টেম্পুরা ফ্লাওয়ার দিয়েও আপনি এই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন, এতে আরো মজাদার হবে, আরো ক্রিপ্সি হবে!
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
প্রিপারেশনঃ
ছবি ১, চিংড়ি গুলো এভাবে পরিস্কার করে নিন, ধুয়ে। শুধু লেজ রাখতে পারেন কিংবা ফেলে দিলেও কি আসে যায়!
ছবি ২, সয়াসস।
ছবি ৩, ওয়েষ্টার সস।
ছবি ৪, ফিস সস
ছবি ৫, টমেটো সস
ছবি ৬, লবণ
ছবি ৬, মরিচ গুড়া
ছবি ৭, ডিম
ছবি ৮, ভাল করে মেখে কিছু সময়ের জন্য রেখে দিন। ফাঁকে চালের গুড়া এবং ময়দা মিশিয়ে নিন। (চালের গুড়া না থাকলে শুধু ময়দা দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন, তবে টেম্পুরা ফ্লাওয়ার থাকলে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, আরো মজাদার হবে।)
ছবি ৯, এভাবে চিংড়ি গড়িয়ে নিন।
ছবি ১০, আবার এভাবে কাইতে চুবিয়ে নিন।
ছবি ১১, আবার গড়িয়ে নিন।
ছবি ১২, পর পর তিনবার করতে পারেন, তবে চিংড়ি বড় এবং পুষ্ট দেখাবে। হা হা হা।
তেলে ভাজাঃ
ছবি ১৩, তেল গরম করুন।
ছবি ১৪, একে একে ভেঁজে তুলুন।
ছবি ১৫, বড় কড়াই হলে এবং এক সাথে বেশী ভাঁজতে চাইলে তেল বেশী লাগবে। কয়েকটা হলে একটু বেশী সময় লাগবে মাত্র।
ছবি ১৬, ভাঁজাটা কেমন হবে তা নিজেই নির্ধারন করুন। বেশী মচমচে চাইলে করতে পারেন।
ছবি ১৭, এভাবে জমাতে থাকুন।
ছবি ১৮, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ছবি ১৯, আহ। দেখেই খেতে ইচ্ছা জাগে। যে কোন সস নিয়ে বসে পড়ুন।
ছবি ২০, ভেতরটা দেখুন।
ছবি ২১, কি একদিন রান্না করবেন তো?
ছবি ২২, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, চরম মজাদার খাবার। অথচ কত সহজে ঘরে বানানো হয়। এই ৮টা চিংড়ি মাঝারি মানের চাইনিজ রেস্টুরেন্টেই ৪০০ টাকা বা তারো বেশী নিয়ে নিবে! অথচ ঘরে খরচ কত কম আমার মনে হয় ৫০ টাকাও হবে না! তবে চিংড়ি কেজি আমি কিনেছি ৪৫০ টাকা করে। ভেবে দেখুন!
সবাইকে শুভেচ্ছা, আসছি আগামীতে আরো আরো মজাদার রেসিপি নিয়ে।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
very easy to cook. thanks brother.
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও ধন্যবাদ। আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
দারুণ!!!!! আপনার এই স্টাইলে করা চিকেন ফ্রাইটা একদম সেই লেভেলের খেতে, প্রায়ই করি, এইবার এইটা!!! ট্রাই করব একদিন অবশ্যই! দুঃখের ব্যাপার হল বাসায় চিংড়ি আনার সাথে সাথে আম্মু চিংড়ি বেছে লেজ গুলো ফেলে দেয় :3
নেক্সট যেই দিন বাসায় চাইনিজ রান্না করব, এইটা মাস্ট করব!!!! 😀
বাই দ্য ওয়ে, মাত্র ৫০টাকা?? ৮ পিস চিংড়ি এর দামই তো ১০০ টাকা হওয়ার কথা (অবশ্য ছবি দেখে সাইজ বোঝা যাচ্ছে না) তাও,কম খরচেই ভালো খাওয়া যায় তাছাড়া তৃপ্তি আসে বলে বাসায় বাইরের খাবার বানাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। শুভেচ্ছা ও ভালোলাগা
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ভাতিজা। হ্যাঁ, চ্রম রান্না, অবশ্যই করে দেখতে পার। ছোট চিংড়িকেও মোটা করে ফেলা সম্ভব, কয়েকবার কয়ে গড়িয়ে নিয়ে।
আমি ছোট বড় মিলিয়ে চিংড়ি কিনেছিলাম। সেখান থেকে বেছে বড় গুলো নিয়েছি। এ গুলো হরিনা চিংড়ি ছিল।
শুভেচ্ছা।
LikeLiked by 1 person
সতের লক্ষ্য হিটের শুভেচ্ছা। সাধ্যের মধ্যে স্বপ্ন পূরণ জাতীয় রেসিপি হা হা হা। ধন্যবাদ সাহাদত উদারজী ভাই।
আপনার কাছে একটা রেসিপি চাইবো। সেটা হচ্ছে। আগের দিনে বিয়ে বাড়ীতে যে পোলাও খেতে দিত, দারুণ সুগন্ধ লাগতো, পোলাও এর উপর চিকমিক করতো এবং শুধু পোলাও খাইতে মিষ্টি মিষ্টি লাগতো, সাথে অবশ্য কিসমিস এবং চিনা বাদাম থাকতো।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকেও। আমার চেষ্টা হচ্ছে যারা নুতন রান্না করতে চান তাদের দেখিয়ে দেয়া, তাদের আগ্রহী করে তোলা। ছবি বর্ননা দেখে যেন তিনি প্রথম বার রান্না করে ফেলেন। এর পর তিনি নিজেই কোথায় কি লাগবে, আরো কি কি দিলে স্বাদ বাড়বে তা জেনে যাবেন। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রবাসী ভাই বোন বন্ধুদের জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুরানো যারা রান্নাকারী আছেন, উনাদের শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই। রান্না হচ্ছে ভালবাসা, ভালবাসা দিয়ে রান্না করলে স্বাদ হতে বাধ্য।
আপনি যে পোলাউ রান্নার কথা বলেছেন, সেটা আমিও ছোট বেলায় খেয়েছি বলে মনে পড়ছে। তবে সেই সময়ের চাল আর আজকে পাওয়া চাল অনেক ভিন্ন। সেই সুগন্ধি চাল আর খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। উপকরন/চালের কারনে খাদ্য আরো আরো সুস্বাদু হয়ে উঠতো।
যাই হোক, দেখি একবার আপনার মত করে চেষ্টা করবো। তবে পোলাও লিখে সার্চ দিন, আমাদের অনেক ধরনের পোলাও রান্না আছে, আশা করি ভাল লাগবে। শুভেচ্ছা নিন।
https://goo.gl/Co1Hnb
LikeLiked by 1 person
Congratulation …………….go ahead bhai….
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ রেদোয়ান ভাই।
LikeLike
দারুণ। অসাধারণ।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকেও।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
শুভেচ্ছা।
LikeLike