গ্যালারি

রেসিপিঃ সহজ গোশত রান্না (ভালবাসা হলেই হল!)


আমাদের নানান উৎসব এলে আমি দেখেছি আমাদের এই ‘গল্প ও রান্না’য় হিট বেড়ে যায়। সারা দুনিয়ার বাংলা ভাষাভাষী অনলাইনে খাবার দাবারের রেসিপি খুঁজতে গিয়ে আমাদের এখানে চলে আসেন! এটা আমাদের জন্য চ্রম পাওয়া! লাভলী! পুরানো ভাই বন্ধুর পাশাপাশি আমরা অনেক বেশী নুতন ভাই বন্ধু পাই, যা অসাধারন ব্যাপার। দিনের পর দিন আমরা এভাবেই আপনাদের কাছাকাছি এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আপনাদের কাছাকাছিই থাকতে চাই। আমরা চাই উৎসবে আপনারা ভাল ভাল খাবার খান এবং অন্যদের পরিবেশন করুন। প্রবাসী এবং ব্যচেলর ভাইবোন দের কাছে অনুরোধ মন খারাপ করে বসে থাকবেন না। রান্না করে পরিচিতজন্দের নিয়ে খাবার খান, সময় কাটবে আনন্দে।

চলুন আজ এই দিনে ছোট একটা সাধারন রান্না দেখিয়ে দেই। যদিও এমন অনেক রান্না আপনাদের আগে দেখিয়েছি, তবুও! কত সহজে রান্না দেয়া যায়, সেই প্রচেষ্টার অংশ এটা। আশা করি যারা নুতন রান্না করতে চাইছেন, এমনি একটা রান্না পছন্দ করে রান্না শুরু করে দিতে পারেন। রান্নার অপর নাম ভালবাসা, আপনি এই ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবেন কেন? কোন উৎসবে যদি জানা যায় এটা আপনার প্রথম রান্না তবে উতসবের আমেজ তো আরো বেড়ে যাবে।

চলুন দেখে ফেলি! আগেই বলে নেই সাদাভাত, পোলাউ কিংবা পরোটার সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।

উপকরন ও পরিমানঃ
– গরুর গোসতঃ ৮০০ গ্রাম কম বেশি (হাড় সহ নিতে পারেন)
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারি ২ টা
– দারুচিনিঃ ২ সেমি, ২/৩ টুকরা
– এলাচিঃ ২/৩ টা (খুলে)
– লংঃ ৪/৫ টা
– রসুন বাটাঃ দেড় চা চামচ
– আদা বাটাঃ ১ চা চামচ
– লাল মরিচ গুড়াঃ এক চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ এক চা চামচ
– জিরা গুড়াঃ হাফ চা চামচের কম
– ধনিয়া গুড়াঃ হাফ চা চামচ
– চিনিঃ এক চিমটি বা সামান্য বেশি (টুইষ্ট, দিলেও চলে না দিলেও নাই!)
– লবনঃ পরিমান মত, দুই ধাপে
– তেলঃ হাফ কাপের কম (বা আরো কম, আমি কম তেলেই রান্না করি)
– পানিঃ পরিমান মত, ঝোল থাকবে না তবে গোশত নরম হতে যে পরিমান লাগে বা ঝোল রাখতে পারেন
– কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা

প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে) 

ছবি ১, সব মশলা এভাবে একসাথে নিয়ে নিন। সময় বাঁচবে, ভুল হবার সম্ভবনা থাকবে না।


ছবি ২, এক কাপ পানি দিয়ে  ভাল করে গুলে নিন।

মুল রান্নাঃ

ছবি ৩, রান্নার পাত্রে তেল নিন, গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি দিন, সামান্য লবন দিন। ব্যস ভেঁজে নিন। ওহ, গরম মশলা দিতে ভুলবেন না! দারুচিনি, এলাচি, লং!


ছবি ৪, ভাঁজুন। (ইন্ডিয়ান এই পেঁয়াজ তরকারীর রং কিছুটা কালচে করে দেয় তবুও উপায় নাই!)


ছবি ৫, পেঁয়াজের রং হলদে হয়ে এলে মশলা মিক্স দিয়ে দিন।


ছবি ৬, সেই টুইষ্ট চিনি! দিন! সামান্য!


ছবি ৭, ভাল করে কষিয়ে তেল উপরে উঠিয়ে নিন।


ছবি ৮, এবার গোশত দিয়ে দিন।


ছবি ৯, মিশিয়ে নিন। আগুন মাঝারি আচে থাকবে।


ছবি ১০, ঢাকনা দিন। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না। আগুন কমেই থাকুক।


ছবি ১১, মিনিট ২০ লাগবে। গোশত মজে গেলে পানি লাগবে না। যদি না মজে এবং ঝোল কমে যায় তবে সামান্য পানি দিতে পারেন। (কাঁচা মরিচ দিন)


ছবি ১২, এই পর্যায়ে এলে ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন। লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলে আগে বাড়ুন।


ছবি ১৩, ব্যস হয়ে গেল!


ছবি ১৪, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

সবাইকে শুভেচ্ছা। আপনারা ভাল থাকুন, আনন্দে কাটুক সারা জীবন!

4 responses to “রেসিপিঃ সহজ গোশত রান্না (ভালবাসা হলেই হল!)

  1. হ্যা ভাই এটাই ট্রাই করছি…
    দারুন একটা রেসিপি….

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]