বাংলাদেশের মানুষের পছন্দ মাছ ভাত ডাল! মাছ হলে আর কি চাই। তবে নানা পদের মাছ দিয়ে, নানান রান্নার খ্যাতি আছে। তেমনি এক রান্নার নাম ‘কোপতা’। আগের দিনে বড় চিতল মাছ দিয়ে এই কোপতা রান্না হত, এখন আর তেমন বড় চিতল পাওয়া যায় না ফলে একই প্রজাতির ছোট সাইজের মাছ ফলি দিয়ে এই রান্না করা হয়ে থাকে। কিছু দিন বা বছর আগে আমরাও বড় সাইজের ফলি মাছ দিয়ে এই কোপতা রান্না করেছিলাম কিন্তু পোষ্ট করা হয় নাই! আজ সুযোগ পেয়ে হাত ছাড়া করতে চাই না! হা হা হা, আসলে সময়! দুনিয়াতে সময় একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার কিন্তু সময় থাকতে আমরা কেহ তা অনুধাবন করি না!
যাই হোক, চলুন রেসিপি দেখি। পরিমান ছবির নিচে ও বর্ননায় থাকবে। তবে আগেই ধাপ গুলো বলে নেই।
ধাপ ১। প্রথমে মাছের ভিতরের অংশ চামড়া থেকে আলাদা করে নিতে হবে এবং মশলা মাখিয়ে গাঢ় কাই করে নিতে হবে (সচিত্র দেখুন নিচে)
ধাপ ২। ভেঁজে নেয়া
ধাপ ৩। সাধারন রান্না
প্রনালী ও উপকরনঃ (ছবি দেখে অনুমান করা কঠিন কিছু নয়)
ছবি ১, পাটা পুঁতার হেল্প ছাড়া মাছের গোশত আলাদা করা যায় না, যারা বিদেশে আছেন তারা হাতুড়ির ব্যবহার করতে পারেন।
ছবি ২,
ছবি ৩,
ছবি ৪, চামচ দিয়ে গোশত আলাদা করে নিতে হবে।
ছবি ৫, কাটা ফেলে পাটা পুঁতায় বেঁটে নিতে হবে। বিদেশে পাটা পুতা না পেলে সামান্য সময়ের জন্য গ্রাইন্ড করে নিতে পারেন।
ছবি ৬,
ছবি ৭, পেঁয়াজ, মশলা ও লবন দিন।
ছবি ৮, মেখে নিন।
ছবি ৯, এবার চামড়ায় কাই দিয়ে চামড়া পেছিয়ে নিন।
ছবি ১০, এভাবে জমিয়ে রাখুন।
ছবি ১১, তেলে ভাঁজুন।
ছবি ১২, এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টে দিন।
ছবি ১৩, চামড়া সাথে ভাজার পর এমনি দেখাবে।
ছবি ১৪, মাছের চামড়া বেশী না থাকলে কিছু কাই চামড়া ছাড়াও গোল করে ভেঁজে নিতে পারেন।
ছবি ১৫,
ছবি ১৬, মুল রান্না।
ছবি ১৭,
ছবি ১৮,
ছবি ১৯,
ছবি ২০,
ছবি ২১,
ছবি ২২, পরিবেশনা, গরম ভাতের সাথে।
ছবি ২৩, কোপ্তার স্বাদ আসলে আপনাদের বলে বুঝানো যাবে না, এটা এমনি যে, খেয়েই আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
তবে এখন আর আমাদের দেশে এমনি রান্না খুব একটা হয় না, কারন রান্নায় সময় এবং কষ্ট আছে। এই কষ্ট ও সময় ব্যয় এখন আর কেহই করতে চায় না। ফলে শহরে শিশুরা এই রান্নার কথা আর জান্তেই পারছে না, হারিয়ে যাচ্ছে অনেক মজাদার খাবার।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
ভাইয়া মাছের কাটা গুলো কি ফেলে দিয়েছিলেন না বেটে নিয়েছিলেন? আমার স্ত্রী আপনার এই ব্লগের চরম ফ্যান। আমাদের নতুন সংসার সে বেশিরভাগ রান্নাই এই ব্লগ দেখে করে থাকে। 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ সুফি ভাই।
আমাদেরকে পছন্দ করার জন্য আমরা আনন্দিত হয়েছে, আমাদের চেষ্টা সার্থক বলে মনে হচ্ছে। আমরা যে টার্গেট গ্রুপ নিয়ে কাজ করি, তা হচ্ছে, রান্নায় আগ্রহী করে তোলা, একবার রান্না শুরু করিয়ে দেয়া।
আমাদের বোনকে শুভেচ্ছা দিন। আমরা আশা করি আপনিও মাঝে মাঝে রান্না করবেন, এতে ভালবাসা আরো আরো বেড়ে যাবে।
আপনাদের সময় কাটুক আনন্দে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ওহ, একটা উত্তর দিতে ভুলে গিয়েছি।
যতটুকূ সম্ভব কাঁটা ফেলে দেয়াই উত্তম, কিছু ছোট থাকলে তা পিষে ফেলা যায়, তবে বাটার সময়েও কাঁটা পেলে ফেলে দিন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike