গ্যালারি

রেসিপিঃ পুঁইশাক ভাঁজি (শিশুদের চিন্তা মাথায় রেখে রান্না)


যে কোন শাঁক/সবজি শুধু মাত্র ভেজেই খাওয়া যায়। সামান্য তেল, লবন, পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ থাকলেই হল। আমি প্রায় আমাদের দেশে পাওয়া সব ধরনের শাঁক ভেঁজে খেয়েছি। আমার কাছে ভাল লেগেছে, এত সহজ করে শাঁক ভেঁজে খাওয়া দুনিয়ার আর কোথায়ও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। চলুন আজ আপনাদের এমনি একটা সহজ ও সাধারন শাঁক ভাঁজি দেখিয়ে দেই। চলুন সহজ এই রান্না দেখি ফেলি।

উপকরনঃ
– পুঁইশাকঃ ৬০০ গ্রাম, অনুমানিক
– আলুঃ মাঝারি দুই টা
– পেঁয়াজ কুচিঃ মাঝারি তিনটে
– কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা (শুকনা মরিচ হলে আরো ভাল)
– চিনিঃ এক চিমটি
– তেলঃ কয়েক চামচ
– লবনঃ হাফ চা চামচ
– পানিঃ সিদ্ধ করার জন্য কিছু

প্রস্তুত প্রনালীঃ

ছবি ১, শাঁক কেটে ভাল করে পরিস্কার করুন।


ছবি ২, ডাটা ফেলনা নয়, ডাটা গুলো এভাবে কেটে (আঁশ ছাড়িয়ে) আগে সামান্য লবন পানিতে সিদ্ধ করুন। সাথে আলু দিয়ে দিন।


ছবি ৩, ডাটা আলু মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে গেলে এবার পুই শাঁক দিন।


ছবি ৪, আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে।


ছবি ৫, কয়েক মিনিটেই শাঁক নরম হয়ে যাবে।


ছবি ৬, এবার সিদ্ধ শাঁক একটা ঝাঁঝরিতে রাখুন, পানি ঝরে যাক। এবং মুল রান্নায় চলুন।


ছবি ৭, কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ (শূকনা মরিচ হলেও চলবে) ও সামান্য লবন দিন।


ছবি ৮, ভাঁজুন, পেঁয়াজ কুঁচি হলদে হয়ে আসবে।


ছবি ৯, এবার সিদ্ধ করে রাখা শাঁক আলু দিন।


ছবি ১০, এক চিমটি চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।


ছবি ১১, আগুন বাড়িয়ে দিন।


ছবি ১২, ভাল করে ভাঁজুন। পানি যেন না থাকে।


ছবি ১৩, কিছু সময়ের জন্য আবার আগুন কমিয়ে এভাবেও রাখতে পারেন। তবে চুলার ধার ছেড়ে চলে যাবেন না। সামান্য ভুলে পুড়ে শাঁক তলায় লেগে যেতে পারে। কাছেই থাকুন, এবং নাড়িয়ে দিন।


ছবি ১৪, ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লাগলে দিন, না লাগলে চুলা নিবিয়ে দিন।


ছবি ১৫, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


ছবি ১৬, গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

শিশুদের জন্য এটা একটা চমৎকার শাঁক ভাঁজি, যে সকল শিশুরা শাঁক খেতে চায় না তাদের এই ধরনের শাঁক ভেঁজে প্রয়োজনে নিজের হাতে খাইয়ে দিন। মজা পেলে ২য় বারে নিজেই চাইবে। শিশুদের প্রচুর শাঁক সবজি খাওয়ান, এতে আপনার শিশু শারীরিক ভাবে সুস্থ্য থাকবে।

সবাইকে শুভেচ্ছা। আমাদের সাথেই থাকুন, আসছি আরো আরো মজাদার রেসিপি নিয়ে।

  • এই ধরনের ভাঁজি বড় লোহার কড়াইতে করুন, আগুন ভাল লাগে এবং নাড়াতেও সুবিধা। স্বাদ ভাল হয়। (অভিজ্ঞতা থেকে জানালাম)

4 responses to “রেসিপিঃ পুঁইশাক ভাঁজি (শিশুদের চিন্তা মাথায় রেখে রান্না)

  1. ভাল লাগলো । ট্রাই করে দেখব।

    Liked by 1 person

  2. সত্যি কথা বলতে কি, বাড়িতে প্রায় একই পদ্ধতিতে এই শাক রান্না করা হয়। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই এইসব শাক সবজির বিপরীতে এক ধরণের অনীহা কাজ করে আসছে, তাই কখনো আগ্রহ করে খাওয়া হয়নি। কখনও যদিও বা খেয়েছি সেটা কিছুটা চাপের মুখে পড়ে :p

    কিন্তু এখানে আপনার রান্না পদ্ধতি দেখে এখন ঠিকই লোভ হচ্ছে একটু খেয়ে দেখার :p

    আশা করছি অনেকেই আগ্রহ পাবে আপনার লেখাটি দেখার পর 🙂

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ ব্রাদার।
      শাঁক সবজি না খেলে বয়স বাড়লে নিশ্চিত নানা সমস্যায় পড়বেনই। বিশেষ করে পাইলস থেকে মুক্ত থাকা যাবেই না বলে আমার মনে হয়! নিয়মিত হতে শাঁক সব্জির অব্দান অনেক। আমি বহু মানুষকে চিনি যারা বিষয়টা গোপন করেন কিন্তু তলে তলে প্রায় জীবন শেষ করে ফেলছেন? সুতারাং সবাইকে শাঁক সবজি খেতে বলুন, সুন্দর হয়ে বেঁচে থাকতেই।
      শুভেচ্ছা।
      (আমাদের অনেকের অবস্থাই আপনার মত, তবুও বলে যেতে হয়, সবার ভাল হউক এটাই কাম্য।)

      Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]