ছোট বেলায় আমি আমার দাদুকে থানকুনি বা আদামনি পাতার এই ধরনের একটা ভর্তা বানাতে দেখেছি। তখন এই পাতায় একটা আলাদা ঘ্রান ছিল (ঢাকায় বিক্রি করা পাতায় সেই ঘ্রান পাই না)। সাথে অনেক সময় এই পাতা দিয়ে মুশরীর ডাল রান্না করতেও দেখেছি। বলাবাহুল্য যে, সেই সব তরকারীর ছবি চোখে ভাসলেও স্বাদ মনে নেই, আমরা খেতে চাইতাম না। তবে দেখতাম বড়রা খুব আনন্দের সঙ্গে খেয়ে উঠছে! আজ বড় হয়ে সেই সব রান্না খুঁজে বেড়াই।
চলুন, এই আদামনি পাতার একটা সাধারন ভর্তা দেখাই।
উপকরন ও পরিমানঃ (পরিমান আপনি নিজেও করে নিতে পারেন)
– আদামনি পাতার কুঁচি
– পেঁয়াজ কুঁচি
– শুকনা মরিচ
– সরিষার তেল
– লবন
প্রনালীঃ
হাতের কাছে সব কিছু নিয়ে নিন।
মরিচ সামান্য তেলে ভেঁজে বা টেলে নিন, আদামনি ও পেঁয়াজ কুঁচি করে নিন। সামান্য লবন নিন। মরিচ কেমন নিবেন, সেটা ভেবে নিতে হবে।
এক চামচ সরিষার তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে মেখে নিন। লবন স্বাদ দেখুন। ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
আমি একটু আমের আচার দিয়েছিলাম, তেমন ঘ্রান না পাওয়ায়! আপনার এই আচার দেয়ার দরকার নেই।
ভাল করে মিশিয়ে মেখে নিলেই হয়ে গেল। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। দারুণ লাগবে।
ছবি, ফ্লাশ দেয়া।
ছবি, ফ্লাশ ছাড়া।
অনেকে বলে থাকেন, এই থানকুনি বা আদামনি পাতার অনেক ঔষধি গুণ আছে, আমার জানা নেই, নেটে খুঁজে দেখতে হবে। তবে আমি এটা গ্রামেও শুনেছি, শরীরের অনেক উপকারী।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
(এই থানকুনি পাতার সহজ ভর্তা আগেও একাবার দেয়া হয়েছিল, সাজেশন লিঙ্কে দেখুন)
উপকারি পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
LikeLike