বরবটি প্রায় সব সবজি দোকানেই পাওয়া যায় তবে কেহ খুশি মনে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তা বুঝা যায় না! আমি নিজে প্রায় সব সবজি পছন্দ করলেও বরবটি নিয়ে কথা থেকে যায়! বরবটি, আলু ও চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাঁজি ছাড়া আর কোন রান্না তেমন জমজমাট করা যায় না! তবে এটা মনে হয় আমাদের দেশের বরবটির কারনেই। আমাদের দেশে পাওয়া বরবটির প্রজাতির চামড়া আমার কাছে শক্ত মনে হয়, যা দুনিয়ার অন্যান্ন দেশে পাওয়া বরবটির মত নয়। সে যাই হোক, না খেয়ে উপায় কি! বরবটির বেশ কিছু রান্না আগেও আপনাদের দেখিয়েছি। ভাঁজি, সাধারন রান্না প্রায় সবই আছে। চলুন আজ একটা এক্সপেরিমেন্ট হয়ে যাক। নিরামিষ বটেই, সাথে থাকছে লেবুর রস! লেবুর রসে তরকারী স্বাদ না হয়ে পারে না!
ভাল করে ধুয়ে নিয়ে খুব সহজেই বরবটি রান্নার জন্য প্রস্তুত করা যায়!
চলুন দেখে ফেলি।
উপকরন ও পরিমানঃ (মোটামুটি এক বাটি, এক বেলা, দুই জনের স্টাটার বলা যেতে পারে)
– বরবটি, ৩০০ গ্রাম
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ হাফ কাপের কম
– রসুন বাটাঃ এক চা চামচ
– লাল মরিচ গুড়াঃ হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচ
– লেবুর রস, দুই চা চামচ
– কাঁচা মরিচ, কয়েক তা
– লবন পরিমান মত, দুই ধাপে
– তেলঃ ৬/৭ টেবিল চামচ বেশি কম
– পানি (পরিমান মত, ঝোল কেমন রাখবেন তার উপর নির্ভর করবে)
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ ও সামান্য লবন দিন।
আগুন মাঝারি আঁচে, ভাঁজুন।
পেঁয়াজের রঙ হলদে হয়ে গেলে রসুন বাটা দিন। ভাঁজুন।
এবার হাফ কাপ পানি দিন।
আগুন মাঝারি আঁচে, মরিচ হলুদ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলেন।
কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিন।
এবার বরবটি দিন। (যারা বরবটির ঘ্রান আরো কমিয়ে নিতে চান, আপনারা বরবটি কেটে হাফ বয়েল বা হাফ সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিয়ে রাখতে পারেন)
ভাল করে মিশিয়ে নিন।
লেবুর রস দিন।
ব্যস, সাথে আরো সামান্য পানি এবং ঢাকনা। আগুনের আঁচ খুব কম থাকবে।
যারা একটু কাঁচা খেতে পারেন তারা মিনিট ৫/৭ পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে পারেন। তবে ফাইন্যাল লবন দেখুন। ধনিয়া পাতার কুঁচি এই সময়েই দিয়ে দিতে পারেন। (আর যারা আমার মত আরো একটু বেশি রান্না চায়, চালিয়ে যাবেন।)
ঝোল না রাখতে চাইলে আগুন বাড়িয়ে নিন। চালার ধার ছেড়ে যাবেন না। খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে নিন।
ব্যস, প্রস্তুত।
হাতের কাছে ধনিয়া পাতার কুঁচি থাকলে দিন। ঘ্রান ভাল লাগবে!
মিশিয়েই নামিয়ে নিন।
হ্যাঁ, দারুণ। পোলাউ বা সাদা ভাতের সাথে খেয়ে দেখতে পারেন। আমাদের ভাল লেগেছে।
আমাদের পরিবারে সাধারন ভাবে পাওয়া মশলা গুলো দিয়েই রান্না, স্বাদ অসাধারন। যারা নুতন রান্না করছেন, আশা করি এই রান্নাটা আপনাদের কাজে লাগবে। তবে রান্নায় এক্সপেরিমেন্ট না করলে চলে কি করে? সব সময়ে গতানুগতিক রান্না কে পছন্দ করবে! হা হা হা।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আসছি আরো আরো নুতন মজাদার রান্না নিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।
ফেবু লিঙ্কঃ লেবুর রসে বরবটি, বরবটি লাভার্সদের জন্য!
13 00 000 Hit……..Lemon valobasa
LikeLike
Obinondon…….1300000 hit er jonno……
Bhaiya ami ekta problem e porechi…..amar kichu sharirik somossar jonno dr. amake naame matro oil diye (saradin 2 tea-spoon) khabar ranna korte boleche…..chicken oil chara ranna korechilam..khete kharap lage ni…….kintu fish ba mix-vegetable kibhabe kom tele ba oil free ranna korbo ter jodi koyekta recipe diten tahole khub upoker hoto……. ami jani apni onek busy person…….terpor o choto bon hisebe boro bhaiyer kase reciper abder roilo…..bhalo thakben
LikeLiked by 1 person
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ…..আমরা যারা প্রবাসী তাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়…আর খবু সহজে সব বুঝতে পারি…….
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ব্রাদার,
হ্যাঁ, আমি নিজেও এক সময়ে প্রবাসী ছিলাম। আমি রান্নার কষ্ট জানি। আমাদের সময়ে রেসিপি ছিল না। প্রবাসের এই কষ্টের কথা আমি এখনো ভুলি নাই। তাই আমি চেষ্টা করি, যাতে যারা নুতন রান্না করবেন তারাও যেন সহজে ধরতে পারেন। প্রতিদিন নুতন নুতন রান্নায় আগ্রহী সবাইকে আমি সাদরে আমন্ত্রন জানাই। আশা করি, সাথে থাকবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike