গ্যালারি

রেসিপিঃ চেওয়া মাছ ভুনা


ধারনা করছি, বর্তমান বাংলাদেশে আমার মত পুরুষেরাই বেশী, মেরুদন্ড ভাঙ্গা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, গৃহপালিত। স্ত্রী, সন্তানের গুঁতাগাঁতা খেয়েও মায়া ছাড়তে চায় না, নিঃস্ব হয়েও তাদের ভালবেসে কাছে থাকতে চায়! অথচ সামান্য মায়া ছাড়লে, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যেত, বৃদ্ধকাল আনন্দে কাটাতে পারত!

উপরে উল্লেখিত কথামালা গুলো ফেসবুক স্ট্যাটাস, যেখানে আপনি স্বাধীন পুরা মাত্রাই! আপনার যা ইচ্ছা তা লিখতে পারেন, বলতে পারেন। ব্যাপার না। রান্নাবান্নায় কিছু সেই স্বাধীনতা নেই! আপনি যে শুধু আপনার জন্য রান্না করছেন তা নয়, আপনি রান্না করছেন অন্যদের জন্য। তাদের পেটে কি সইবে, আপনার রান্না করা খাবার! এক ঘরে নানান বয়সি মানুষ থাকেন, এরা সবাই আপনার প্রিয়জন! সুতারাং রান্নায় পুরা স্বাধীনতা চলে না! রান্না হচ্ছে ভালবাসা, ভালবাসায় স্বাধীনতা কোথায়! ভালবাসা মানে তো জেলখানা!

যাই হোক, চলুন আজ একটা ভিন্ন ধরনের মাছ রান্নার কথা বলি। চোওয়া মাছ, আপনারা অনেকেই হয়ত দেখেছেন কিন্তু নাম হয়ত ভিন্ন কিছু জানেন। তবে এই মাছ সবাই খায় না বলেই জানি! আমি এই মাছ অনেক খেয়েছি, বাল্যকালে! নিজ সংসারে তেমন কেন হয় না! আমাদের এক বন্ধু কিছুদিন আগে মাছ বাজারে ফিয়েছিল! মাছ বাজার থেকে আমাকে ফোন করলো, চেওয়া মাছ আছে, তাজা এবং বড়। আমার লাগবে কি না! বলে কি বন্ধু আমার, লাগবে না মানে, লাগবেই! কেহ না খেলে আমি একাই রান্না করে খাব! হা হা হা, মাছ নিয়ে এল কিন্তু দাম নিলো না! বন্ধু হলে এমন বন্ধুই হওয়া দরকার!

যে যাই, এই চেওয়া মাছের ছবি দেয়া থেকে বিরত থাকলাম। কারন এই মাছ অনেকে দেখলেই ভয় পায়! বলে রাখি, আমাদের বুলেট এই মাছ রান্নার পর খায় নাই! ভয়ে, বলে এই মাছ, মাটির নিচে থাকে! আসলে চেওয়া মাছ কি মাটির নিচে থাকে! আমিও জানি না! তবে বুলেটকে নিয়ে এখন একটা সমস্যা হচ্ছে, এটা খাব না ওটা খাব না ইত্যাদি এখন নুতন করে শুরু করছে! ব্যাটা ছোট বেলায় এমন ছিল না! কিশোর হয়ে, লম্বা হয়ে এখন পার্ট নিচ্ছে! হা হা হা, একদিন বড় হয়ে আফসোস করবেই!

চলুন মজাদার এই রান্না দেখে ফেলি।

পরিমান ও উপকরনঃ
– ৪০০ গ্রাম চেওয়া মাছ (অনুমানিক)
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ মাঝারি তিনটা
– আদা বাটাঃ ১ চা চামচ
– রসুন বাটাঃ দেড় চা চামচ
– লাল মরিচ গুড়াঃ হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে কম বেশী)
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচ
– কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা
– লবনঃ পরিমান মত, দুই ধাপে
– তেলঃ হাফ কাপের কম (কম তেলেই রান্না উট্টম)
– ধনিয়া পাতার কুঁচিঃ কয়েক চিমটি
– পানিঃ পরিমান মত বা না দিলেও চলবে তবে সেই ক্ষেত্রে আগুনের আঁচ খুব কম থাকতে হবে।
– জিরা গুড়া, অফশন্যাল, থাকলে হাফ চা চামচ দিতে পারেন না থাকলে নাই।

প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১,


ছবি ২,


ছবি ৩,


ছবি ৪,


ছবি ৫,


ছবি ৬,


ছবি ৭,


ছবি ৮,


ছবি ৯,


ছবি ১০,


ছবি ১১,


ছবি ১২,


ছবি ১৩,

সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আরো আরো নুতন নুতন রেসিপি নিয়ে আসছি, আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

(ছোট সাইজের চেওয়া মাছের আর একটা পুরাতন রেসিপি আছে, যার লিঙ্ক নিচে দেখাবে। চাইলে সেটাও দেখে নিতে পারেন।)

8 responses to “রেসিপিঃ চেওয়া মাছ ভুনা

  1. Cotobelay onek dhoreci ei mach dadu barir khale gie. 🙂

    Liked by 1 person

  2. ভাইয়ারে ভাইয়া, দিলেন তো মনটা উতলা করে। কোন জীবনে যে এই মাছ খেয়েছি মনেই পড়ে না। আমার অনেক প্রিয়।

    Liked by 1 person

  3. eta amar o vishon priyo ekta mach…ctg te etake “chiring” mach bole..r ektu bhuna bhuna korle onek moja hoy….

    Liked by 1 person

  4. eta amar o vishon priyo ekta mach…ctg te etake “chiring” mach bole..r ektu bhuna bhuna korle onek moja hoy….

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]